ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ




মানবতার পথে প্রতিদিন ১৮ কিলোমিটার বৈঠা বেয়ে ছোটেন এক নারী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০ ১১২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রতিদিন ১৮ কিলোমিটার নৌকা চালিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসী শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের সেবা দিতে তাদের দ্বারপ্রান্তে ছুটে যান রেলু ভাসাভি। তিনি একজন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। ভারতের মহারাষ্ট্রের নানদুরবার এলাকার এই নারী স্বাস্থ্যকর্মীর কর্তব্যপরায়ণতার গল্প অবাক করার মতো।

রেলু ভাসাভি মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকার বাসিন্দা। বেড়ে উঠেছেন নারমাদা নদীর তীরে। সেখানেই সাঁতার শেখা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে স্থানীয় দুটি ছোট গ্রামের গর্ভবতী মা ও ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের সেবা দিতে শুরু করেন তিনি। উদ্দেশ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মা ও শিশু যাতে কিছুতেই যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা কিংবা পুষ্টিবঞ্চিত না হয়।

কাজের অংশ হিসেবে তিনি নিয়মিত ওই এলাকার মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য, ওজন, বেড়ে ওঠা পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন নৌকা বেয়ে এত পথ পাড়ি দেয়া সহজ বিষয় নয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার পর আমার হাতে ব্যথা হয়। কিন্তু সেজন্য আমার চিন্তা নেই। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নবজাতক ও তাদের মায়েদের পুষ্টিকর খাবার ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমি ওই ছোট ছোট গ্রামে সেবা দিয়ে যাব।’

চলমান এই মহামারিতে এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।

ইতোমধ্যে রেলুর এই মহতী উদ্যোগের কথা পৌঁছে গেছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কানে। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মানবতার পথে প্রতিদিন ১৮ কিলোমিটার বৈঠা বেয়ে ছোটেন এক নারী

আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রতিদিন ১৮ কিলোমিটার নৌকা চালিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসী শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের সেবা দিতে তাদের দ্বারপ্রান্তে ছুটে যান রেলু ভাসাভি। তিনি একজন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। ভারতের মহারাষ্ট্রের নানদুরবার এলাকার এই নারী স্বাস্থ্যকর্মীর কর্তব্যপরায়ণতার গল্প অবাক করার মতো।

রেলু ভাসাভি মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকার বাসিন্দা। বেড়ে উঠেছেন নারমাদা নদীর তীরে। সেখানেই সাঁতার শেখা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে স্থানীয় দুটি ছোট গ্রামের গর্ভবতী মা ও ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের সেবা দিতে শুরু করেন তিনি। উদ্দেশ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মা ও শিশু যাতে কিছুতেই যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা কিংবা পুষ্টিবঞ্চিত না হয়।

কাজের অংশ হিসেবে তিনি নিয়মিত ওই এলাকার মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য, ওজন, বেড়ে ওঠা পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন নৌকা বেয়ে এত পথ পাড়ি দেয়া সহজ বিষয় নয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার পর আমার হাতে ব্যথা হয়। কিন্তু সেজন্য আমার চিন্তা নেই। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নবজাতক ও তাদের মায়েদের পুষ্টিকর খাবার ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমি ওই ছোট ছোট গ্রামে সেবা দিয়ে যাব।’

চলমান এই মহামারিতে এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।

ইতোমধ্যে রেলুর এই মহতী উদ্যোগের কথা পৌঁছে গেছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কানে। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।