ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন




কোচকে সরাতে কোহলির ষড়যন্ত্র : ফাঁস হলো ই-মেইল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

 

স্পোর্টস ডেস্ক: খেলায় সাধারণত কোচরা খেলোয়াড়দের ‘বলির পাঁঠা’ বানান, শোনা যায় এমনটাই। তবে কখনও যদি কোচ কিংবা প্রশাসনের চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর হয়ে যায় খেলোয়াড়, তবে তো সেটা দুশ্চিন্তার বিষয়ই। এই দুশ্চিন্তা অবশ্য এখন সেভাবে পড়ছে না ভারতীয় ক্রিকেটে। কারণ বিরাট কোহলির অধীনে দল সাফল্য পাচ্ছে।

ভারতীয় ক্রিকেটে কোহলির ক্ষমতা নিয়ে অনেক কথা আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিতর্ক, সেটা হলো কোচ অনিল কুম্বলেকে সরিয়ে দেয়া। কোহলি একক ক্ষমতাবলে কোচ কুম্বলেকে ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছিলেন, এমন কথা প্রচলিত আছে বাজারে। এবার এক ই-মেইল ফাঁস হলো, যেটিতে কোহলির কোচ সরানোর ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।

কুম্বলে কোচ থাকার সময় ভীষণ সফল ছিল ভারত। ১৭ টেস্টে তারা মাত্র একটি হার দেখেছিল। তারপরও গত বছর ভারতীয় দলের কোচের পদ ছেড়ে দেন দেশের কিংবদন্তি এই লেগস্পিনার। কিন্তু কেন?

ফাঁস হওয়া ই-মেইল থেকে জানা গেছে, কোহলি নাকি কুম্বলে কোচ থাকার সময় নিয়মিত মেসেজ (খুদেবার্তা) পাঠাতেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাহী রাহুল জহুরির কাছে। সেগুলো সবই ছিল কোচের বিরুদ্ধে।

শচিন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষ্মণ আর সৌরভ গাঙ্গুলির মতো কিংবদন্তিদের নিয়ে গড়া ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট এডভাইজরি কমিটিই (সিএসি) কুম্বলেকে কোচের দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কোহলির দাপটে এই পদে টিকতে পারেননি কুম্বলে।

ফাঁস হওয়া ই-মেইলে দাবি করা হয়, অধিনায়কের পছন্দে রবি শাস্ত্রীকে কোচ বানিয়ে আসলে বিসিসিআইয়ের নিয়মই ভাঙা হয়েছে। কুম্বলে তার পদত্যাগের সময় পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছিলেন, অধিনায়কের তার ধরণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আপত্তির কথা। এমতাবস্থায় অধিনায়কের সঙ্গে জুটি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছিলেন এই কোচ।

ডায়ানা এডুলজির ওই ফাঁস হওয়া ই-মেইলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোহলির ক্ষমতার তুলনা এনে। তিনি বিসিসিআই কর্তাদের পাঠানো ই-মেইলে লিখেছেন, ‘বিরাট চাননি কুম্বলে দায়িত্ব চালিয়ে যান, সিএসি সেটা চাওয়া সত্ত্বেও। জনাব কুম্বলেকে অপমানিত করা হয়েছে এবং তাকে ভিলেন বানানো হয়েছে। তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট যোগ্য ছিলেন। আমি তাকে সম্মান করি। কিন্তু নিয়ম ভাঙা হয়েছে। আমি তখন এটার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কোচকে সরাতে কোহলির ষড়যন্ত্র : ফাঁস হলো ই-মেইল

আপডেট সময় : ০১:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

 

স্পোর্টস ডেস্ক: খেলায় সাধারণত কোচরা খেলোয়াড়দের ‘বলির পাঁঠা’ বানান, শোনা যায় এমনটাই। তবে কখনও যদি কোচ কিংবা প্রশাসনের চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর হয়ে যায় খেলোয়াড়, তবে তো সেটা দুশ্চিন্তার বিষয়ই। এই দুশ্চিন্তা অবশ্য এখন সেভাবে পড়ছে না ভারতীয় ক্রিকেটে। কারণ বিরাট কোহলির অধীনে দল সাফল্য পাচ্ছে।

ভারতীয় ক্রিকেটে কোহলির ক্ষমতা নিয়ে অনেক কথা আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিতর্ক, সেটা হলো কোচ অনিল কুম্বলেকে সরিয়ে দেয়া। কোহলি একক ক্ষমতাবলে কোচ কুম্বলেকে ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছিলেন, এমন কথা প্রচলিত আছে বাজারে। এবার এক ই-মেইল ফাঁস হলো, যেটিতে কোহলির কোচ সরানোর ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।

কুম্বলে কোচ থাকার সময় ভীষণ সফল ছিল ভারত। ১৭ টেস্টে তারা মাত্র একটি হার দেখেছিল। তারপরও গত বছর ভারতীয় দলের কোচের পদ ছেড়ে দেন দেশের কিংবদন্তি এই লেগস্পিনার। কিন্তু কেন?

ফাঁস হওয়া ই-মেইল থেকে জানা গেছে, কোহলি নাকি কুম্বলে কোচ থাকার সময় নিয়মিত মেসেজ (খুদেবার্তা) পাঠাতেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাহী রাহুল জহুরির কাছে। সেগুলো সবই ছিল কোচের বিরুদ্ধে।

শচিন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষ্মণ আর সৌরভ গাঙ্গুলির মতো কিংবদন্তিদের নিয়ে গড়া ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট এডভাইজরি কমিটিই (সিএসি) কুম্বলেকে কোচের দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কোহলির দাপটে এই পদে টিকতে পারেননি কুম্বলে।

ফাঁস হওয়া ই-মেইলে দাবি করা হয়, অধিনায়কের পছন্দে রবি শাস্ত্রীকে কোচ বানিয়ে আসলে বিসিসিআইয়ের নিয়মই ভাঙা হয়েছে। কুম্বলে তার পদত্যাগের সময় পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছিলেন, অধিনায়কের তার ধরণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আপত্তির কথা। এমতাবস্থায় অধিনায়কের সঙ্গে জুটি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছিলেন এই কোচ।

ডায়ানা এডুলজির ওই ফাঁস হওয়া ই-মেইলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোহলির ক্ষমতার তুলনা এনে। তিনি বিসিসিআই কর্তাদের পাঠানো ই-মেইলে লিখেছেন, ‘বিরাট চাননি কুম্বলে দায়িত্ব চালিয়ে যান, সিএসি সেটা চাওয়া সত্ত্বেও। জনাব কুম্বলেকে অপমানিত করা হয়েছে এবং তাকে ভিলেন বানানো হয়েছে। তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট যোগ্য ছিলেন। আমি তাকে সম্মান করি। কিন্তু নিয়ম ভাঙা হয়েছে। আমি তখন এটার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম।’