ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও পায়রা বন্দরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কানুনগো ও এলএ শাখার কয়েকজন জরিপকারী দুমকি সেনানিবাসের ক্ষতিগ্রস্তদের জমির ফাইল আটকে দিয়ে ৯/১০ শতাংশ টাকা দাবি করে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সরকার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পাঁচকোরালিয়া ভিলেজে চার শতাধিক জমি ও পায়রা বন্দর অধিগ্রহণ করে। কিন্তু ওই জমির টাকা পাওয়ার জন্য এলএ শাখার কানুনগো ও সার্ভেয়াররা ৯/১০ শতাংশ ঘুষ দাবি করে এবং ঘুষ না দিলে সার্ভেয়ার ও কানুনগো ভিকটিমদের ফাইল পরের দিন আটকে রাখে।

তবে সার্ভেয়ারদের ঘুষ দিয়ে জমির জাল দলিল জমা দিলেও অনেকে টাকা পান। এ ছাড়া, কয়েকদিন আগে পাঁচকোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন মৃধা একই বিষয়ে সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন, নাজমুল, শাহাবুদ্দিন মুন্সিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। যাইহোক, অনেক ভুক্তভোগী দাবি করেছেন যে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা জরিপকারীদের ঘুষ না দিয়ে টাকা তুলতে সক্ষম হওয়া উচিত।

পটুয়াখালী ডিসি অফিসের এল/এ শাখায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পটুয়াখালী ডিসি অফিসের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অনেক এল/এ কানুনগো ও সার্ভেয়ারের নামে বিভিন্ন অনিয়ম-সম্পর্ক, দুর্নীতি, জ্ঞাত বহিরাগত সম্পদ ও ঘুষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এখানকার প্রতিটি কানুনগো ও জরিপকারী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিচিত বহিরাগত সম্পদ ও সম্পত্তি অর্জন করে দুর্নীতি ও ঘুষ খেয়ে কোটিপতি হয়েছেন। কানুনগো ও জরিপকারীর নাম যথাক্রমে জানা গেছে, কানুনগো ফজলুর রহমান এল/এ-তে কর্মরত ছিলেন।

শাখা এবং এখন S/A শাখায় উন্নীত হয়েছে কিন্তু এখনও L/A শাখায় কর্মরত আছেন, কানুনগো ইব্রাহিম L/A শাখা, কানুনগো শহিদুল L/A শাখা, সার্ভেয়ার আসাদ L/A শাখা, সার্ভেয়ার আবুল কালাম L/A শাখা, সার্ভেয়ার মুজিবর L/A শাখা, সার্ভেয়ার নাজমুল L/A শাখা, সার্ভেয়ার নাজমুল এল/এ শাখা, সার্ভেয়ার উপদেষ্টা অফিস এবং সাজদাম উপদেষ্টা। এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। সার্ভেয়ার মোঃ আসাদ সাহেব, 12% থেকে 15% এর নিচে কোন কাজ নেন না।

ভুক্তভোগীরা বরিশালের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি তার আসল পদায়ন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হলেও তিনি ১১ বছর ধরে পটুয়াখালীতে কর্মরত আছেন। খুলনা বিভাগে সরানোর জন্য তিনি জেলা প্রশাসক পটুয়াখালীর কাছে আবেদন করলেও কোনো অজ্ঞাত কারণে তা উপস্থাপন করা হয়নি, বরং প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণকারী একজন সার্ভেয়ারকে জেলা প্রশাসকের গুরুত্বপূর্ণ এলএ শাখায় দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে সার্ভেয়ার নাজমুল ও সার্ভেয়ার কলাম জানা যায়, তারা দুই সার্ভেয়ার, যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল ও জেলা প্রশাসক পটুয়াখালীর নামে একাধিক পরিবারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যা বিভাগীয় তদন্তাধীন রয়েছে। দুর্নীতির আরেক নাম সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন, তিনি এখন পটুয়াখালী সদর ভূমি অফিসে কর্মরত।

তিনি যখন পটুয়াখালী শাখায় ছিলেন তখন থাকালী (ইপিজেড) ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার থেকে প্রতিটি ফাইল থেকে সরাসরি 9/10% ঘুষ নিতেন, সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন এখন কোটি টাকার মালিক। তারা এলে শাখার আইনজীবী মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ ইব্রাহিমকে টাকা দেওয়া হয়, কাগজের দরকার নেই, তারা ঘুরে ঘুরে বলে যে, প্রতিটি ফাইলে ৫% টাকা না দিলে, এই কাগজটা তাদের নেই, ওই কাগজটা দিনের পর দিন দরকার। ভুক্তভোগীদের দাবি অবিলম্বে তাদের বদলি করে ভালো লোক নিয়োগ দেওয়া হোক।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও পায়রা বন্দরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কানুনগো ও এলএ শাখার কয়েকজন জরিপকারী দুমকি সেনানিবাসের ক্ষতিগ্রস্তদের জমির ফাইল আটকে দিয়ে ৯/১০ শতাংশ টাকা দাবি করে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সরকার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পাঁচকোরালিয়া ভিলেজে চার শতাধিক জমি ও পায়রা বন্দর অধিগ্রহণ করে। কিন্তু ওই জমির টাকা পাওয়ার জন্য এলএ শাখার কানুনগো ও সার্ভেয়াররা ৯/১০ শতাংশ ঘুষ দাবি করে এবং ঘুষ না দিলে সার্ভেয়ার ও কানুনগো ভিকটিমদের ফাইল পরের দিন আটকে রাখে।

