ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




বড়াইগ্রামে ২০ শয্যাবিশিষ্ট কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোর বড়াইগ্রামের আহমেদপুর এলাকায় টিনের ছাপড়ার তৈরি ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে অবৈধভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে কথিক চিকিৎসক কবিরাজ আব্দুস সাত্তারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

এসময় তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক ও অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি সমেত মুচলেকা নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই কবিরাজি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তার আগেই রোগীদের সরিয়ে স্বপরিবারে গা ঢাকা দেন কথিত ডাক্তার আব্দুস সাত্তার। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করতে তার স্বজনদের নির্দেশ দেন।
পরে স্বজনরা সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাসপাতাল সিলগালা ও অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, নামের আগে ডাক্তার যুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন আব্দুস সাত্তার । কিন্তু সে বিষয়েও তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তিনি নিজ বাড়িতে টিনের তৈরি ঘরে খুলেছিলেন ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। সেটারও অনুমোদনও নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে টাঙানো সাইনবোর্ডে অনেক স্বনামধন্য ডাক্তারের নাম পদবী ব্যবহার করে হাড়ভাঙ্গা ও প্যারালাইসিস সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বড়াইগ্রামে ২০ শয্যাবিশিষ্ট কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯

নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোর বড়াইগ্রামের আহমেদপুর এলাকায় টিনের ছাপড়ার তৈরি ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে অবৈধভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে কথিক চিকিৎসক কবিরাজ আব্দুস সাত্তারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

এসময় তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক ও অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি সমেত মুচলেকা নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই কবিরাজি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তার আগেই রোগীদের সরিয়ে স্বপরিবারে গা ঢাকা দেন কথিত ডাক্তার আব্দুস সাত্তার। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করতে তার স্বজনদের নির্দেশ দেন।
পরে স্বজনরা সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাসপাতাল সিলগালা ও অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, নামের আগে ডাক্তার যুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন আব্দুস সাত্তার । কিন্তু সে বিষয়েও তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তিনি নিজ বাড়িতে টিনের তৈরি ঘরে খুলেছিলেন ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। সেটারও অনুমোদনও নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে টাঙানো সাইনবোর্ডে অনেক স্বনামধন্য ডাক্তারের নাম পদবী ব্যবহার করে হাড়ভাঙ্গা ও প্যারালাইসিস সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।