ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




ভয়ংকর হয়ে উঠছে ব্রহ্মপুত্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা;

গাইবান্ধায় আরও বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। শনিবার সকাল ৯টায় নদের ফুলছড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী চরসহ নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তিস্তা, ঘাঘট নদীবেষ্টিত সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির স্রোতে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই এলাকার লোকজনের মাঝে বন্যা ও ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বসতবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে অনেকে পড়েছেন বিপাকে। তবে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা বা তথ্য এখনও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতাও। এতে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছে নদী ভাঙন। ফলে গত দু’সপ্তাহে নদী ভাঙনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নের আবাদি জমি, রাস্তাসহ শতাধিক বাড়িঘর এবং শতাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম জাকির বলেন, দুই বছরে এ ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, গোঘাট নদীতে বিলীন হয়েছে। অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার বসতভিটা, আবাদি জমি, হারিয়েছে। এছাড়াও মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। কোনো প্রতিকার মিলছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভয়ংকর হয়ে উঠছে ব্রহ্মপুত্র

আপডেট সময় : ০১:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা;

গাইবান্ধায় আরও বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। শনিবার সকাল ৯টায় নদের ফুলছড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী চরসহ নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তিস্তা, ঘাঘট নদীবেষ্টিত সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির স্রোতে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই এলাকার লোকজনের মাঝে বন্যা ও ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বসতবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে অনেকে পড়েছেন বিপাকে। তবে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা বা তথ্য এখনও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতাও। এতে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছে নদী ভাঙন। ফলে গত দু’সপ্তাহে নদী ভাঙনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নের আবাদি জমি, রাস্তাসহ শতাধিক বাড়িঘর এবং শতাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম জাকির বলেন, দুই বছরে এ ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, গোঘাট নদীতে বিলীন হয়েছে। অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার বসতভিটা, আবাদি জমি, হারিয়েছে। এছাড়াও মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। কোনো প্রতিকার মিলছে না।