ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

আগুনের ঝুঁকিতে নিউমার্কেট এলাকার বেশির ভাগ শপিং কমপ্লেক্স

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর কয়েক দশকের পুরোনো গাউছিয়া, নূর ম্যানসন, চাঁদনীচকের মতো পুরনো জনপ্রিয় মার্কেটগুলো আগুনের ভয়াবহ ঝুঁকিতে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বলছে, আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং নিরাপদে বেরিয়ে আসার ব্যবস্থা নেই নিউমার্কেট এলাকার এসব শপিং সেন্টারে। ফলে আগুনে সম্পদহানির পাশাপাশি রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। -ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।

মার্কেট নূর ম্যানশন শপিং কমপ্লেক্সর প্রতিটি দোকান ও হাঁটার সরু গলি কাপড়ে ঠাসা। মাথার ঠিক তিন ফুট উপরেই ঝুলছে বৈদ্যুতিক তার। এসির তারগুলোও সুরক্ষিত নয়। এছাড়া মার্কেটের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে মিনি গার্মেন্টস। শুক্রবার মার্কেটটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

একই অবস্থা চাঁদনি চক, গাউছিয়া, ধানমন্ডি হকার্সসহ এই এলাকার অন্যান্য মার্কেটগুলোর। আগুন লাগলে পথ খুঁজে বের হওয়া কঠিন, তার ওপর বেশিরভাগই জানেন না দুর্ঘটনা ঘটলে কি করতে হবে।
ঝুঁকির কথা স্বীকার করে নূর ম্যানসন শপিং কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা শাহাদাত হোসেন খান বলেন, সম্পদ আমাদের তাই এটি রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদেরওই। এখানে কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে তাই ফায়ার সার্ভিসের দেয়া সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

তবে গাউছিয়া সুপার মার্কেটের বিদ্যুৎ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, মার্কেটে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। সম্পূর্ণ নিরাপদ, এখানো ঝুঁকির কোনো আশঙ্কা নেই।

আগুনের ঝুঁকি এড়াতে মার্কেটে ছাদে ওঠার সিঁড়ি ও দরজা খোলা রাখা, বের হওয়ার একাধিক দরজা, আন্ডারগ্রাউন্ডে ৫০ হাজার গ্যালন পানি মজুদ এবং মার্কেটে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানোর কর্মী থাকার কথা। কিন্তু এই আইন মানেনি এসব শপিং সেন্টার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আগুনের ঝুঁকিতে নিউমার্কেট এলাকার বেশির ভাগ শপিং কমপ্লেক্স

আপডেট সময় : ০৪:২২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯

রাজধানীর কয়েক দশকের পুরোনো গাউছিয়া, নূর ম্যানসন, চাঁদনীচকের মতো পুরনো জনপ্রিয় মার্কেটগুলো আগুনের ভয়াবহ ঝুঁকিতে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বলছে, আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং নিরাপদে বেরিয়ে আসার ব্যবস্থা নেই নিউমার্কেট এলাকার এসব শপিং সেন্টারে। ফলে আগুনে সম্পদহানির পাশাপাশি রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। -ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।

মার্কেট নূর ম্যানশন শপিং কমপ্লেক্সর প্রতিটি দোকান ও হাঁটার সরু গলি কাপড়ে ঠাসা। মাথার ঠিক তিন ফুট উপরেই ঝুলছে বৈদ্যুতিক তার। এসির তারগুলোও সুরক্ষিত নয়। এছাড়া মার্কেটের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে মিনি গার্মেন্টস। শুক্রবার মার্কেটটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

একই অবস্থা চাঁদনি চক, গাউছিয়া, ধানমন্ডি হকার্সসহ এই এলাকার অন্যান্য মার্কেটগুলোর। আগুন লাগলে পথ খুঁজে বের হওয়া কঠিন, তার ওপর বেশিরভাগই জানেন না দুর্ঘটনা ঘটলে কি করতে হবে।
ঝুঁকির কথা স্বীকার করে নূর ম্যানসন শপিং কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা শাহাদাত হোসেন খান বলেন, সম্পদ আমাদের তাই এটি রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদেরওই। এখানে কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে তাই ফায়ার সার্ভিসের দেয়া সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

তবে গাউছিয়া সুপার মার্কেটের বিদ্যুৎ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, মার্কেটে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। সম্পূর্ণ নিরাপদ, এখানো ঝুঁকির কোনো আশঙ্কা নেই।

আগুনের ঝুঁকি এড়াতে মার্কেটে ছাদে ওঠার সিঁড়ি ও দরজা খোলা রাখা, বের হওয়ার একাধিক দরজা, আন্ডারগ্রাউন্ডে ৫০ হাজার গ্যালন পানি মজুদ এবং মার্কেটে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানোর কর্মী থাকার কথা। কিন্তু এই আইন মানেনি এসব শপিং সেন্টার।