ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯ ৯১ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, শর্টগানের ১১টি তাজা গুলি ও ১৮টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৩) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে উমর ফারুক (১৯)।

টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার রাতে পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মহিউদ্দিন ও মো. শামীম রেজা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তবে আহত পুলিশের তিন সদস্যকে সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে ৪৯ জন রোহিঙ্গাকে পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তারা পলাতক আসামি ছিলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করছিলেন তারা।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, শর্টগানের ১১টি তাজা গুলি ও ১৮টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৩) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে উমর ফারুক (১৯)।

টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার রাতে পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মহিউদ্দিন ও মো. শামীম রেজা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তবে আহত পুলিশের তিন সদস্যকে সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে ৪৯ জন রোহিঙ্গাকে পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তারা পলাতক আসামি ছিলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করছিলেন তারা।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।