ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




উত্তর কোরিয়ার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য ফাঁস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

উত্তর কোরিয়ার বিধিবহির্ভূত আটক ও তদন্ত ব্যবস্থায় যথাযথ কোনো প্রক্রিয়ার আবাস নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। আজ সোমবার প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য ফাঁস করা হয়।

‘ওয়র্থ লেস দেন আন অ্যানিম্যাল: অ্যাবইউজেস অ্যান্ড ডিও প্রসেস ভায়োলেশন্স ইন প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশন ইন নর্থ কোরিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত ৮৮ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে দেশটির অস্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থার একটি অনন্য এবং বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার দুর্বল আইনি ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অধীনে আদালত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক প্রকৃতি তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রি-ট্রায়াল আটক এবং তদন্ত ব্যবস্থা হিংস্র, নিষ্ঠুর এবং বিধিবহির্ভূত। উত্তর কোরিয়ানরা বলেছেন, তারা যেকোনো সময়, যে কোনো ব্যবস্থায় ধরা পড়ার ভয়ে নিয়ে বাস করেন। সেখানের অফিসিয়াল পদ্ধতিগুলো সাধারণত অপ্রাসঙ্গিক। আর ধরা পড়লে ছাড়া পাওয়ার উপায় হলো ঘুষ দেওয়া বা কোনো মাধ্যমে সংযোগস্থাপন করে বের হয়ে আসা।

দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়া আট প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা ও ২২ জন কোরিয়ান নাগরিকের সাক্ষৎকার নিয়েছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ । এর মধ্যে ১৫ জন নারী এবং ৭ জন পুরুষকে আটকে রেখা হয়েছিল দেশটির আটকখানায়। দেশটির বর্তমান নেতা কিম জং উন ক্ষমতা গ্রহণের পরে থেকে তাদের আটক রাখা হয় বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

প্রাক্তন আটককৃতরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানান, যদি একবার গ্রেপ্তার হন তাহলে তাদের কী হবে তা জানার উপায় ছিল না। স্বাধীন আইনজীবীর নেওয়ার উপায় ছিল না। নির্যাতন বা ফৌজদারি কার্যবিধির আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে আবেদন করার কোনো অধিকার নেই সে দেশে। কোনো ব্যক্তি যখন সরকারি তদন্তের মুখোমুখি হন তখন স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদি অবৈতনিক বাধ্যগতভাবে কাজ এড়ানোর সম্ভাবনা খুব কমই থাকে। ধর্ষণসহ যৌন নির্যতানের মুখোমুখি হন অনেক আটক নারীও।

তারা বলছেন, তাদের দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা করে ফ্লোরে বসিয়ে রাখা হতো, কখনো হাঁটুগেড়ে রাখা হতো, কখনো চোখ ঠেসে থাকতে হতো মেঝেতে। কখনো কখনো ১৩ থেকে ১৬ ঘণ্টা এভাবে কেটে যেত। যদি কোনো বন্দি এই সময়ে নড়াচড়া করতেন তাহলে সবাইকে নতুন করে শাস্তি দেয়া হতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




উত্তর কোরিয়ার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য ফাঁস

আপডেট সময় : ০৯:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;

উত্তর কোরিয়ার বিধিবহির্ভূত আটক ও তদন্ত ব্যবস্থায় যথাযথ কোনো প্রক্রিয়ার আবাস নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। আজ সোমবার প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য ফাঁস করা হয়।

‘ওয়র্থ লেস দেন আন অ্যানিম্যাল: অ্যাবইউজেস অ্যান্ড ডিও প্রসেস ভায়োলেশন্স ইন প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশন ইন নর্থ কোরিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত ৮৮ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে দেশটির অস্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থার একটি অনন্য এবং বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার দুর্বল আইনি ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অধীনে আদালত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক প্রকৃতি তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রি-ট্রায়াল আটক এবং তদন্ত ব্যবস্থা হিংস্র, নিষ্ঠুর এবং বিধিবহির্ভূত। উত্তর কোরিয়ানরা বলেছেন, তারা যেকোনো সময়, যে কোনো ব্যবস্থায় ধরা পড়ার ভয়ে নিয়ে বাস করেন। সেখানের অফিসিয়াল পদ্ধতিগুলো সাধারণত অপ্রাসঙ্গিক। আর ধরা পড়লে ছাড়া পাওয়ার উপায় হলো ঘুষ দেওয়া বা কোনো মাধ্যমে সংযোগস্থাপন করে বের হয়ে আসা।

দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়া আট প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা ও ২২ জন কোরিয়ান নাগরিকের সাক্ষৎকার নিয়েছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ । এর মধ্যে ১৫ জন নারী এবং ৭ জন পুরুষকে আটকে রেখা হয়েছিল দেশটির আটকখানায়। দেশটির বর্তমান নেতা কিম জং উন ক্ষমতা গ্রহণের পরে থেকে তাদের আটক রাখা হয় বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

প্রাক্তন আটককৃতরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানান, যদি একবার গ্রেপ্তার হন তাহলে তাদের কী হবে তা জানার উপায় ছিল না। স্বাধীন আইনজীবীর নেওয়ার উপায় ছিল না। নির্যাতন বা ফৌজদারি কার্যবিধির আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে আবেদন করার কোনো অধিকার নেই সে দেশে। কোনো ব্যক্তি যখন সরকারি তদন্তের মুখোমুখি হন তখন স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদি অবৈতনিক বাধ্যগতভাবে কাজ এড়ানোর সম্ভাবনা খুব কমই থাকে। ধর্ষণসহ যৌন নির্যতানের মুখোমুখি হন অনেক আটক নারীও।

তারা বলছেন, তাদের দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা করে ফ্লোরে বসিয়ে রাখা হতো, কখনো হাঁটুগেড়ে রাখা হতো, কখনো চোখ ঠেসে থাকতে হতো মেঝেতে। কখনো কখনো ১৩ থেকে ১৬ ঘণ্টা এভাবে কেটে যেত। যদি কোনো বন্দি এই সময়ে নড়াচড়া করতেন তাহলে সবাইকে নতুন করে শাস্তি দেয়া হতো।