ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১ Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার

১৮ কিলোমিটার ঘোড়ায়  চড়ে স্কুলে পড়াতে যান শিক্ষক! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০১৯ ১৫০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 
সমাজে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে, মা-বাবার পরের আসন শিক্ষাগুরুর। মা-বাবা জন্ম দিলেও, শিক্ষক জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেন। তাই গুরুর স্থান সবার ওপরে। তেমনই এক শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় হওয়া যাক।

ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ঘোড়া চালিয়ে ১৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে পড়াতে যান শিক্ষক গাম্বারাই ভেঙ্কট রমন। প্রতিদিন ঘোড়া নিয়ে স্কুলে পৌঁছে যান তিনি। ঝড়-বৃষ্টি, কড়া রোদ কোনো কিছুই তাকে স্কুল যাওয়া ঠেকাতে পারে না।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের প্রত্যন্ত গ্রাম সুরাপেলামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক গাম্বারাই ভেঙ্কটরমন। প্রতিদিন তিনি ১৮ কিলোমিটার ঘোড়ায় চেপে পড়াতে যান। কারণ রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। পরিবহন ব্যবস্থাও উন্নত নয়।

কেন ঘোড়া? মোটরসাইকেল কিংবা বাস নয় কেন? অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ভাবলে ভুল করবেন। কারণ প্রত্যন্ত গ্রামের ওই স্কুলে পৌঁছাতে পাহাড়ি ঢালু পথ পেরোতে হয়। যা বাইকে সম্ভব নয়। এমন একটি রাস্তা আছে সেটি দিয়ে হাঁটা তো দূর অস্ত, গাড়ি নিয়ে যাওয়াও মুশকিল। কিন্তু গাম্বারি তো নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন তার ছাত্র-ছাত্রীদের।

তাই প্রিয় শিক্ষককে গ্রামের বাসিন্দারা সবাই মিলে চাঁদা তুলে ঘোড়া উপহার দিয়েছেন। গ্রামের মানুষের একটাই ইচ্ছে, তাদের সন্তানরা যেন লেখাপড়া শেখার সুযোগ পায়। গ্রামের বাসিন্দা পাঙ্গি সীতারামনের ছেলেও গাম্বারির স্কুলে পড়ে।

তার কথায়, ভেঙ্কটরমন স্যার আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত্ গড়ার জন্যই এত কষ্ট করছেন। গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে ৯ হাজার টাকা জমিয়ে ঘোড়াটি কিনে দিয়েছেন তাকে। নিউজ এইটিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১৮ কিলোমিটার ঘোড়ায়  চড়ে স্কুলে পড়াতে যান শিক্ষক! 

আপডেট সময় : ০৬:০২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 
সমাজে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে, মা-বাবার পরের আসন শিক্ষাগুরুর। মা-বাবা জন্ম দিলেও, শিক্ষক জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেন। তাই গুরুর স্থান সবার ওপরে। তেমনই এক শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় হওয়া যাক।

ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ঘোড়া চালিয়ে ১৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে পড়াতে যান শিক্ষক গাম্বারাই ভেঙ্কট রমন। প্রতিদিন ঘোড়া নিয়ে স্কুলে পৌঁছে যান তিনি। ঝড়-বৃষ্টি, কড়া রোদ কোনো কিছুই তাকে স্কুল যাওয়া ঠেকাতে পারে না।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের প্রত্যন্ত গ্রাম সুরাপেলামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক গাম্বারাই ভেঙ্কটরমন। প্রতিদিন তিনি ১৮ কিলোমিটার ঘোড়ায় চেপে পড়াতে যান। কারণ রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। পরিবহন ব্যবস্থাও উন্নত নয়।

কেন ঘোড়া? মোটরসাইকেল কিংবা বাস নয় কেন? অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ভাবলে ভুল করবেন। কারণ প্রত্যন্ত গ্রামের ওই স্কুলে পৌঁছাতে পাহাড়ি ঢালু পথ পেরোতে হয়। যা বাইকে সম্ভব নয়। এমন একটি রাস্তা আছে সেটি দিয়ে হাঁটা তো দূর অস্ত, গাড়ি নিয়ে যাওয়াও মুশকিল। কিন্তু গাম্বারি তো নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন তার ছাত্র-ছাত্রীদের।

তাই প্রিয় শিক্ষককে গ্রামের বাসিন্দারা সবাই মিলে চাঁদা তুলে ঘোড়া উপহার দিয়েছেন। গ্রামের মানুষের একটাই ইচ্ছে, তাদের সন্তানরা যেন লেখাপড়া শেখার সুযোগ পায়। গ্রামের বাসিন্দা পাঙ্গি সীতারামনের ছেলেও গাম্বারির স্কুলে পড়ে।

তার কথায়, ভেঙ্কটরমন স্যার আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত্ গড়ার জন্যই এত কষ্ট করছেন। গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে ৯ হাজার টাকা জমিয়ে ঘোড়াটি কিনে দিয়েছেন তাকে। নিউজ এইটিন।