ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




ছেলেধরা সন্দেহে ধাওয়া করে ধরে ৬ জেলেকে গণপিটুনি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি; 
ছেলেধরা সন্দেহে এবার নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ছয় জেলেকে গণপিুটনি দিয়েছে স্থানীয়রা। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কুসম্বা ইউনিয়নের বুড়িদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরে ছোট মাছ ধরার জন্য পুকুর মালিক সনজিত ছয় জেলেকে নিয়ে আসেন। চুক্তি ছিল পুকুর মালিক নেবেন মাছের ৭০ শতাংশ এবং জেলেরা পাবেন ৩০ শতাংশ। সকাল থেকে জেলেরা পুকুরে মাছ ধরছিলেন। মাছ ধরার সময় তারা তিনটি বড় মাছ গোপনে বস্তার মধ্যে রেখে দেন।

পরে পুকুর মালিক বিষয়টি বুঝতে পারেন। তিনি বস্তা দেখতে চাইলে জেলেরা রাজি হচ্ছিলেন না। এক সময় তারা দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। পাড়ার লোকজন ছেলেধরা বলে চিৎকার দিয়ে ধাওয়া করে তাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

মান্দা থানা পুলিশের ওসি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ছেলেধরা বিষয়টি গুজব। বাস্তবে তারা নিরীহ জেলে। তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। জালসহ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বাড়ি সদর উপজেলায় বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, হঠাৎ করেই সারাদেশে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই গণপিটুনি দিচ্ছেন এলাকাবাসী। এতে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। সন্দেহজনক কাউকে দেখলে গণপিটুনি না দিয়ে তাকে পুলিশে দেয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ছেলেধরা সন্দেহে ধাওয়া করে ধরে ৬ জেলেকে গণপিটুনি

আপডেট সময় : ১২:১৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি; 
ছেলেধরা সন্দেহে এবার নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ছয় জেলেকে গণপিুটনি দিয়েছে স্থানীয়রা। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কুসম্বা ইউনিয়নের বুড়িদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরে ছোট মাছ ধরার জন্য পুকুর মালিক সনজিত ছয় জেলেকে নিয়ে আসেন। চুক্তি ছিল পুকুর মালিক নেবেন মাছের ৭০ শতাংশ এবং জেলেরা পাবেন ৩০ শতাংশ। সকাল থেকে জেলেরা পুকুরে মাছ ধরছিলেন। মাছ ধরার সময় তারা তিনটি বড় মাছ গোপনে বস্তার মধ্যে রেখে দেন।

পরে পুকুর মালিক বিষয়টি বুঝতে পারেন। তিনি বস্তা দেখতে চাইলে জেলেরা রাজি হচ্ছিলেন না। এক সময় তারা দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। পাড়ার লোকজন ছেলেধরা বলে চিৎকার দিয়ে ধাওয়া করে তাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

মান্দা থানা পুলিশের ওসি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ছেলেধরা বিষয়টি গুজব। বাস্তবে তারা নিরীহ জেলে। তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। জালসহ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বাড়ি সদর উপজেলায় বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, হঠাৎ করেই সারাদেশে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই গণপিটুনি দিচ্ছেন এলাকাবাসী। এতে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। সন্দেহজনক কাউকে দেখলে গণপিটুনি না দিয়ে তাকে পুলিশে দেয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।