ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ঈদে বাড়ছে বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ ভাড়া! টিকেট যেন সোনার হরিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

কাউন্টারে টিকিট না পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত মূল্যে দালালদের কাছে মিলছে সোনার সমতুল্য টিকিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল;

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বরিশাল ঢাকা নৌরুটের লঞ্চ মালিকেরা বরাবরের ন্যায় আবারও খোড়া যুক্তি দাড় করিয়ে ভাড়া বৃদ্ধির সুযোগ নিতে যাচ্ছে। নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ কৌশলে নেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। মূলত টিকিটে কৃতিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চাপ তৈরি করা হচ্ছে। যদিও তাদের এই কৌশল কমবেশি জানাজানি হয়ে গেছে। কিন্তু এরপরেও লঞ্চ কাউন্টারে কেবিনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বহিরাগতদের কাছে ঠিকই সোনার হরিণ সমতুল্য টিকিট মিলছে। যার মূল্য পড়ে যায় নির্ধারিত টিকিটের চেয়েও দুইগুণ বেশি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে- লঞ্চ মালিকদের নিয়োজিত কাউন্টার ম্যানেজাররা কিছু সংখ্যক টিকিট রেখে বাদবাকি দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়। অবশ্য দালালরাও নির্ধাতির মূল্যের থেকে কিছু বেশি টাকা দিয়ে সেই টিকিট সংগ্রহ করে। ফলে কাউন্টারে তীব্র টিকিট সংকট সৃষ্টি হয়। আবার কাউন্টারে যে টিকিট থাকে সেগুলো প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ব্যক্তি বিশেষের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে রাখা হয়। তবে সরাসরি নয়, কোন এক মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ দিলে সেই টিকিট সংগ্রহ করা যায়। এর ফলে একদিকে যেমন লঞ্চ মালিকেরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে চড়ামূল্যে টিকিট বিক্রি করে দালালেরাও হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ।

অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি ও কৃতিম সংকট দেখানোর এই বিষয়টি প্রশাসনের দায়িত্বশীল মহল থেকে শুরু করে সর্বস্তর অবগত থাকলেও যাত্রীদের মুখ খোলার উপায় নেই। বরং বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত লঞ্চ ভাড়া দিয়ে ছুটতে হচ্ছে নির্ধারিত গন্তব্যে।

অভিযোগ রয়েছে- বিগত সময়ে বরিশাল ঢাকা নৌরুটের যাত্রীবাহী লঞ্চে ডেকের ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হলে ২৫ মে থেকে স্পেশাল সার্ভিসের নামে তা বাড়িয়ে ২৫০ টাকা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একইভাবে সিঙ্গেল কেবিন, ডাবল কেবিন, সোফা ও ভিআইপির ক্ষেত্রে গড়ে ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা বাড়াবে লঞ্চ মালিক সমিতি। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে এর পরেও বরিশালে লঞ্চ কাউন্টারগুলোতে কেবিনেও টিকিট মিলছে না। তবে অতিরিক্ত অর্থে লঞ্চের কেবিনের টিকিট দালালদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সিঙ্গেল কেবিন ও সোফায় ১০০০ ও ডাবল কেবিনে ২০০০ টাকা করে অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে দালালেরা।

লঞ্চ মালিক সূত্র জানায়- এবারের ঈদে রাজধানীর সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২৮ রুটে যাত্রী পরিবহন করবে শতাধিক লঞ্চ। এর মধ্যে বরিশাল ঢাকা নৌরুটে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করবে ২৩ টি বিলাসবহুল নৌযান। তবে যাত্রী চাহিদা থাকলে এই লঞ্চগুলো দিনে দুইবার সার্ভিস দেবে।

গত ১৬ মে পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে কেবিনের টিকিটের আবেদন নেয় লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ২০ মে থেকে কেবিনে টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন- রাজধানী ঢাকা থেকে ফিরতে একটি অগ্রিম টিকিট পেতে গত ১২ রমজান সুন্দরবন লঞ্চে কাউন্টারে আবেদন করেছিলেন। সেই সময় তাকে আগে আসার ভিত্তিতে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাউন্টার ম্যানেজার। পরবর্তীতে ২০ মে যোগাযোগ করা হলে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। কিন্তু তিনি একই লঞ্চের একটি সিঙ্গেল কেবিনের টিকিট পরবর্তীতে লেদু নামে এক দালালের কাছ থেকে ১০০০ টাকা বাড়তি মূল্যে সংগ্রহ করেছেন।

