ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক 




‘গাঁজা খেয়ে খেয়ে আমি ফকির হয়ে গেছি’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি; 
‘টানা ২০ বছর ধরে গাঁজা খেয়ে আসছি। গাঁজার নেশার কারণে ভিটে-মাটি, আত্মীয়-স্বজন সব হারিয়েছি। কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। শুনেছি গাঁজা খেলে নাকি রাজা হয়, কিন্তু আমি তো ফকির হয়ে গেছি।’

গাঁজা সেবনের দায়ে আটক ও ৩ মাসের কারাদণ্ড পাওয়া গৈজদ্দিন সরদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি এসব কথাগুলো বলেন।

তিনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ময়ছের মাতব্বর পাড়ার মৃত আলাউদ্দিন সরদারের ছেলে।

রোববার বিকাল ৫টার দিকে তাকে পৌরসভার কাজীপাড়া থেকে গাঁজা সেবনকালে আটক করা হয়। এ সময় তার দীর্ঘদিনের সেবন সঙ্গী শহিদুল ইসলাম (৫২) নামে অপর একজনকেও আটক করা হয়।

গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আমার ভালোভাবে কাজকর্ম করে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল। কিন্তু গাঁজার নেশার কারণে তা হয়নি। এখন ঠিক মতো কোনো কাজকর্মও করতে পারি না। স্ত্রী মারা গেছে কয়েক বছর হলো। ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ওরা ওদের মতো আছে।

তিনি বলেন, নিজের ভিটের ৫ শতাংশ জমি আরও কয়েক বছর আগে ছোট ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। বর্তমানে যেখানে রাত, সেখানেই কাত। জমি বিক্রির টাকার বেশিরভাগই গাঁজার পেছনে গেছে।

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অতি সাধারণ গাঁজাসেবী। যারা ভিআইপি গাঁজাসেবী ওনারা গোয়ালন্দ রেল স্টেশনের পেছনে গাঁজা সেবনের বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। ওখানে আমার মতো সাধারণরা যেতে পারে না।

গৈজদ্দিন ও সহিদুল ইসলাম ছাড়াও ওই দিন দৌলতদিয়া পোড়াভিটার করিমের বাড়ি থেকে গাঁজা সেবনকালে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন- কুদ্দুস ফকির (৪০), হালিম মোল্লা (৩৫), রিয়াদ সিকদার (৩৩) ও শফিকুল ইসলাম (৪০)।

আটক ৬ জনকেই ৩ মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাজবাড়ীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দলকে নিয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আটক ৬ গাঁজাসেবীকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আটককালে গৈজদ্দিন ও সহিদুলের কাছ থেকে ১২ পুড়িয়া গাঁজা ও গাঁজা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘গাঁজা খেয়ে খেয়ে আমি ফকির হয়ে গেছি’

আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি; 
‘টানা ২০ বছর ধরে গাঁজা খেয়ে আসছি। গাঁজার নেশার কারণে ভিটে-মাটি, আত্মীয়-স্বজন সব হারিয়েছি। কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। শুনেছি গাঁজা খেলে নাকি রাজা হয়, কিন্তু আমি তো ফকির হয়ে গেছি।’

গাঁজা সেবনের দায়ে আটক ও ৩ মাসের কারাদণ্ড পাওয়া গৈজদ্দিন সরদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি এসব কথাগুলো বলেন।

তিনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ময়ছের মাতব্বর পাড়ার মৃত আলাউদ্দিন সরদারের ছেলে।

রোববার বিকাল ৫টার দিকে তাকে পৌরসভার কাজীপাড়া থেকে গাঁজা সেবনকালে আটক করা হয়। এ সময় তার দীর্ঘদিনের সেবন সঙ্গী শহিদুল ইসলাম (৫২) নামে অপর একজনকেও আটক করা হয়।

গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আমার ভালোভাবে কাজকর্ম করে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল। কিন্তু গাঁজার নেশার কারণে তা হয়নি। এখন ঠিক মতো কোনো কাজকর্মও করতে পারি না। স্ত্রী মারা গেছে কয়েক বছর হলো। ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ওরা ওদের মতো আছে।

তিনি বলেন, নিজের ভিটের ৫ শতাংশ জমি আরও কয়েক বছর আগে ছোট ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। বর্তমানে যেখানে রাত, সেখানেই কাত। জমি বিক্রির টাকার বেশিরভাগই গাঁজার পেছনে গেছে।

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অতি সাধারণ গাঁজাসেবী। যারা ভিআইপি গাঁজাসেবী ওনারা গোয়ালন্দ রেল স্টেশনের পেছনে গাঁজা সেবনের বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। ওখানে আমার মতো সাধারণরা যেতে পারে না।

গৈজদ্দিন ও সহিদুল ইসলাম ছাড়াও ওই দিন দৌলতদিয়া পোড়াভিটার করিমের বাড়ি থেকে গাঁজা সেবনকালে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন- কুদ্দুস ফকির (৪০), হালিম মোল্লা (৩৫), রিয়াদ সিকদার (৩৩) ও শফিকুল ইসলাম (৪০)।

আটক ৬ জনকেই ৩ মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাজবাড়ীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দলকে নিয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আটক ৬ গাঁজাসেবীকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আটককালে গৈজদ্দিন ও সহিদুলের কাছ থেকে ১২ পুড়িয়া গাঁজা ও গাঁজা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।