ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




গাইবান্ধায় সড়কে ধান রোপণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি; 

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরের প্রধান সড়কটি সংস্কারের দাবিতে গতকাল শুক্রবার ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়েছে। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে, কেউ ছাতা হাতে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এর আগের দিন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর-ধাপেরহাট সড়কটি সংস্কারের দাবিতে রাস্তার কাদায় ধানের চারা রোপণ করেছেন এলাকার লোকজন।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে ডোমার উপজেলা শহরের রেলগুমটি মোড়ে মানববন্ধন শুরু হয়। প্রতিবাদী ডোমারবাসীর ব্যানারে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন।

বক্তারা বলেন, ডোমার উপজেলা শহরে থানার সামনে থেকে বাজার ও বাসস্ট্যান্ডের ওপর দিয়ে যাওয়া প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটির কোথাও হাঁটুসমান আবার কোথাও এর চেয়েও গভীর গর্ত রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে এসব গর্তে পানি জমে। এতে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। ডোমারবাসীসহ এ পথে চলাচলকারী ব্যক্তিদের কষ্ট সয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাঁরা আরও বলেন, চার বছর ধরে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রতিবার বর্ষা মৌসুমে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সড়কটি সংস্কার করার কথা বললেও তা করছে না। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সড়কটি সংস্কার না হলে আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

জানতে চাইলে সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম হামিদুর রহমান বলেন, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের ১ কিলোমিটার সংস্কারকাজের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হক এন্টারপ্রাইজ আগামী সাত দিনের মধ্যে কাজটি শুরু করবে।

গাইবান্ধার ধাপেরহাট ইউনিয়নের লোকজন জানান, সাদুল্যাপুর থেকে ধাপেরহাট সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। কয়েক বছর ধরে এটি বেহাল হয়ে পড়লেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সাদিপাড়া, হিংগারপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে, আজগর আলী কলেজ, জামে মসজিদ, পল্টন মোড়, মন্দির ও ফাইভ স্টার মোড়ের সামনে। এসব জায়গায় সৃষ্টি হওয়া বড় গর্তে পানি জমে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে রাস্তার কাদায় ধানের চারা রোপণ করা হয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সড়কটির ধাপেরহাট পল্টন মোড়ের অদূরে এসব চারা লাগানো হয়।

হিংগারপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী সোলায়মান আলী বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পথে চলাচল করেন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। এটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে এলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ধাপেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল বলেন, ধাপেরহাটের পল্টন মোড় থেকে আজগর আলী কলেজ পর্যন্ত নর্দমা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটিসহ আশপাশের বাসাবাড়ি, দোকানে পানি ওঠে।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম বলেন, সড়কটি সংস্কার করতে একটি প্রস্তাব চলতি বছরের শুরুতেই পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে প্রক্রিয়া অনুযায়ী দরপত্র আহ্বানের পর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গাইবান্ধায় সড়কে ধান রোপণ

আপডেট সময় : ১২:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯

নীলফামারী প্রতিনিধি; 

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরের প্রধান সড়কটি সংস্কারের দাবিতে গতকাল শুক্রবার ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়েছে। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে, কেউ ছাতা হাতে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এর আগের দিন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর-ধাপেরহাট সড়কটি সংস্কারের দাবিতে রাস্তার কাদায় ধানের চারা রোপণ করেছেন এলাকার লোকজন।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে ডোমার উপজেলা শহরের রেলগুমটি মোড়ে মানববন্ধন শুরু হয়। প্রতিবাদী ডোমারবাসীর ব্যানারে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন।

বক্তারা বলেন, ডোমার উপজেলা শহরে থানার সামনে থেকে বাজার ও বাসস্ট্যান্ডের ওপর দিয়ে যাওয়া প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটির কোথাও হাঁটুসমান আবার কোথাও এর চেয়েও গভীর গর্ত রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে এসব গর্তে পানি জমে। এতে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। ডোমারবাসীসহ এ পথে চলাচলকারী ব্যক্তিদের কষ্ট সয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাঁরা আরও বলেন, চার বছর ধরে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রতিবার বর্ষা মৌসুমে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সড়কটি সংস্কার করার কথা বললেও তা করছে না। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সড়কটি সংস্কার না হলে আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

জানতে চাইলে সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম হামিদুর রহমান বলেন, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের ১ কিলোমিটার সংস্কারকাজের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হক এন্টারপ্রাইজ আগামী সাত দিনের মধ্যে কাজটি শুরু করবে।

গাইবান্ধার ধাপেরহাট ইউনিয়নের লোকজন জানান, সাদুল্যাপুর থেকে ধাপেরহাট সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। কয়েক বছর ধরে এটি বেহাল হয়ে পড়লেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সাদিপাড়া, হিংগারপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে, আজগর আলী কলেজ, জামে মসজিদ, পল্টন মোড়, মন্দির ও ফাইভ স্টার মোড়ের সামনে। এসব জায়গায় সৃষ্টি হওয়া বড় গর্তে পানি জমে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে রাস্তার কাদায় ধানের চারা রোপণ করা হয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সড়কটির ধাপেরহাট পল্টন মোড়ের অদূরে এসব চারা লাগানো হয়।

হিংগারপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী সোলায়মান আলী বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পথে চলাচল করেন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। এটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে এলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ধাপেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল বলেন, ধাপেরহাটের পল্টন মোড় থেকে আজগর আলী কলেজ পর্যন্ত নর্দমা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটিসহ আশপাশের বাসাবাড়ি, দোকানে পানি ওঠে।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম বলেন, সড়কটি সংস্কার করতে একটি প্রস্তাব চলতি বছরের শুরুতেই পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে প্রক্রিয়া অনুযায়ী দরপত্র আহ্বানের পর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।