ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




র‌্যাবের হাতে ভুয়া র‌্যাব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯ ১১১ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি |

পটুয়াখালীতে দুই ভুয়া র‌্যাবকে আটক করেছে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি টাকা মোবাইল সেট এবং একাধিক সংগঠনের পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। আটকরা হলেন- জিললুর রহমান জুয়েল ও জাকির হোসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলা শহরের একটি মাছের আড়ৎ থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের বাড়ি গলাচিপা উপজেলা চিকনিকান্দি ইউনিয়নে।

পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি সোয়েব আহমেদ খান রাত সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, আটক জিললুর রহমান ও জাকির হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার র‌্যাব পরিচয়ে পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাঁদাবাজি করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার জিললুর রহমান ও জাকির র‌্যাব পরিচয়ে গলাচিপা উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী চান মিয়া, হেলাল ও মজিবুল গাজীর কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে।

ওই দিন তাদের ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করলে পুনরায় বুধবার তাদের কাছে টাকা আনতে যায় জিললুর ও জাকির।

এসময় ভুক্তভোগীরা পটুয়াখালী র‌্যাব-৮কে অবহিত করে তাদের টাকা দেয়ার আশায় বসিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী র‌্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করেন।

এ সময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।

পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার সোয়েব আহমেদ খান আরও জানান, আটকদের সঙ্গে বিশাল একটি প্রতারক চক্র জড়িত রয়েছে।

এই চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে কখনো র‌্যাব, কখনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কখনো পুলিশের বড় অফিসার পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে আসছে।

এছাড়া তারা স্বনামধন্য পত্রিকা অথবা মিডিয়ার পরিচয় দিত। এ সময় জিললুর রহমানের কাছ থেকে একাধিক মিডিয়ার পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হলেও তার কোনো সত্যতা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




র‌্যাবের হাতে ভুয়া র‌্যাব

আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯

পটুয়াখালী প্রতিনিধি |

পটুয়াখালীতে দুই ভুয়া র‌্যাবকে আটক করেছে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি টাকা মোবাইল সেট এবং একাধিক সংগঠনের পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। আটকরা হলেন- জিললুর রহমান জুয়েল ও জাকির হোসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলা শহরের একটি মাছের আড়ৎ থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের বাড়ি গলাচিপা উপজেলা চিকনিকান্দি ইউনিয়নে।

পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি সোয়েব আহমেদ খান রাত সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, আটক জিললুর রহমান ও জাকির হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার র‌্যাব পরিচয়ে পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাঁদাবাজি করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার জিললুর রহমান ও জাকির র‌্যাব পরিচয়ে গলাচিপা উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী চান মিয়া, হেলাল ও মজিবুল গাজীর কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে।

ওই দিন তাদের ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করলে পুনরায় বুধবার তাদের কাছে টাকা আনতে যায় জিললুর ও জাকির।

এসময় ভুক্তভোগীরা পটুয়াখালী র‌্যাব-৮কে অবহিত করে তাদের টাকা দেয়ার আশায় বসিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী র‌্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করেন।

এ সময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।

পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার সোয়েব আহমেদ খান আরও জানান, আটকদের সঙ্গে বিশাল একটি প্রতারক চক্র জড়িত রয়েছে।

এই চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে কখনো র‌্যাব, কখনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কখনো পুলিশের বড় অফিসার পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে আসছে।

এছাড়া তারা স্বনামধন্য পত্রিকা অথবা মিডিয়ার পরিচয় দিত। এ সময় জিললুর রহমানের কাছ থেকে একাধিক মিডিয়ার পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হলেও তার কোনো সত্যতা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি।