ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




কৃষক রক্ষা না করলে অভিশাপ নেমে আসবে: রিজভী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;  

কৃষক রক্ষা না করলে বাংলাদেশে অভিশাপ নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান না কিনে কৃষককে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জিম্মি করে ফেলেছে। ধানের ন্যয্যমূল্য না থাকায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী, জয়পুরহাট, নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষক পাকা ধানক্ষেতে আগুন দিচ্ছেন, পাকা ধানে মই দিচ্ছেন, সড়কে ধান ছিটিয়ে প্রতিবাদ করছেন।

তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ থেকে ৩০০ টাকা কমে প্রতি মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে দুই হাজার টাকা।

‘পুঁজিপতিরা তো বিশাল ঋণ মওকুফ পাচ্ছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে খাচ্ছেন, মেগাপ্রকল্পের নামে দেশজুড়ে হরিলুট চলছে; অথচ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগানদাতা অসহায় কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে না। বরং ন্যায্যমূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার প্রতি মণ ধান কেনার জন্য এক হাজার ৪০ টাকা প্রদান করলেও কৃষকের হাতে যাচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। বাকি টাকা চলে যাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, মিলমালিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে। এ নিয়ে সারা দেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও সরকারের টনক নড়ছে না।

তিনি বলেন, কৃষকরাই বাংলাদেশের আত্মা, দেশের প্রাণ। কৃষকদের রক্ষা না করলে বাংলাদেশে অভিশাপ নেমে আসবে।

কৃষিমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আবদুর রাজ্জাক বলেছেন- ‘এবারের বোরো ধানের নির্ধারিত দাম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ থাকলেও ধানের দাম বাড়ানোর সুযোগ আপাতত সরকারের হাতে নেই।’ আগের রাতের ভোটের সরকারের মন্ত্রীর কাছ থেকে এ রকম গণবিরোধী বক্তব্য ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না।

কৃষকদের পথে বসিয়ে নিজেদের লোকদের টাকা লুটের সুযোগ করে দিতেই ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, কৃষকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিলে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে, ১৭ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। পৃথিবীর সব দেশে কৃষকরা উৎপাদন করে লাভ করে, আর আমাদের দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

‘একদিকে চাল রফতানি, অন্যদিকে দেদারসে আমদানি করার এ ভানুমতির খেল বন্ধ করতে হবে। মধ্যস্থতাকারী সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ধান না কিনে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকেই ধান ক্রয় করে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে।’

পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া মজুরিসহ ৯ দফা দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন পাটকলের শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। দেশের ২৬টি পাটকলে একযোগে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করলেও সরকার তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, বেতন না পেয়ে শ্রমিকরা অর্ধাহার ও অনাহারে জীবনযাপন করছেন। ২০১৫ সাল থেকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকরা মজুরি থেকে বঞ্চিত, শোষিত ও নির্যাতিত হচ্ছেন।

পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ সব দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার দাবি জানান রিজভী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কৃষক রক্ষা না করলে অভিশাপ নেমে আসবে: রিজভী

আপডেট সময় : ০২:২৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯

সকালের সংবাদ;  

কৃষক রক্ষা না করলে বাংলাদেশে অভিশাপ নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান না কিনে কৃষককে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জিম্মি করে ফেলেছে। ধানের ন্যয্যমূল্য না থাকায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী, জয়পুরহাট, নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষক পাকা ধানক্ষেতে আগুন দিচ্ছেন, পাকা ধানে মই দিচ্ছেন, সড়কে ধান ছিটিয়ে প্রতিবাদ করছেন।

তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ থেকে ৩০০ টাকা কমে প্রতি মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে দুই হাজার টাকা।

‘পুঁজিপতিরা তো বিশাল ঋণ মওকুফ পাচ্ছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে খাচ্ছেন, মেগাপ্রকল্পের নামে দেশজুড়ে হরিলুট চলছে; অথচ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগানদাতা অসহায় কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে না। বরং ন্যায্যমূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার প্রতি মণ ধান কেনার জন্য এক হাজার ৪০ টাকা প্রদান করলেও কৃষকের হাতে যাচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। বাকি টাকা চলে যাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, মিলমালিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে। এ নিয়ে সারা দেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও সরকারের টনক নড়ছে না।

তিনি বলেন, কৃষকরাই বাংলাদেশের আত্মা, দেশের প্রাণ। কৃষকদের রক্ষা না করলে বাংলাদেশে অভিশাপ নেমে আসবে।

কৃষিমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আবদুর রাজ্জাক বলেছেন- ‘এবারের বোরো ধানের নির্ধারিত দাম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ থাকলেও ধানের দাম বাড়ানোর সুযোগ আপাতত সরকারের হাতে নেই।’ আগের রাতের ভোটের সরকারের মন্ত্রীর কাছ থেকে এ রকম গণবিরোধী বক্তব্য ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না।

কৃষকদের পথে বসিয়ে নিজেদের লোকদের টাকা লুটের সুযোগ করে দিতেই ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, কৃষকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিলে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে, ১৭ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। পৃথিবীর সব দেশে কৃষকরা উৎপাদন করে লাভ করে, আর আমাদের দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

‘একদিকে চাল রফতানি, অন্যদিকে দেদারসে আমদানি করার এ ভানুমতির খেল বন্ধ করতে হবে। মধ্যস্থতাকারী সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ধান না কিনে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকেই ধান ক্রয় করে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে।’

পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া মজুরিসহ ৯ দফা দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন পাটকলের শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। দেশের ২৬টি পাটকলে একযোগে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করলেও সরকার তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, বেতন না পেয়ে শ্রমিকরা অর্ধাহার ও অনাহারে জীবনযাপন করছেন। ২০১৫ সাল থেকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকরা মজুরি থেকে বঞ্চিত, শোষিত ও নির্যাতিত হচ্ছেন।

পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ সব দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার দাবি জানান রিজভী।