ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




লকডাউনে পাওয়া গেলো না অ্যাম্বুলেন্স, পথেই শিশুর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 
করোনা ভাইরাসে বিস্তার ঠেকাতে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও লকডাউন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে দেশটির বিহার রাজ্যে ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। লকডাউন থাকায় অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে পথেই মারা গেলেন তিন বছরের এক শিশু।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিহারের এই তিন বছরের শিশুটি। তাকে স্থানীয় শাহোপরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ক্রমেই শিশুটির শারীরিক অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে শিশুটিকে বিহারের জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। লকডাউনে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় টেম্পো ভাড়া করে শিশুটিকে জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

শিশুটির বাবা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশির ফলে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল আমার সন্তান। বারবার চিকিৎসকদের বলা সত্ত্বেও তারা ভ্রুক্ষেপই করছিলেন না। এরপর এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাদের পাটনা হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু আমার সন্তানের শারীরিক পরিস্থিতি দেখেও তারা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেননি। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করবো। এরপর গত শুক্রবার রাতে বিহারের জেহানাবাদে মৃত্যুর পর শিশুটিকে কয়েকজন স্থানীয়ের সহায়তায় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়।

এদিকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিহারের জেহানাবাদ জেলার কর্মকর্তা নাভিন কুমার বলেন, আমরা সরকারি সদর হাসপাতালের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছি এবং কিছু ডাক্তারকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। কেন অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হলো না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি। .

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




লকডাউনে পাওয়া গেলো না অ্যাম্বুলেন্স, পথেই শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:০০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 
করোনা ভাইরাসে বিস্তার ঠেকাতে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও লকডাউন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে দেশটির বিহার রাজ্যে ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। লকডাউন থাকায় অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে পথেই মারা গেলেন তিন বছরের এক শিশু।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিহারের এই তিন বছরের শিশুটি। তাকে স্থানীয় শাহোপরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ক্রমেই শিশুটির শারীরিক অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে শিশুটিকে বিহারের জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। লকডাউনে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় টেম্পো ভাড়া করে শিশুটিকে জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

শিশুটির বাবা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশির ফলে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল আমার সন্তান। বারবার চিকিৎসকদের বলা সত্ত্বেও তারা ভ্রুক্ষেপই করছিলেন না। এরপর এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাদের পাটনা হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু আমার সন্তানের শারীরিক পরিস্থিতি দেখেও তারা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেননি। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করবো। এরপর গত শুক্রবার রাতে বিহারের জেহানাবাদে মৃত্যুর পর শিশুটিকে কয়েকজন স্থানীয়ের সহায়তায় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়।

এদিকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিহারের জেহানাবাদ জেলার কর্মকর্তা নাভিন কুমার বলেন, আমরা সরকারি সদর হাসপাতালের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছি এবং কিছু ডাক্তারকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। কেন অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হলো না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি। .