ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




রুহুল আমিনের সম্পদের হিসাব চায় দুদক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
রুহুল আমিনের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিচ্ছে দুদক, স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু।

জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশন থেকে সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ নোটিশ জারির আগে দুদক থেকে কয়েক দফা নোটিশ দিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারকে হাজির হতে বলা হয়। তার বিরুদ্ধে দুদকের কাছে থাকা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেয়ার জন্য চার দফা সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি কখনও রাজনৈতিক ব্যস্ততা দেখিয়ে, কখনও অসুস্থতা আবার কখনও ওমরা পালনের কথা বলে দুদকে হাজির হননি।

দুদক মনে করছে, রুহুল আমিন হাওলাদার হাজির হতে টালবাহানা করছেন। এরই মধ্যে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল গোপনে রুহুল আমিন হাওলাদারের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালান। অনুসন্ধান শেষে তিনি ২১ মে রুহুল আমিন হাওলাদারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারির বিষয়ে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এদিকে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে দুদক। কমিশন থেকে অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে হাওলাদারের স্ত্রী-সন্তানদের নামে অর্জিত সম্পদ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়। ফলে এখন শুধু রুহুল আমিন একা নন, তার পুরো পরিবারই এখন দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল ছাড়াও সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কাজ করছেন। অনুসন্ধান কাজ তদারক করছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে। এতে বলা হয়, তিনি একটি দলের মহাসচিব ও এমপি নির্বাচিত হয়ে বেশ বেপরোয়া হয়ে উঠেন। নানাভাবে তিনি ঢাকায় ও তার নিজের এলাকায় বিপুল সম্পদ গড়ে তোলেন। ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া নমিনেশন বাণিজ্যের অভিযোগ আছে।

তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু হয় গত বছর। কিন্তু নানা কারণে এতদিন এ অনুসন্ধান শেষ করতে পারেনি দুদক। সর্বশেষ ২০ মে তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। সরকারি টাকা আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল তাকে। কিন্তু তিনি দুদকে হাজির না হয়ে ওমরা যাবেন বলে একটি আবেদন পাঠিয়ে দায় সারেন। এর আগে ৪ এপ্রিল দুদকে তার হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টে রিট হলে তা ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। ফলে ১ মাস পার হওয়ার পর রুহুল আমিনকে আবার তলব করে দুদক।

এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে চিঠি পাঠিয়ে তাকে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা’ ও ‘অসুস্থতার’ কারণে তলবে হাজির হননি তিনি। একই সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি’ ও ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা’ বিবেচনা করে ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি দুদকে চিঠি পাঠান।

ওই চিঠিতে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি কার্যক্রম হিসেবে কর্মী সংগ্রহ, প্রার্থী বাছাইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। সংসদ অধিবেশনেও প্রতিদিন অংশ নিতে হচ্ছে। তা ছাড়া হৃদ?রোগ, উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুদক তাকে সেই থেকে কয়েক দফা সুযোগ দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রুহুল আমিনের সম্পদের হিসাব চায় দুদক

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯
রুহুল আমিনের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিচ্ছে দুদক, স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু।

জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশন থেকে সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ নোটিশ জারির আগে দুদক থেকে কয়েক দফা নোটিশ দিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারকে হাজির হতে বলা হয়। তার বিরুদ্ধে দুদকের কাছে থাকা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেয়ার জন্য চার দফা সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি কখনও রাজনৈতিক ব্যস্ততা দেখিয়ে, কখনও অসুস্থতা আবার কখনও ওমরা পালনের কথা বলে দুদকে হাজির হননি।

দুদক মনে করছে, রুহুল আমিন হাওলাদার হাজির হতে টালবাহানা করছেন। এরই মধ্যে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল গোপনে রুহুল আমিন হাওলাদারের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালান। অনুসন্ধান শেষে তিনি ২১ মে রুহুল আমিন হাওলাদারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারির বিষয়ে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এদিকে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে দুদক। কমিশন থেকে অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে হাওলাদারের স্ত্রী-সন্তানদের নামে অর্জিত সম্পদ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়। ফলে এখন শুধু রুহুল আমিন একা নন, তার পুরো পরিবারই এখন দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল ছাড়াও সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কাজ করছেন। অনুসন্ধান কাজ তদারক করছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে। এতে বলা হয়, তিনি একটি দলের মহাসচিব ও এমপি নির্বাচিত হয়ে বেশ বেপরোয়া হয়ে উঠেন। নানাভাবে তিনি ঢাকায় ও তার নিজের এলাকায় বিপুল সম্পদ গড়ে তোলেন। ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া নমিনেশন বাণিজ্যের অভিযোগ আছে।

তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু হয় গত বছর। কিন্তু নানা কারণে এতদিন এ অনুসন্ধান শেষ করতে পারেনি দুদক। সর্বশেষ ২০ মে তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। সরকারি টাকা আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল তাকে। কিন্তু তিনি দুদকে হাজির না হয়ে ওমরা যাবেন বলে একটি আবেদন পাঠিয়ে দায় সারেন। এর আগে ৪ এপ্রিল দুদকে তার হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টে রিট হলে তা ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। ফলে ১ মাস পার হওয়ার পর রুহুল আমিনকে আবার তলব করে দুদক।

এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে চিঠি পাঠিয়ে তাকে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা’ ও ‘অসুস্থতার’ কারণে তলবে হাজির হননি তিনি। একই সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি’ ও ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা’ বিবেচনা করে ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি দুদকে চিঠি পাঠান।

ওই চিঠিতে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি কার্যক্রম হিসেবে কর্মী সংগ্রহ, প্রার্থী বাছাইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। সংসদ অধিবেশনেও প্রতিদিন অংশ নিতে হচ্ছে। তা ছাড়া হৃদ?রোগ, উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুদক তাকে সেই থেকে কয়েক দফা সুযোগ দেয়।