ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯ ১২৩ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, শর্টগানের ১১টি তাজা গুলি ও ১৮টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৩) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে উমর ফারুক (১৯)।

টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার রাতে পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মহিউদ্দিন ও মো. শামীম রেজা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তবে আহত পুলিশের তিন সদস্যকে সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে ৪৯ জন রোহিঙ্গাকে পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তারা পলাতক আসামি ছিলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করছিলেন তারা।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতরা মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, শর্টগানের ১১টি তাজা গুলি ও ১৮টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৩) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে উমর ফারুক (১৯)।

টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার রাতে পলাতক আসামি ধরতে পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং কাটাবুনিয়া নৌকাঘাট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মহিউদ্দিন ও মো. শামীম রেজা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তবে আহত পুলিশের তিন সদস্যকে সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে ৪৯ জন রোহিঙ্গাকে পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তারা পলাতক আসামি ছিলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করছিলেন তারা।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।