ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান Logo ফায়ার সার্ভিসে বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে জাকির ও আল আমিনের বিলাসী জীবন!




সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯ ৬২ বার পড়া হয়েছে

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। সুন্দরবনে বাঘ জরিপের ফলাফল প্রকাশ এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বন ভবনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জরিপের ফল প্রকাশ করেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. বিল্লাল হোসেন, প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মোট চারটি ধাপে তিনটি ব্লকে ১৬৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরা বসিয়ে ২৪৯ দিন ধরে পরিচালিত ওই জরিপে ৬৩টি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ (১২-১৪ মাস বয়সী) এবং ৫টি বাঘের বাচ্চার (০-১২ মাস বয়সী) ২৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জরিপে সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই তিন বছরে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ ভাগ। ২০১৫ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি।

২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত সাতক্ষীরা রেঞ্জের ১২০৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় দুটি সেশনে ২৫৩ গ্রিডে ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়।

পুনরায় ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনা রেঞ্জের ১৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় একটি সেশনে ৯৬টি ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়।

একইভাবে ২০১৮ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ১০ মে পর্যন্ত শরণখোলা রেঞ্জের ২৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় দুটি সেশনে ১৮৭ গ্রিডে ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ করা হয়।

মোট চারটি ধাপে তিনটি ব্লকে ১৬৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরা বসিয়ে ২৪৯ দিন ধরে পরিচালিত ওই জরিপে ৬৩টি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ (১২-১৪ মাস বয়সী) এবং ৫টি বাঘের বাচ্চার (০-১২ মাস বয়সী) ২৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়।

যেহেতু সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের বিচরণক্ষেত্র ৪৪৬৪ বর্গ কিলোমিটার। সে ক্ষেত্রে বাঘ গবেষণা ও জরিপে সর্বাধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি এসইসিআর মডেলে তথ্য বিশ্লেষণ হয়। তাতে দেখা যায়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে ওয়াইল্ডটিম, স্মিথসোনিয়ান কারজারভেশন ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ বন বিভাগ সুন্দরবনে যৌথভাবে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা শুরু করে। ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি শেষ হয় ২০১৮ সালে। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় এখনো বাঘ গবেষণা, সংরক্ষণ ও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। সুন্দরবনে বাঘ জরিপের ফলাফল প্রকাশ এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বন ভবনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জরিপের ফল প্রকাশ করেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. বিল্লাল হোসেন, প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মোট চারটি ধাপে তিনটি ব্লকে ১৬৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরা বসিয়ে ২৪৯ দিন ধরে পরিচালিত ওই জরিপে ৬৩টি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ (১২-১৪ মাস বয়সী) এবং ৫টি বাঘের বাচ্চার (০-১২ মাস বয়সী) ২৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জরিপে সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই তিন বছরে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ ভাগ। ২০১৫ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি।

২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত সাতক্ষীরা রেঞ্জের ১২০৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় দুটি সেশনে ২৫৩ গ্রিডে ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়।

পুনরায় ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনা রেঞ্জের ১৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় একটি সেশনে ৯৬টি ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়।

একইভাবে ২০১৮ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ১০ মে পর্যন্ত শরণখোলা রেঞ্জের ২৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় দুটি সেশনে ১৮৭ গ্রিডে ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ করা হয়।

মোট চারটি ধাপে তিনটি ব্লকে ১৬৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরা বসিয়ে ২৪৯ দিন ধরে পরিচালিত ওই জরিপে ৬৩টি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ (১২-১৪ মাস বয়সী) এবং ৫টি বাঘের বাচ্চার (০-১২ মাস বয়সী) ২৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়।

যেহেতু সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের বিচরণক্ষেত্র ৪৪৬৪ বর্গ কিলোমিটার। সে ক্ষেত্রে বাঘ গবেষণা ও জরিপে সর্বাধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি এসইসিআর মডেলে তথ্য বিশ্লেষণ হয়। তাতে দেখা যায়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে ওয়াইল্ডটিম, স্মিথসোনিয়ান কারজারভেশন ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ বন বিভাগ সুন্দরবনে যৌথভাবে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা শুরু করে। ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি শেষ হয় ২০১৮ সালে। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় এখনো বাঘ গবেষণা, সংরক্ষণ ও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ চলছে।