একইভাবে এমভি সুরভী লঞ্চের টিকিট চেয়েও বিমুখ হয়েছেন হারুন বিশ্বাস ও হানিফসহ আরও অনেকে। ফলে বরিশাল ঢাকা নৌরুটের লঞ্চগুলোর কেবিনের অধিকাংশ টিকিট যে দালালদের হাতে চলে গেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিবারের ন্যায় এবারও লঞ্চের কেবিন টিকিট দালালদের হাতে চলে যাওয়া ও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী সাধারণকে হতাশ করেছেন।

তবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলছেন- সরকার নির্ধারিত ভাড়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। কিন্তু সারা বছর যাত্রীদের বিষয়টি মাথায় রেখে লোকসান দিয়ে ভাড়া নেন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঈদ উপলক্ষে সরকার নির্ধারিত ২৫০ টাকা করে নেওয়া হয়।

এছাড়া তাঁর মালিকানাধীন লঞ্চের কেবিনের টিকিট কোন দালালের হাতে নেই বলেও দাবি করেন সুন্দরবন নেভীগেশন কোম্পানির ব্যবস্থপনা পরিচালক রিন্টু।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল অফিসের কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানিয়েছেন- ঈদের আগে ৩ জুন থেকে শুরু হয়ে ঈদ পরবর্তী ৭ দিন স্পেশাল সার্ভিস চলবে। রাজধানী ঢাকা-বরিশাল রুটে দিবা সার্ভিসের দুটি ওয়াটার বাসসহ মোট ২৩টি লঞ্চের রুট পারমিট রয়েছে।

স্বাভাবিক সময়ে রোটেশন পদ্ধতির আওতায় উভয়প্রান্তে ৬ থেকে ৭টি করে লঞ্চ চলাচল করলেও ২৩টি লঞ্চের সবগুলোই থাকবে স্পেশাল সার্ভিসের আওতায়। প্রয়োজনে লঞ্চগুলো ডাবল সার্ভিস দেবে।

অপরদিকে বিআইডব্লিউটিসির ৫টি জাহাজও একইভাবে ঢাকা-বরিশাল এবং ঢাকা-বরিশাল-হুলারহাট-মোড়েলগঞ্জ রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করবে। ২২ মে থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি অগ্রিম বুকিং নেয়া শুরু করবে।’’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঈদে বাড়ছে বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ ভাড়া! টিকেট যেন সোনার হরিন

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

কাউন্টারে টিকিট না পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত মূল্যে দালালদের কাছে মিলছে সোনার সমতুল্য টিকিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল;

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বরিশাল ঢাকা নৌরুটের লঞ্চ মালিকেরা বরাবরের ন্যায় আবারও খোড়া যুক্তি দাড় করিয়ে ভাড়া বৃদ্ধির সুযোগ নিতে যাচ্ছে। নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ কৌশলে নেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। মূলত টিকিটে কৃতিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চাপ তৈরি করা হচ্ছে। যদিও তাদের এই কৌশল কমবেশি জানাজানি হয়ে গেছে। কিন্তু এরপরেও লঞ্চ কাউন্টারে কেবিনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বহিরাগতদের কাছে ঠিকই সোনার হরিণ সমতুল্য টিকিট মিলছে। যার মূল্য পড়ে যায় নির্ধারিত টিকিটের চেয়েও দুইগুণ বেশি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে- লঞ্চ মালিকদের নিয়োজিত কাউন্টার ম্যানেজাররা কিছু সংখ্যক টিকিট রেখে বাদবাকি দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়। অবশ্য দালালরাও নির্ধাতির মূল্যের থেকে কিছু বেশি টাকা দিয়ে সেই টিকিট সংগ্রহ করে। ফলে কাউন্টারে তীব্র টিকিট সংকট সৃষ্টি হয়। আবার কাউন্টারে যে টিকিট থাকে সেগুলো প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ব্যক্তি বিশেষের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে রাখা হয়। তবে সরাসরি নয়, কোন এক মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ দিলে সেই টিকিট সংগ্রহ করা যায়। এর ফলে একদিকে যেমন লঞ্চ মালিকেরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে চড়ামূল্যে টিকিট বিক্রি করে দালালেরাও হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ।

অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি ও কৃতিম সংকট দেখানোর এই বিষয়টি প্রশাসনের দায়িত্বশীল মহল থেকে শুরু করে সর্বস্তর অবগত থাকলেও যাত্রীদের মুখ খোলার উপায় নেই। বরং বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত লঞ্চ ভাড়া দিয়ে ছুটতে হচ্ছে নির্ধারিত গন্তব্যে।

