ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




পাকিস্তানে তাবলিগের ২০ হাজার সদস্য কোয়ারেন্টিনে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০ ৯২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 

পাকিস্তানে তাবলিগ জামাতের ২০ হাজার মুসুল্লিকে কোয়ারেন্টিনে নিয়েছে সরকার। গত মাসে রাইভেন্ড মারকাজে একটি ইজতেমায় যোগ দেয়া প্রায় সব মুসুল্লিকেই কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হচ্ছে।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ওই জমায়েতে যোগ দেয়া আরও কয়েক হাজার মানুষকে খুঁজছে প্রশাসন।

গত ১০ মার্চ থেকে রাইভেন্ডে তাবলিগ জামাতের পাঁচ দিনের একটি ইজতেমায় স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।

ওই ইজতেমা থেকে ফেরা চার জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে সিন্ধুর স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে। এরপর থেকেই মারকজটিকে কোয়ারেন্টিন করা হয়।

স্থানীয় প্রশাসন আশঙ্কা করছে যে, রাইভেন্ডের ওই ইজতেমা থেকে পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। ওই জমায়েতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছিল।

আয়োজনের শুরুতেই পাঞ্জাব সরকার তাবলিগের দায়িত্বশীলদের এমন পরিস্থিতিতে ইজতেমা আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের অনুরোধ উপেক্ষা করেই ইজতেমার আয়োজন অব্যাহত রেখেছিলেন তারা।

লাহোরের ওই ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন এমন কমপক্ষে ৫৩০০ তাবলিগি সদস্যকে ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টিনে নিয়েছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পখতুনখাওয়া কর্তৃপক্ষ।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে ওই অঞ্চলের মুখপাত্র আজমল ওয়াজির বলেছেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করছেন। এরই মধ্যে অনেকের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। এই প্রদেশের আরো হাজার হাজার তাবলিগি মুসল্লি অন্য প্রদেশে আটকা পড়েছে। কারণ, দেশের বড় বড় মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, লাহোরের কেন্দ্রীয় শহর পাঞ্জাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে প্রায় সাত হাজার মানুষকে। সিন্ধুতে এ সংখ্যা ৮ হাজার। বেলুচিস্তান প্রদেশে বিপুল সংখ্যক তাবলিগ সদস্যকে আইসোলেশনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।

গত মাসে তাবলিগ জামাতে যোগ দিয়েছিলেন এমন কমপক্ষে ১৫৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে তাবলিগ জামাত বিশ্বব্যাপী দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দিন মারকাজের বিরোধিতা করে পাকিস্থানের তাবলিগি নেতারা।

তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দিন মারকাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শুরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পাকিস্তানে তাবলিগের ২০ হাজার সদস্য কোয়ারেন্টিনে

আপডেট সময় : ১১:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 

পাকিস্তানে তাবলিগ জামাতের ২০ হাজার মুসুল্লিকে কোয়ারেন্টিনে নিয়েছে সরকার। গত মাসে রাইভেন্ড মারকাজে একটি ইজতেমায় যোগ দেয়া প্রায় সব মুসুল্লিকেই কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হচ্ছে।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ওই জমায়েতে যোগ দেয়া আরও কয়েক হাজার মানুষকে খুঁজছে প্রশাসন।

গত ১০ মার্চ থেকে রাইভেন্ডে তাবলিগ জামাতের পাঁচ দিনের একটি ইজতেমায় স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।

ওই ইজতেমা থেকে ফেরা চার জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে সিন্ধুর স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে। এরপর থেকেই মারকজটিকে কোয়ারেন্টিন করা হয়।

স্থানীয় প্রশাসন আশঙ্কা করছে যে, রাইভেন্ডের ওই ইজতেমা থেকে পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। ওই জমায়েতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছিল।

আয়োজনের শুরুতেই পাঞ্জাব সরকার তাবলিগের দায়িত্বশীলদের এমন পরিস্থিতিতে ইজতেমা আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের অনুরোধ উপেক্ষা করেই ইজতেমার আয়োজন অব্যাহত রেখেছিলেন তারা।

লাহোরের ওই ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন এমন কমপক্ষে ৫৩০০ তাবলিগি সদস্যকে ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টিনে নিয়েছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পখতুনখাওয়া কর্তৃপক্ষ।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে ওই অঞ্চলের মুখপাত্র আজমল ওয়াজির বলেছেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করছেন। এরই মধ্যে অনেকের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। এই প্রদেশের আরো হাজার হাজার তাবলিগি মুসল্লি অন্য প্রদেশে আটকা পড়েছে। কারণ, দেশের বড় বড় মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, লাহোরের কেন্দ্রীয় শহর পাঞ্জাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে প্রায় সাত হাজার মানুষকে। সিন্ধুতে এ সংখ্যা ৮ হাজার। বেলুচিস্তান প্রদেশে বিপুল সংখ্যক তাবলিগ সদস্যকে আইসোলেশনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।

গত মাসে তাবলিগ জামাতে যোগ দিয়েছিলেন এমন কমপক্ষে ১৫৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে তাবলিগ জামাত বিশ্বব্যাপী দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দিন মারকাজের বিরোধিতা করে পাকিস্থানের তাবলিগি নেতারা।

তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দিন মারকাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শুরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি।