ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১) Logo টাঙ্গাইল-৩ আসনে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে মাইনুল ইসলাম

স্বামীকে হত্যা করে পুরুষাঙ্গ কেটে কুকুরকে খাওয়ালেন স্ত্রী!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: 
বছরের পর বছর ধরে স্ত্রীকে নিপীড়ন করে আসছিলেন স্বামী। দীর্ঘদিনের এই নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই নয়, স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে কুকুরকে খাইয়েছেন তিনি।

রোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের ওবারিভ গ্রামে। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কুপিয়ে শিরশ্ছেদের পর তার পুরুষাঙ্গ কেটে পোষা কুকুরকে খাইয়েছেন মারিয়া নামের এক নারী।

৪৮ বছর বয়সী ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক সহিংসতা সহ্য করে এসেছেন। নির্যাতনের অবসানের জন্য স্বামীকে খুন করেছেন তিনি। নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল স্বামীকে হত্যা করা।

ইউক্রেনের পুলিশ বলছে, মারিয়ার স্বামীর নাম ওলেকসান্দার (৪৯)। গত ২৩ আগস্ট রাতের ডিউটি পালন শেষে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। স্বামী যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সেই সময় শূন্য হাতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মারিয়া। পরে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে স্বামীর শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন।

এ ঘটনার পর রান্নাঘরে থেকে ছুরি এনে ওলেকসান্দার পুরুষাঙ্গ কেটে পোষা কুকুরকে খেতে দেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, পরে ওই নারী তার স্বামীর মরদেহ টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করেন; কিন্তু ব্যর্থ হন।

স্বামীকে হত্যার পর রক্তাক্ত শরীরে বাড়ির বাইরের রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মারিয়া। এ সময় নাদেজদা ওপানাসিক নামে এক প্রতিবেশী তাকে রক্তাক্ত দেখতে পান। স্থানীয় গণমাধ্যমকে ওপানাসিক বলেন, ‘মারিয়ার হাত, পা এবং কাপড়ে রক্ত লেগে ছিল। তিনি আমাকে বলেন, আমি সমস্যায় পড়েছি। আমার স্বামীকে খুন করেছি।’

ওপানাসিক বলেন, ‘আমি মারিয়ার কথা বিশ্বাস করতে পারিনি। আমি মনে করেছিলাম, সম্ভবত স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে এবং স্বামীকে মারপিট করেছে। মারিয়ার স্বামী ওলেকসান্দার কোনো মেডিকেল সহায়তা দরকার কিনা সেটি দেখার জন্য আমি তাদের বাড়ি যাই।’

‘আমি ঘরে ঢুকে তার খণ্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। বিছানার চাদরে রক্তের দাগ। আমি তার কাছে জানতে চাই, ওলেকসান্দার মাথা কোথায়? মারিয়া জানায়, বস্তার ভেতর।’

প্রতিবেশী এই নারী বলেন, তিনি ওই সময় অসুস্থবোধ করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অন্য প্রতিবেশীদের ডেকে এ ঘটনার কথা জানান। পরে অন্য প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে মারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এই নারী।

প্রতিবেশীরা বলেছেন, প্রায়ই মারিয়াকে তার স্বামী মারধর করতেন। অনেক সময় স্ত্রীকে হত্যা করার জন্য কুড়াল নিয়ে তাড়া করতেন ওলেকসান্দার।

ইউক্রেন পুলিশের মুখপাত্র ভাদিম আর্তিখোভিচ বলেন, সন্দেহভাজন নারী ঘটনাস্থলেই তার স্বামীকে হত্যা কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি পুলিশি জিম্মায়। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান। দোষী সাব্যস্ত হলে মারিয়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

সূত্র : ডেইলি মেইল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

স্বামীকে হত্যা করে পুরুষাঙ্গ কেটে কুকুরকে খাওয়ালেন স্ত্রী!

আপডেট সময় : ১১:০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: 
বছরের পর বছর ধরে স্ত্রীকে নিপীড়ন করে আসছিলেন স্বামী। দীর্ঘদিনের এই নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই নয়, স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে কুকুরকে খাইয়েছেন তিনি।

রোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের ওবারিভ গ্রামে। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কুপিয়ে শিরশ্ছেদের পর তার পুরুষাঙ্গ কেটে পোষা কুকুরকে খাইয়েছেন মারিয়া নামের এক নারী।

৪৮ বছর বয়সী ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক সহিংসতা সহ্য করে এসেছেন। নির্যাতনের অবসানের জন্য স্বামীকে খুন করেছেন তিনি। নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল স্বামীকে হত্যা করা।

ইউক্রেনের পুলিশ বলছে, মারিয়ার স্বামীর নাম ওলেকসান্দার (৪৯)। গত ২৩ আগস্ট রাতের ডিউটি পালন শেষে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। স্বামী যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সেই সময় শূন্য হাতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মারিয়া। পরে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে স্বামীর শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেন।

এ ঘটনার পর রান্নাঘরে থেকে ছুরি এনে ওলেকসান্দার পুরুষাঙ্গ কেটে পোষা কুকুরকে খেতে দেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, পরে ওই নারী তার স্বামীর মরদেহ টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করেন; কিন্তু ব্যর্থ হন।

স্বামীকে হত্যার পর রক্তাক্ত শরীরে বাড়ির বাইরের রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মারিয়া। এ সময় নাদেজদা ওপানাসিক নামে এক প্রতিবেশী তাকে রক্তাক্ত দেখতে পান। স্থানীয় গণমাধ্যমকে ওপানাসিক বলেন, ‘মারিয়ার হাত, পা এবং কাপড়ে রক্ত লেগে ছিল। তিনি আমাকে বলেন, আমি সমস্যায় পড়েছি। আমার স্বামীকে খুন করেছি।’

ওপানাসিক বলেন, ‘আমি মারিয়ার কথা বিশ্বাস করতে পারিনি। আমি মনে করেছিলাম, সম্ভবত স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে এবং স্বামীকে মারপিট করেছে। মারিয়ার স্বামী ওলেকসান্দার কোনো মেডিকেল সহায়তা দরকার কিনা সেটি দেখার জন্য আমি তাদের বাড়ি যাই।’

‘আমি ঘরে ঢুকে তার খণ্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। বিছানার চাদরে রক্তের দাগ। আমি তার কাছে জানতে চাই, ওলেকসান্দার মাথা কোথায়? মারিয়া জানায়, বস্তার ভেতর।’

প্রতিবেশী এই নারী বলেন, তিনি ওই সময় অসুস্থবোধ করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অন্য প্রতিবেশীদের ডেকে এ ঘটনার কথা জানান। পরে অন্য প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে মারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এই নারী।

প্রতিবেশীরা বলেছেন, প্রায়ই মারিয়াকে তার স্বামী মারধর করতেন। অনেক সময় স্ত্রীকে হত্যা করার জন্য কুড়াল নিয়ে তাড়া করতেন ওলেকসান্দার।

ইউক্রেন পুলিশের মুখপাত্র ভাদিম আর্তিখোভিচ বলেন, সন্দেহভাজন নারী ঘটনাস্থলেই তার স্বামীকে হত্যা কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি পুলিশি জিম্মায়। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান। দোষী সাব্যস্ত হলে মারিয়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

সূত্র : ডেইলি মেইল।