আধিপত্য বিস্তার করে যাতায়াতের রাস্তায় প্লট নির্মান

- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি: টাকা দিলে নাকি বাঘের চোখ ও পাওয়া যায়। তবে এবার বাঘের চোখ নয় গুইমারা বাজারের অসহায় ব্যাবসায়ীদের খালে যাতায়াতের একমাত্র পথটি ও টাকার কাছে অসহায়ত্ব বরন করেছে। আর তা করলেন গুইমারা বাজারের ব্যাবসায়ী ছায়েদুল হক। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ “খালে প্রবেশের রাস্তায় প্লট নির্মানের এবং খাল দখলের”
গুইমারার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মশিউর রহমান তারেক অভিযোগ করেন, ছায়েদুল হক বাজারের আরেক ব্যাবসায়ী নিজামের কাছ থেকে একটি প্লট কিনেন। সম্প্রতি ছায়েদুল হক তার প্লটটি বিল্ড়িং করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু তিনি তার নামীয় প্লটটিতে তার যন্য যতটুকু বরাদ্ধ আছে তার চেয়েও দশফুট বাড়তি বিল্ড়িং করার প্রচেষ্টা চালান। যা একমাত্র বাজারের খালে নামার পথ। এবং প্লটের পিছন দিয়ে খুঁটি গেড়ে ও খাল দখল করার পাঁয়তারা চালান। পরে তারেক তাদের বাধা দেন। বাধা দেওয়া শর্তেও ছায়েদুল হক অবৈধ দখল করার উদ্দেশ্যে খালের পার্শে এবং খালে নামার রাস্তায় জোরপূর্বক খুটি গেড়ে দখল করা অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায়, খালে নামার রাস্তার যায়গা বন্ধ করে তারা খুটি গাড়েন কিছু অংশের মধ্যে টিন দিয়ে অন্য প্লটের সাথে সমন্বয় করেন তিনি। এবং প্লটের পিছনে আরো খুঁটি গেড়ে খালের যায়গা দখল করেন তিনি।
এ বিষয়ে ছায়েদুল হকের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, খালে নামার রাস্তা দখল করেছি তা ঠিক। তবে বাজার কমিটি বললে তা আবার ছেড়ে দিবো। তবে তিনি আরো বলেন, অন্যেরা খালের বিশাল যায়গা দখল করলে কিছুই হয়না, আর আমি সামান্য খালের রাস্তা দখল করে খুঁটি গেড়েছি এটি নিয়ে এতো হইছই।
বাজার কমিটির সেক্রেটারি এবং গুইমারা উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের কাছে খালে নামার রাস্তা নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে। আমি তাকে রাস্তার যায়গায় কোন প্রকার খুঁটি ও ঘরবাড়ি নির্মানের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলি। যদি করে থাকে সে অন্যায় করেছে।