ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তের দুর্নীতির মহারাজ প্রকৌশলী মহিবুল পর্ব- ১ Logo “দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আতাউস সামাদ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত” Logo হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ Logo ‘ভালো থাকিস সবাই’ স্টোরি দেয়ার পর আত্মহত্যা করেন কুবি শিক্ষার্থী Logo শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ডন কাজী সাইফুর: রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ রিপ্লেসমেন্ট শেয়ার! Logo ইউজিসির গবেষণা প্রকল্প পেলেন কুবির দুই শিক্ষক Logo রাজউকের নথি গায়েবের মূল হোতা নাসির উদ্দীন স্ট্যান্ড রিলিজ Logo বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য Logo শাবিপ্রবিতে দায়িত্বপালনকালে প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্য আহত Logo জিয়া শিশু কিশোর মেলার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা




বড়াইগ্রামে ২০ শয্যাবিশিষ্ট কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোর বড়াইগ্রামের আহমেদপুর এলাকায় টিনের ছাপড়ার তৈরি ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে অবৈধভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে কথিক চিকিৎসক কবিরাজ আব্দুস সাত্তারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

এসময় তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক ও অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি সমেত মুচলেকা নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই কবিরাজি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তার আগেই রোগীদের সরিয়ে স্বপরিবারে গা ঢাকা দেন কথিত ডাক্তার আব্দুস সাত্তার। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করতে তার স্বজনদের নির্দেশ দেন।
পরে স্বজনরা সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাসপাতাল সিলগালা ও অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, নামের আগে ডাক্তার যুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন আব্দুস সাত্তার । কিন্তু সে বিষয়েও তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তিনি নিজ বাড়িতে টিনের তৈরি ঘরে খুলেছিলেন ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। সেটারও অনুমোদনও নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে টাঙানো সাইনবোর্ডে অনেক স্বনামধন্য ডাক্তারের নাম পদবী ব্যবহার করে হাড়ভাঙ্গা ও প্যারালাইসিস সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বড়াইগ্রামে ২০ শয্যাবিশিষ্ট কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯

নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোর বড়াইগ্রামের আহমেদপুর এলাকায় টিনের ছাপড়ার তৈরি ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে অবৈধভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে কথিক চিকিৎসক কবিরাজ আব্দুস সাত্তারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

এসময় তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক ও অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি সমেত মুচলেকা নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই কবিরাজি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তার আগেই রোগীদের সরিয়ে স্বপরিবারে গা ঢাকা দেন কথিত ডাক্তার আব্দুস সাত্তার। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করতে তার স্বজনদের নির্দেশ দেন।
পরে স্বজনরা সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাসপাতাল সিলগালা ও অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, নামের আগে ডাক্তার যুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন আব্দুস সাত্তার । কিন্তু সে বিষয়েও তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তিনি নিজ বাড়িতে টিনের তৈরি ঘরে খুলেছিলেন ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। সেটারও অনুমোদনও নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে টাঙানো সাইনবোর্ডে অনেক স্বনামধন্য ডাক্তারের নাম পদবী ব্যবহার করে হাড়ভাঙ্গা ও প্যারালাইসিস সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।