অভিযোগ রয়েছে- বিগত সময়ে বরিশাল ঢাকা নৌরুটের যাত্রীবাহী লঞ্চে ডেকের ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হলে ২৫ মে থেকে স্পেশাল সার্ভিসের নামে তা বাড়িয়ে ২৫০ টাকা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একইভাবে সিঙ্গেল কেবিন, ডাবল কেবিন, সোফা ও ভিআইপির ক্ষেত্রে গড়ে ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা বাড়াবে লঞ্চ মালিক সমিতি। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে এর পরেও বরিশালে লঞ্চ কাউন্টারগুলোতে কেবিনেও টিকিট মিলছে না। তবে অতিরিক্ত অর্থে লঞ্চের কেবিনের টিকিট দালালদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সিঙ্গেল কেবিন ও সোফায় ১০০০ ও ডাবল কেবিনে ২০০০ টাকা করে অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে দালালেরা।

লঞ্চ মালিক সূত্র জানায়- এবারের ঈদে রাজধানীর সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২৮ রুটে যাত্রী পরিবহন করবে শতাধিক লঞ্চ। এর মধ্যে বরিশাল ঢাকা নৌরুটে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করবে ২৩ টি বিলাসবহুল নৌযান। তবে যাত্রী চাহিদা থাকলে এই লঞ্চগুলো দিনে দুইবার সার্ভিস দেবে।

গত ১৬ মে পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে কেবিনের টিকিটের আবেদন নেয় লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ২০ মে থেকে কেবিনে টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন- রাজধানী ঢাকা থেকে ফিরতে একটি অগ্রিম টিকিট পেতে গত ১২ রমজান সুন্দরবন লঞ্চে কাউন্টারে আবেদন করেছিলেন। সেই সময় তাকে আগে আসার ভিত্তিতে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাউন্টার ম্যানেজার। পরবর্তীতে ২০ মে যোগাযোগ করা হলে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। কিন্তু তিনি একই লঞ্চের একটি সিঙ্গেল কেবিনের টিকিট পরবর্তীতে লেদু নামে এক দালালের কাছ থেকে ১০০০ টাকা বাড়তি মূল্যে সংগ্রহ করেছেন।

একইভাবে এমভি সুরভী লঞ্চের টিকিট চেয়েও বিমুখ হয়েছেন হারুন বিশ্বাস ও হানিফসহ আরও অনেকে। ফলে বরিশাল ঢাকা নৌরুটের লঞ্চগুলোর কেবিনের অধিকাংশ টিকিট যে দালালদের হাতে চলে গেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিবারের ন্যায় এবারও লঞ্চের কেবিন টিকিট দালালদের হাতে চলে যাওয়া ও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী সাধারণকে হতাশ করেছেন।

তবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলছেন- সরকার নির্ধারিত ভাড়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। কিন্তু সারা বছর যাত্রীদের বিষয়টি মাথায় রেখে লোকসান দিয়ে ভাড়া নেন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঈদ উপলক্ষে সরকার নির্ধারিত ২৫০ টাকা করে নেওয়া হয়।

এছাড়া তাঁর মালিকানাধীন লঞ্চের কেবিনের টিকিট কোন দালালের হাতে নেই বলেও দাবি করেন সুন্দরবন নেভীগেশন কোম্পানির ব্যবস্থপনা পরিচালক রিন্টু।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল অফিসের কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানিয়েছেন- ঈদের আগে ৩ জুন থেকে শুরু হয়ে ঈদ পরবর্তী ৭ দিন স্পেশাল সার্ভিস চলবে। রাজধানী ঢাকা-বরিশাল রুটে দিবা সার্ভিসের দুটি ওয়াটার বাসসহ মোট ২৩টি লঞ্চের রুট পারমিট রয়েছে।

স্বাভাবিক সময়ে রোটেশন পদ্ধতির আওতায় উভয়প্রান্তে ৬ থেকে ৭টি করে লঞ্চ চলাচল করলেও ২৩টি লঞ্চের সবগুলোই থাকবে স্পেশাল সার্ভিসের আওতায়। প্রয়োজনে লঞ্চগুলো ডাবল সার্ভিস দেবে।

অপরদিকে বিআইডব্লিউটিসির ৫টি জাহাজও একইভাবে ঢাকা-বরিশাল এবং ঢাকা-বরিশাল-হুলারহাট-মোড়েলগঞ্জ রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করবে। ২২ মে থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি অগ্রিম বুকিং নেয়া শুরু করবে।’’