ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১)

নুসরাতকে হত্যা নিয়ে ডাকসু নেতাদের আন্দোলন করতে দেখিনি: তোফায়েল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ২০২ বার পড়া হয়েছে

ঢাবি প্রতিনিধি; নুসরাতকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এটা নিয়ে ডাকসুর নেতাদের কোনো আন্দোলন করতে দেখিনি। তোমাদের এই আচরণ আমাকে ব্যথিত ও আহত করেছে। মনে রাখবে, তোমরা শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নও,  সারা দেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। এটা মাথায় রেখে তোমাদের কাজ করতে হবে।

সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনে ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘অভিজ্ঞতা শুনি সমৃদ্ধ হই’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

ঢাবি ভিসি ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক জিএস মুশতাক হোসেন, ঢাবি প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ ১৮টি হল প্রাধ্যক্ষ (হল সংসদের সভাপতি) ও কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ডাকসুর ২৫ জন প্রতিনিধি ও হল সংসদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ডাকসু প্রকাশিত বিশেষ পত্রিকা ‘বছর ত্রিশেক পরে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, শিক্ষক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ, ছাত্রদের সঙ্গে স্নেহ-আদর-ভালোবাসার সম্পর্ক রাখবেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদী হবেন। মধুর ক্যান্টিনে যাবেন, একসঙ্গে চা খাবেন, বিতর্ক হবে তবে আলোচনা শেষে একে অপরের হাত ধরাধরি করে ঘরে ফিরবেন। এটাই ডাকসুর ঐতিহ্য। তিনি বলেন, অছাত্ররা যাতে হলে অবস্থান করতে না পারে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সব ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। একটাই অনুরোধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা যেন ভালো থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, ত্রুটি-বিচ্যুতি হলেও দীর্ঘ ২৮ বছর পর তারা একটি নির্বাচন করতে পেরেছেন।

মুশতাক হোসেন বলেন, এবারের ডাকসুতে মিশ্র প্যানেল, ছাত্রলীগ ও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন। কিছু রীতিনীতি অনুসরণ করলে এই ডাকসু একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র সংসদের মধ্যে দাবিদাওয়া নিয়ে অবশ্যই দর-কষাকষি হবে, ঝগড়াঝাঁটি হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর সরকার এক জিনিস নয়। সরকারের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনেক আপন। কর্তৃপক্ষ সরকারের সঙ্গে ছাত্রদের লিয়াজোঁ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক বলেন, ডাকসু শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করে না বরং সমগ্র বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। ডাকসু না থাকলে হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নভাবে রচনা করতে হতো। কারণ ডাকসুর নেতারাই বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারি করে গেছেন। ৭৩-এর অধ্যাদেশ যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলবে বলে আশা করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

নুসরাতকে হত্যা নিয়ে ডাকসু নেতাদের আন্দোলন করতে দেখিনি: তোফায়েল

আপডেট সময় : ১০:৪২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

ঢাবি প্রতিনিধি; নুসরাতকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এটা নিয়ে ডাকসুর নেতাদের কোনো আন্দোলন করতে দেখিনি। তোমাদের এই আচরণ আমাকে ব্যথিত ও আহত করেছে। মনে রাখবে, তোমরা শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নও,  সারা দেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। এটা মাথায় রেখে তোমাদের কাজ করতে হবে।

সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনে ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘অভিজ্ঞতা শুনি সমৃদ্ধ হই’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

ঢাবি ভিসি ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক জিএস মুশতাক হোসেন, ঢাবি প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ ১৮টি হল প্রাধ্যক্ষ (হল সংসদের সভাপতি) ও কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ডাকসুর ২৫ জন প্রতিনিধি ও হল সংসদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ডাকসু প্রকাশিত বিশেষ পত্রিকা ‘বছর ত্রিশেক পরে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, শিক্ষক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ, ছাত্রদের সঙ্গে স্নেহ-আদর-ভালোবাসার সম্পর্ক রাখবেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদী হবেন। মধুর ক্যান্টিনে যাবেন, একসঙ্গে চা খাবেন, বিতর্ক হবে তবে আলোচনা শেষে একে অপরের হাত ধরাধরি করে ঘরে ফিরবেন। এটাই ডাকসুর ঐতিহ্য। তিনি বলেন, অছাত্ররা যাতে হলে অবস্থান করতে না পারে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সব ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। একটাই অনুরোধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা যেন ভালো থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, ত্রুটি-বিচ্যুতি হলেও দীর্ঘ ২৮ বছর পর তারা একটি নির্বাচন করতে পেরেছেন।

মুশতাক হোসেন বলেন, এবারের ডাকসুতে মিশ্র প্যানেল, ছাত্রলীগ ও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন। কিছু রীতিনীতি অনুসরণ করলে এই ডাকসু একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র সংসদের মধ্যে দাবিদাওয়া নিয়ে অবশ্যই দর-কষাকষি হবে, ঝগড়াঝাঁটি হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর সরকার এক জিনিস নয়। সরকারের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনেক আপন। কর্তৃপক্ষ সরকারের সঙ্গে ছাত্রদের লিয়াজোঁ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক বলেন, ডাকসু শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করে না বরং সমগ্র বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। ডাকসু না থাকলে হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্নভাবে রচনা করতে হতো। কারণ ডাকসুর নেতারাই বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারি করে গেছেন। ৭৩-এর অধ্যাদেশ যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলবে বলে আশা করি।