ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




অবৈধ সম্পদে বিআরটিএ’র জমিদার পরিচালক শহীদুল্লাহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ৩৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

পুরো নাম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। কর্মরত রয়েছেন বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক পদে। কার্যালয়টি ঘিরে অদৃশ্য অসীম শক্তির বলয়ে কায়েম করেছেন রামজাত্ব। প্রয়োজনে ব্যবহার করেন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বিআরটিএর প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তিদেরও। এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, যেন সেটিও তার হাতের মুঠোয়। কথামতো না চললে অন্য সার্কেলে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যখন তখন ঠুকে দেন ভৌতিক কাগুজে অভিযোগ। নিজস্ব বলয়ের দাপট দেখিয়ে আদায় করেন মোটাদাগে মাসোহারা। বিআরটিএর চোখ ধাঁধানো সব কূটকৌশলের মাস্টার মাইন্ড এই শহিদ। সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও অন্তরঙ্গতার ওঠাবসা তার। এই পরিচালকের প্রভাব বলয় এতটাই ঊর্ধ্বগামী সংস্থাটির ঝাড়ুদার থেকে পিয়ন সব যেন তার নখ দপর্নে। ঘুষ, বদলি, কমিশন বাণিজ্য, মাসোহারা, রোড পারমিট শাখায় দালাল সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে তার জুড়ি মেলা ভাঁড়। ঘুষ আদায়ে “ঈগল চোখী এই কর্মকর্তা” পরিদর্শনে যান যেই সার্কেলে, ওই সাকেল থেকে মোটাদাগে করেন নানান ফন্দি ফিকিরে ঘুষ আদায়ও।
তথ্যানুসন্ধান বলছে, চাকুরীটাইকে কখনো আলাদিনের জাদুর কাঠি, কখনো বা আলাদীনের চেরাগে রূপ দিয়ে কয়েক বছরে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অসম সম্পদের পাহাড়। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বেতন সর্বসাকুল্যে ছিল ৬৫ হাজার ৪৬২ টাকা। যার দালিলিক প্রমাণ ও সংরক্ষিত আছে এই প্রতিবেদকের হাতে।
কিন্তু বসবাস করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডের ,বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর সেলটেক চন্দ্রমল্লিকার চোখ ধাঁধানো আলিশান ডুপ্লেক্স এপাটমেন্টে। যার ভাড়ার মধ্যে তার প্রাপ্ত বেতনের প্রায় ৪ গুন।
এদিকে একটি বিশেষ সূত্রের বরাত, মাঝেমধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে বিলাস ভ্রমণে পাঠান স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের।
তথ্যানুসন্ধান আরো বলছে, এই প্রভল ক্ষমতার অধিকারী এই পরিচালকের রয়েছে, শ্যামলী ০২ নম্বর রোডে একটি মাবেল পাথর খচিত বিশাল বহুল বাড়ি। যার নম্বর ১২/ঠ/৭।

ঢাকার শহরতলি গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে আরো দুটো দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। যার একটির নম্বর ৪১। চাকুরিতে যোগদানের গত কয়েক বছরের ব্যবধানে রহস্যজনকভাবে কারি কারি টাকার মালিক বনে গেছেন এই ‘পরিচালক শহীদুল্লাহ’। বিআরটির ‘অঘোষিত জমিদার’ তিনি। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। এ যেন ধরাকে সার ঞ্জান করার মতো অবস্থা।

এ বিষয়ে উনার মন্তব্য জানার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অবৈধ সম্পদে বিআরটিএ’র জমিদার পরিচালক শহীদুল্লাহ

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক;

পুরো নাম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। কর্মরত রয়েছেন বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক পদে। কার্যালয়টি ঘিরে অদৃশ্য অসীম শক্তির বলয়ে কায়েম করেছেন রামজাত্ব। প্রয়োজনে ব্যবহার করেন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বিআরটিএর প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তিদেরও। এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, যেন সেটিও তার হাতের মুঠোয়। কথামতো না চললে অন্য সার্কেলে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যখন তখন ঠুকে দেন ভৌতিক কাগুজে অভিযোগ। নিজস্ব বলয়ের দাপট দেখিয়ে আদায় করেন মোটাদাগে মাসোহারা। বিআরটিএর চোখ ধাঁধানো সব কূটকৌশলের মাস্টার মাইন্ড এই শহিদ। সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও অন্তরঙ্গতার ওঠাবসা তার। এই পরিচালকের প্রভাব বলয় এতটাই ঊর্ধ্বগামী সংস্থাটির ঝাড়ুদার থেকে পিয়ন সব যেন তার নখ দপর্নে। ঘুষ, বদলি, কমিশন বাণিজ্য, মাসোহারা, রোড পারমিট শাখায় দালাল সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে তার জুড়ি মেলা ভাঁড়। ঘুষ আদায়ে “ঈগল চোখী এই কর্মকর্তা” পরিদর্শনে যান যেই সার্কেলে, ওই সাকেল থেকে মোটাদাগে করেন নানান ফন্দি ফিকিরে ঘুষ আদায়ও।
তথ্যানুসন্ধান বলছে, চাকুরীটাইকে কখনো আলাদিনের জাদুর কাঠি, কখনো বা আলাদীনের চেরাগে রূপ দিয়ে কয়েক বছরে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অসম সম্পদের পাহাড়। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বেতন সর্বসাকুল্যে ছিল ৬৫ হাজার ৪৬২ টাকা। যার দালিলিক প্রমাণ ও সংরক্ষিত আছে এই প্রতিবেদকের হাতে।
কিন্তু বসবাস করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডের ,বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর সেলটেক চন্দ্রমল্লিকার চোখ ধাঁধানো আলিশান ডুপ্লেক্স এপাটমেন্টে। যার ভাড়ার মধ্যে তার প্রাপ্ত বেতনের প্রায় ৪ গুন।
এদিকে একটি বিশেষ সূত্রের বরাত, মাঝেমধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে বিলাস ভ্রমণে পাঠান স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের।
তথ্যানুসন্ধান আরো বলছে, এই প্রভল ক্ষমতার অধিকারী এই পরিচালকের রয়েছে, শ্যামলী ০২ নম্বর রোডে একটি মাবেল পাথর খচিত বিশাল বহুল বাড়ি। যার নম্বর ১২/ঠ/৭।

ঢাকার শহরতলি গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে আরো দুটো দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। যার একটির নম্বর ৪১। চাকুরিতে যোগদানের গত কয়েক বছরের ব্যবধানে রহস্যজনকভাবে কারি কারি টাকার মালিক বনে গেছেন এই ‘পরিচালক শহীদুল্লাহ’। বিআরটির ‘অঘোষিত জমিদার’ তিনি। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। এ যেন ধরাকে সার ঞ্জান করার মতো অবস্থা।

এ বিষয়ে উনার মন্তব্য জানার জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Loading