ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




বন্যার পানিতে ভাসছে দক্ষিণ এশিয়া, নিহত শতাধিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 
ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারত। মৌসুমী বৃষ্টিতে তিন দেশের বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় অন্তত ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বন্যার কারণে মারা গেছেন আরো শতাধিক মানুষ।

ভারতে সবচেয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশটির দারিদ্রপীড়িত প্রদেশ আসাম এবং বিহার। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আসামে পানি বাড়তে থাকায় গত ১০ দিনে কয়েক লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় সরকারের এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর খবরে দেখা যায়, বিহারের অধিকাংশ এলাকার সড়ক ও রেলপথ ডুবে গেছে। লোকজন বুক সমান পানিতে নেমে বাড়িঘর ছেড়ে মাথায় মালপত্র নিয়ে অন্যত্র যাচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রত্যেক বছর বন্যায় ব্যাপক পরিমাণে বাস্ত্যুচুতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বর্ষার শুরুর দিকে এই ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৮০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া মারা যায় আরো কয়েক হাজার গবাদিপশু। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজার হাজার বাড়িঘর।

হিমালয় থেকে নেমে আসা ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসাম ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রের পানি ঢুকে পড়ায় অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ডুবে আসামে এক ডজনের বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল বলেছেন, ‘আসামের ৩১ থেকে ৩২টি জেলায় বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। আমরা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছি।

অন্যদিকে, প্রতিবেশি নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৬৪ জন নিহত ও ৩১ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের অনেকেই ভূমিধসের কারণে ঘর-বাড়ির নিচে চাপা পড়েছিলেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।তারা বলেছেন, দেশটির এক তৃতীয়াংশ জেলা ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

২০০৮ সালে নেপালে কসি নদীর তীর ভেঙে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। এতে প্রাণ যায় কমপক্ষে ৫০০ জনের।

এদিকে, বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় বন্যার পানিতে প্রায় ২ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বলে সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সূত্র : রয়টার্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বন্যার পানিতে ভাসছে দক্ষিণ এশিয়া, নিহত শতাধিক

আপডেট সময় : ০৪:০০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 
ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারত। মৌসুমী বৃষ্টিতে তিন দেশের বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় অন্তত ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বন্যার কারণে মারা গেছেন আরো শতাধিক মানুষ।

ভারতে সবচেয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশটির দারিদ্রপীড়িত প্রদেশ আসাম এবং বিহার। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আসামে পানি বাড়তে থাকায় গত ১০ দিনে কয়েক লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় সরকারের এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর খবরে দেখা যায়, বিহারের অধিকাংশ এলাকার সড়ক ও রেলপথ ডুবে গেছে। লোকজন বুক সমান পানিতে নেমে বাড়িঘর ছেড়ে মাথায় মালপত্র নিয়ে অন্যত্র যাচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রত্যেক বছর বন্যায় ব্যাপক পরিমাণে বাস্ত্যুচুতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বর্ষার শুরুর দিকে এই ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৮০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া মারা যায় আরো কয়েক হাজার গবাদিপশু। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজার হাজার বাড়িঘর।

হিমালয় থেকে নেমে আসা ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসাম ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রের পানি ঢুকে পড়ায় অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ডুবে আসামে এক ডজনের বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল বলেছেন, ‘আসামের ৩১ থেকে ৩২টি জেলায় বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। আমরা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছি।

অন্যদিকে, প্রতিবেশি নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৬৪ জন নিহত ও ৩১ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের অনেকেই ভূমিধসের কারণে ঘর-বাড়ির নিচে চাপা পড়েছিলেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।তারা বলেছেন, দেশটির এক তৃতীয়াংশ জেলা ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

২০০৮ সালে নেপালে কসি নদীর তীর ভেঙে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। এতে প্রাণ যায় কমপক্ষে ৫০০ জনের।

এদিকে, বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় বন্যার পানিতে প্রায় ২ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বলে সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সূত্র : রয়টার্স।