ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর বিসিক কর্মকর্তা সরোয়ার: দুর্নীতিতে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড় Logo শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা মোজাম্মেলকে ফায়ার সার্ভিসে বহাল রাখতে মরিয়া সিন্ডিকেট Logo Logo স্বৈরাচার সরকারের দোসর সিন্ডিকেট ফায়ার সার্ভিসে বহাল তবিয়তে Logo উত্তরার আতংক ছোটন পুলিশের খাঁচায় Logo বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক এম শিমুল খান Logo জাতীয় সংসদে অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াস: দেশ-বিদেশের সম্পদের পাহাড়! Logo স্বৈরাচারের দোসরদের থাবায় পৈত্রিক সম্পদ হতে বিতারিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন Logo জিয়া সাইবার ফোর্স ঢাকা মহানগর উত্তর’ আহব্বায়ক কমিটি গঠন Logo বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ নেতা এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী




নুসরাতের পরিবারের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক’;  ফেনীতে সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাবা একেএম মুসা ও মা শিরিনা আক্তারসহ দুই ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে তারা সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নুসরাতের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা ও গভীর সমবেদনা জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাসও দেন।

তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা কেউই আইনের হাত থেকে কোনভাবেই কেউ রেহাই পাবে না।

উল্লেখ, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। এসময় মাদরাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের ছাদে যান। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে দেয়া শেষ জবানবন্দিতে বলেছিলেন, ‘নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরা চারজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।’সর্বশেষ ওই হতাকাণ্ডে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অধ্যক্ষের নির্দেশেই নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রেফতাররা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নুসরাতের পরিবারের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

আপডেট সময় : ০১:৫৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক’;  ফেনীতে সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাবা একেএম মুসা ও মা শিরিনা আক্তারসহ দুই ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে তারা সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নুসরাতের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা ও গভীর সমবেদনা জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাসও দেন।

তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা কেউই আইনের হাত থেকে কোনভাবেই কেউ রেহাই পাবে না।

উল্লেখ, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। এসময় মাদরাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের ছাদে যান। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে দেয়া শেষ জবানবন্দিতে বলেছিলেন, ‘নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরা চারজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।’সর্বশেষ ওই হতাকাণ্ডে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অধ্যক্ষের নির্দেশেই নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রেফতাররা।