ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জসিমের যৌন হায়রানি ও দূর্নীতি পর্ব -১ Logo এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে আলি আখতার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণ Logo ইবিতে তারুণ্যের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন” Logo স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বেনাপোলে দূর্বার তারুণ্য এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ Logo স্বাস্থ্য বাতায়ন নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পেইন Logo গণপূর্তের দুর্নীতির মহারাজ প্রকৌশলী মহিবুল পর্ব- ১ Logo “দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আতাউস সামাদ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত” Logo হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ Logo ‘ভালো থাকিস সবাই’ স্টোরি দেয়ার পর আত্মহত্যা করেন কুবি শিক্ষার্থী Logo শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ডন কাজী সাইফুর: রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ রিপ্লেসমেন্ট শেয়ার!




বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে বর-কনেসহ অসুস্থ ৮২, একজনের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: 
সুনামগঞ্জে বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে বর-কনেসহ অন্তত ৮২ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে জলি রাণী দেব (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার সাদকপুর গ্রামে কনে বাড়ির খাবার খেয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা। মৃত জলি রানী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ওয়েজখালি এলাকার সঞ্জু দেবের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ডাইয়ারগাঁও গ্রামের মিহির তালুকদারের সঙ্গে সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের মৃত প্রাণেশ তালুকদারের মেয়ে চন্দনা রাণী দাসের বিয়ে বুধবার রাতে সম্পন্ন হয়। রাতে খাওয়ার পর বরপক্ষের অধিকাংশ লোকজন দিরাইয়ে তাদের বাড়ি চলে যান।

বৃহস্পতিবার সকালে অনেকেরই পেটে ব্যথা শুরু হয়। এভাবে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই হাসপাতালে একে একে ৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

কণের পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খাবার খেয়ে বর মিহির দাস ও কনে চন্দনা রাণী দাসও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে তারা নিজেদের বাসা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সদর হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ রামেশ্বরপুর গ্রামের আশিকুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে বিয়ের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ওঠে দেখি পেটে ব্যথা ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। সারাদিন বাড়িতে ছিলাম। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় থেকে এমন সমস্যা হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই হাসপাতালে বর ও কনেপক্ষের লোকজন ভর্তি হয়েছেন। সবাইকে যথাযথভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে বর-কনেসহ অসুস্থ ৮২, একজনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৭:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: 
সুনামগঞ্জে বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে বর-কনেসহ অন্তত ৮২ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে জলি রাণী দেব (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার সাদকপুর গ্রামে কনে বাড়ির খাবার খেয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা। মৃত জলি রানী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ওয়েজখালি এলাকার সঞ্জু দেবের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ডাইয়ারগাঁও গ্রামের মিহির তালুকদারের সঙ্গে সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের মৃত প্রাণেশ তালুকদারের মেয়ে চন্দনা রাণী দাসের বিয়ে বুধবার রাতে সম্পন্ন হয়। রাতে খাওয়ার পর বরপক্ষের অধিকাংশ লোকজন দিরাইয়ে তাদের বাড়ি চলে যান।

বৃহস্পতিবার সকালে অনেকেরই পেটে ব্যথা শুরু হয়। এভাবে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই হাসপাতালে একে একে ৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

কণের পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খাবার খেয়ে বর মিহির দাস ও কনে চন্দনা রাণী দাসও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে তারা নিজেদের বাসা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সদর হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ রামেশ্বরপুর গ্রামের আশিকুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে বিয়ের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ওঠে দেখি পেটে ব্যথা ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। সারাদিন বাড়িতে ছিলাম। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় থেকে এমন সমস্যা হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই হাসপাতালে বর ও কনেপক্ষের লোকজন ভর্তি হয়েছেন। সবাইকে যথাযথভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।