ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




বাকশাল কায়েম করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম সোমবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ দেশকে ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মানুষ আজ অধিকারহারা, তাদের মৌলিক মানবাধিকারগুলো ধুলায় লুটিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। চোখের সামনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে কেউ যাতে সাহসী না হয় সেজন্য ক্ষমতাসীন সরকার হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের তৎপরতা সীমাহীন মাত্রায় বৃদ্ধি করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে উপেক্ষা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে বিরোধী দল ও মত দমনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিরামহীন গতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরির মাধ্যমে মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ বর্তমান গণধিকৃত সরকারের ধারাবাহিক দমন নীতির অংশ। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন পীড়ন, মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও শেষ হয়নি, বরং আরো তীব্র গতিতে চলছে।

তিনি বলেন, সকল অপকর্ম ও দুঃশাসনের জন্য বর্তমান সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করার সময় অত্যন্ত সন্নিকটে। জনগণ আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসত্য মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

এদিকে বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এক সময় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে এটা দাবি করা যাবে না। দেশে এখন গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্রকে কবর দেয়া হয়েছে। যারা ছাত্র রাজনীতি করেন তারা জানেন গণতন্ত্রের কিছু শর্ত থাকে। তার মধ্যে একটি শর্ত হলো জনগণের ভোটের অধিকার। আজকে সে অধিকারটা কেড়ে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তির কাগজপত্র দেয়া হলে আমরা বিবেচনা করবো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দুদু বলেন, আপনার সরকার যদি পদত্যাগ পত্র দেয়, আমরা ভেবে দেখব আপনাদের শাস্তি জেলে হবে না জেলের বাইরে হবে? সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র: আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী চালক দলের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন কবীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বি এম শাজাহানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

শামসুজ্জামান দুদু নির্বাচন কমিশনকে গোপাল ভাড় এর সাথে তুলনা করে বলেন, নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচন কমিশন আছে; কিন্তু সেই কমিশনে বসে আছে গোপাল ভাড়। সরকারের প্রশাসনের এত খারাপ ন্যাক্কারজনক ঘটনা গত ৪৭ বছরে আমরা লক্ষ্য করিনি। প্রশাসন ডিসি এসপি ইউএনও মিলে রাতে ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে নির্বাচনে সেন্টারে যেতে নিষেধ করে এবং রাত্রেই ভোট শেষ করে দেয়। আর নির্বাচন কমিশন বলে ইভিএম থাকলে রাতে নির্বাচন হতো না দিনে হতো। এটা মানুষ না অন্য কিছু ঠিক বুঝতে পারি না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরতন্ত্র একসাথে চালাতে চাচ্ছে। অনেক আগে তিনি বলেছিলেন ১ কেজি বেগুনে ১ কেজি লবন দিব না ২ কেজি দেব সেটা আমার ব্যাপার। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলি ঘরে রান্না করা আর রাষ্ট্র পরিচালনা করা এক জিনিস না, এটা বুঝতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বাকশাল কায়েম করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০১:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক ;
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম সোমবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ দেশকে ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মানুষ আজ অধিকারহারা, তাদের মৌলিক মানবাধিকারগুলো ধুলায় লুটিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। চোখের সামনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে কেউ যাতে সাহসী না হয় সেজন্য ক্ষমতাসীন সরকার হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের তৎপরতা সীমাহীন মাত্রায় বৃদ্ধি করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে উপেক্ষা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে বিরোধী দল ও মত দমনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিরামহীন গতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরির মাধ্যমে মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং অধ্যাপক আমিনুল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ বর্তমান গণধিকৃত সরকারের ধারাবাহিক দমন নীতির অংশ। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন পীড়ন, মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও শেষ হয়নি, বরং আরো তীব্র গতিতে চলছে।

তিনি বলেন, সকল অপকর্ম ও দুঃশাসনের জন্য বর্তমান সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করার সময় অত্যন্ত সন্নিকটে। জনগণ আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে রফিকুল ইসলাম হিলালী এবং আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসত্য মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

এদিকে বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এক সময় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে এটা দাবি করা যাবে না। দেশে এখন গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্রকে কবর দেয়া হয়েছে। যারা ছাত্র রাজনীতি করেন তারা জানেন গণতন্ত্রের কিছু শর্ত থাকে। তার মধ্যে একটি শর্ত হলো জনগণের ভোটের অধিকার। আজকে সে অধিকারটা কেড়ে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তির কাগজপত্র দেয়া হলে আমরা বিবেচনা করবো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দুদু বলেন, আপনার সরকার যদি পদত্যাগ পত্র দেয়, আমরা ভেবে দেখব আপনাদের শাস্তি জেলে হবে না জেলের বাইরে হবে? সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র: আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী চালক দলের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন কবীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বি এম শাজাহানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

শামসুজ্জামান দুদু নির্বাচন কমিশনকে গোপাল ভাড় এর সাথে তুলনা করে বলেন, নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচন কমিশন আছে; কিন্তু সেই কমিশনে বসে আছে গোপাল ভাড়। সরকারের প্রশাসনের এত খারাপ ন্যাক্কারজনক ঘটনা গত ৪৭ বছরে আমরা লক্ষ্য করিনি। প্রশাসন ডিসি এসপি ইউএনও মিলে রাতে ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে নির্বাচনে সেন্টারে যেতে নিষেধ করে এবং রাত্রেই ভোট শেষ করে দেয়। আর নির্বাচন কমিশন বলে ইভিএম থাকলে রাতে নির্বাচন হতো না দিনে হতো। এটা মানুষ না অন্য কিছু ঠিক বুঝতে পারি না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরতন্ত্র একসাথে চালাতে চাচ্ছে। অনেক আগে তিনি বলেছিলেন ১ কেজি বেগুনে ১ কেজি লবন দিব না ২ কেজি দেব সেটা আমার ব্যাপার। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলি ঘরে রান্না করা আর রাষ্ট্র পরিচালনা করা এক জিনিস না, এটা বুঝতে হবে।