বগুড়ায় আ’লীগ কার্যালয়ে সংঘর্ষ, কৃষক লীগ নেতা গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০৮:১৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
বগুড়া ব্যুরোঃ
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সভা নিয়ে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবারর রাতের এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে রাতেই উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সজলকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।
আহতরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আনিস (৩২) ও সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউনুছ আলী (৩৪)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব ও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এতে নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে সভাপতি সেলিম বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে প্রস্তুতিমূলক সভা ডাকেন। না জানিয়ে এ সভা আহ্বান করায় সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক পক্ষের নেতাকর্মীরা বাধা দেন।
এ নিয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার এক পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক পক্ষের লোকজনের পিঠে ছুরিকাঘাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম আনিস ও মারপিটে আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস আলী আহত হন।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আনিসের অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাতেই আহত আনিসের মা রেনুকা বিবি থানায় কৃষক লীগ নেতা মেহেদী হাসান সজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ সজলকে গ্রেফতার করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক বলেন, তাকে না জানিয়ে সভাপতি দলীয় কার্যালয়ে সভা ডাকেন। তিনি (সভাপতি) আওয়ামী লীগের নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপির লোকজন নিয়ে সভা করায় দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হলে এ সংঘর্ষ হয়।
এ প্রসঙ্গে সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম বলেন, বিধি মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়ে সভা ডাকা হয়েছে। তারা সাধারণ সম্পাদককে সভার বিষয়টি অবহিত করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, দলীয় কার্যালয়ে সভা করার সময় সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের ক্যাডাররা কার্যালয়ে ঢুকে তার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে দ্রুত ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আহত দুই জনের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার পর রাতে এক কৃষক লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।