ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে আলি আখতার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণ Logo ইবিতে তারুণ্যের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন” Logo স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বেনাপোলে দূর্বার তারুণ্য এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ Logo স্বাস্থ্য বাতায়ন নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পেইন Logo গণপূর্তের দুর্নীতির মহারাজ প্রকৌশলী মহিবুল পর্ব- ১ Logo “দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আতাউস সামাদ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত” Logo হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ Logo ‘ভালো থাকিস সবাই’ স্টোরি দেয়ার পর আত্মহত্যা করেন কুবি শিক্ষার্থী Logo শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ডন কাজী সাইফুর: রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ রিপ্লেসমেন্ট শেয়ার! Logo ইউজিসির গবেষণা প্রকল্প পেলেন কুবির দুই শিক্ষক




মারা গেছেন যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় আহত সার্জেন্ট 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিষয়টি সকালের সংবাদকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ক্যাম্প পুলিশের এএসআই আবদুল খান।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্নকাঠী জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। বেলা সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের গাড়ি বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা মেট্রো উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া।

কাভার্ডভ্যানটি ট্রাফিকের সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের তাকে থামার সংকেত দেন। কাভার্ডভ্যানচালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যান। এতে তার দুই পায়ের ৪টি স্থান ভেঙে যায় এবং মুত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।

কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

দায়িত্বরত অবস্থায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে চাপা দেয়ার ঘটনায় আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানচালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দর থানায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় চালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৭টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বেপরোয়া গতিতে যান চালানো, সিগন্যাল অমান্য, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পত্তির (মোটরসাইকেল) ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণসহ ৭টি অভিযোগ মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানচালক মো. জলিল মিয়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মৃত জলিল সিকদারের ছেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মারা গেছেন যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় আহত সার্জেন্ট 

আপডেট সময় : ১১:২৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিষয়টি সকালের সংবাদকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ক্যাম্প পুলিশের এএসআই আবদুল খান।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্নকাঠী জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। বেলা সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের গাড়ি বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা মেট্রো উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া।

কাভার্ডভ্যানটি ট্রাফিকের সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের তাকে থামার সংকেত দেন। কাভার্ডভ্যানচালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যান। এতে তার দুই পায়ের ৪টি স্থান ভেঙে যায় এবং মুত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।

কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

দায়িত্বরত অবস্থায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে চাপা দেয়ার ঘটনায় আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানচালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দর থানায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় চালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৭টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বেপরোয়া গতিতে যান চালানো, সিগন্যাল অমান্য, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পত্তির (মোটরসাইকেল) ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণসহ ৭টি অভিযোগ মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানচালক মো. জলিল মিয়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মৃত জলিল সিকদারের ছেলে।