তবে সার্ভেয়ারদের ঘুষ দিয়ে জমির জাল দলিল জমা দিলেও অনেকে টাকা পান। এ ছাড়া, কয়েকদিন আগে পাঁচকোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন মৃধা একই বিষয়ে সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন, নাজমুল, শাহাবুদ্দিন মুন্সিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। যাইহোক, অনেক ভুক্তভোগী দাবি করেছেন যে ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা জরিপকারীদের ঘুষ না দিয়ে টাকা তুলতে সক্ষম হওয়া উচিত।

পটুয়াখালী ডিসি অফিসের এল/এ শাখায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পটুয়াখালী ডিসি অফিসের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অনেক এল/এ কানুনগো ও সার্ভেয়ারের নামে বিভিন্ন অনিয়ম-সম্পর্ক, দুর্নীতি, জ্ঞাত বহিরাগত সম্পদ ও ঘুষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এখানকার প্রতিটি কানুনগো ও জরিপকারী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিচিত বহিরাগত সম্পদ ও সম্পত্তি অর্জন করে দুর্নীতি ও ঘুষ খেয়ে কোটিপতি হয়েছেন। কানুনগো ও জরিপকারীর নাম যথাক্রমে জানা গেছে, কানুনগো ফজলুর রহমান এল/এ-তে কর্মরত ছিলেন।

শাখা এবং এখন S/A শাখায় উন্নীত হয়েছে কিন্তু এখনও L/A শাখায় কর্মরত আছেন, কানুনগো ইব্রাহিম L/A শাখা, কানুনগো শহিদুল L/A শাখা, সার্ভেয়ার আসাদ L/A শাখা, সার্ভেয়ার আবুল কালাম L/A শাখা, সার্ভেয়ার মুজিবর L/A শাখা, সার্ভেয়ার নাজমুল L/A শাখা, সার্ভেয়ার নাজমুল এল/এ শাখা, সার্ভেয়ার উপদেষ্টা অফিস এবং সাজদাম উপদেষ্টা। এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। সার্ভেয়ার মোঃ আসাদ সাহেব, 12% থেকে 15% এর নিচে কোন কাজ নেন না।

ভুক্তভোগীরা বরিশালের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি তার আসল পদায়ন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হলেও তিনি ১১ বছর ধরে পটুয়াখালীতে কর্মরত আছেন। খুলনা বিভাগে সরানোর জন্য তিনি জেলা প্রশাসক পটুয়াখালীর কাছে আবেদন করলেও কোনো অজ্ঞাত কারণে তা উপস্থাপন করা হয়নি, বরং প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণকারী একজন সার্ভেয়ারকে জেলা প্রশাসকের গুরুত্বপূর্ণ এলএ শাখায় দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে সার্ভেয়ার নাজমুল ও সার্ভেয়ার কলাম জানা যায়, তারা দুই সার্ভেয়ার, যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল ও জেলা প্রশাসক পটুয়াখালীর নামে একাধিক পরিবারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যা বিভাগীয় তদন্তাধীন রয়েছে। দুর্নীতির আরেক নাম সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন, তিনি এখন পটুয়াখালী সদর ভূমি অফিসে কর্মরত।

তিনি যখন পটুয়াখালী শাখায় ছিলেন তখন থাকালী (ইপিজেড) ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার থেকে প্রতিটি ফাইল থেকে সরাসরি 9/10% ঘুষ নিতেন, সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসেন এখন কোটি টাকার মালিক। তারা এলে শাখার আইনজীবী মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ ইব্রাহিমকে টাকা দেওয়া হয়, কাগজের দরকার নেই, তারা ঘুরে ঘুরে বলে যে, প্রতিটি ফাইলে ৫% টাকা না দিলে, এই কাগজটা তাদের নেই, ওই কাগজটা দিনের পর দিন দরকার। ভুক্তভোগীদের দাবি অবিলম্বে তাদের বদলি করে ভালো লোক নিয়োগ দেওয়া হোক।

Loading