দুজনেই যেন স্বৈরাচারের নতুন ভার্সন:
গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়
- আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
সকালের সংবাদ এক্সক্লুসিভ: চলমান রয়েছে ‘রাষ্ট্র’ সংস্কার। বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ওই কার্যক্রমের শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিপ্তর ও পরিদপ্তরসহ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ও সমর্থিত কর্মকর্তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হচ্ছে। তবে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের চিত্র ভিন্ন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও সমর্থিত প্রকৌশলী এবং অন্য কর্মকর্তরা অধিদপ্তরটির গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে এখনো আছেন বহাল তবিয়তে। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীসহ অতিরিক্ত প্রধান, তত্বাবধায়ক ও নির্বাহী এবং অন্য প্রকৌশলীদের অনেকেই গণপূর্ত অধিদপ্তরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত। এসব তথ্য ওই অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছেন।
গণপূর্তে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী শহীদুল আলমের আমলনামা:
গণপূর্ত ক্যাডারের ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন লিয়েনে (বিনা বেতনে দীর্ঘমেয়াদি ছুটি) বিভিন্ন দাতা সংস্থায় কাজ করে। তিনি লিয়েন নিয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে (এডিবি) কর্মরত থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে সরকারি বেতন নেন বলে অভিযোগ করে এডিবির দুর্নীতি প্রতিরোধ শাখা। অবশ্য পরবর্তীতে তিনি ভুল স্বীকার করে সরকারি অর্থ ফেরত দিয়েছিলেন।
মোটাদাগে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার মত গুরুতর অভিযোগ মাথায় নিয়েও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। বিভিন্ন খাত থেকে ৬০০ কোটি টাকা লুটপাট করে গণপূর্তির সাবেক আরেকজন কর্মকর্তার কাছে ঘোষিত রেখেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে লুটপাটের অর্থ বিভিন্ন মহলে বিলিয়ে তার নিজের চেয়ার পাকাপোক্ত রেখেছেন বলে জানা গেছে। আগামীতে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার কে হটিয়ে সেই চেয়ার দখলের পায়তারা করছেন শহীদুল আলম। তাই বগুড়া জেলার প্রকৌশলীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত থাকলেও তাদেরকে ঢাকায় বদলে দিয়েছেন নিজেকে বিএনপি প্রমাণের জন্য।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। কিন্তু সব অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে তিনি উল্টো পদোন্নতি বাগিয়েছেন। বর্তমানে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন ও সমন্বয়) এর চলতি দায়িত্বে। এখন নিয়ম লঙ্ঘন করে এবং পদোন্নতির শর্তপূরন ছাড়াই তাকে স্থায়ী ভাবে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির জন্য সম্প্রতি সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সংস্লিষ্টরা জানান, এসএসবির পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালায় প্রস্তাবিত কর্মকর্তার বিগত ৫ বছরের এসিআর এর সারসংক্ষেপ এবং ফিডার পদে ২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু চলতি দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ২০১৫ সালের ১৬ জুন থেকে ২০২০ সালের ৮ জুন পর্যন্ত সময়ে লিয়েনে থাকায় ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের ৯ জুন পর্যন্ত সময়ের এসিআর নেই বলে এসএসবিতে পাঠানো সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তার এসিআর রয়েছে মাত্র দুই বছরেরও কম সময়ের। তাছাড়া ফিডার পদ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতার নিয়ম থাকলেও যে সময়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তখন তার এই পদে দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা পূর্ন হয়নি বলে সংস্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
প্রস্তাবে অন্য তিনজন চলতি দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী, কাজী ওয়াসিফ আহমেদ এবং কাজী মো. আবু হানিফ এর ৫ বছরের এসিআর রয়েছে এবং তারা তিন জনই ৫ বছরের বেশি সময় ধরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে স্থায়ী হয়েছেন। আর শহিদুল আলম দেশে ফিরে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কিছু দিন পরে ২০২১ সালের ২৩ জুন নিয়ম বহির্ভুত ভাবে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব পান বলে অভিযোগ রয়েছে। শহিদুল আলমের তিন বছর আগে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে শহিদুল আলমকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে স্থায়ী করার জোর তদবির চলছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, লিয়েন কালীন সময়ে গণপূর্ত থেকেও বেতন ভাতা নিয়েছেন আবার বিদেশী কোম্পানীতে চাকুরী করে সেখান থেকেও বেতন নিয়েছেন। যা সরকারি চাকুরী বিধির পরিপন্থি। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে ২০১৬ সালে লিয়েনকালীন সময়ে নেওয়া বেতন ভাতা ফেরত দিয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২০২১ সালে বিদেশ থেকে ফিরে এসে তিনি গণপূর্তের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেন এবং প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারকে ম্যানেজ করে তার ডান হাত বনে যান। তাকে প্রধান কার্যালয়ের অতি: প্রধান প্রকৌশলী (সমন্বয়) পদে পদায়ন করে দেওয়া হয় অসীম ক্ষমতা। গণপূর্তের প্রকৌশলীদের বদলী সমন্বয়ের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর তার করা তালিকা মতই প্রকৌশলীদের বদলী করছেন প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার।
দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অসাদাচারণের জন্য গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহীদুল আলমকে অপসারনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছিল গণপূর্ত অধিদফতর ঠিকাদার সমিতি। গত ২২ মে সেগুনবাগিচায় পূর্ত ভবনে ঠিকাদার সমিতির একটি অবস্থান কর্মসূচি থেকে তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়। কর্মসূচি শেষে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয় সমিতির পক্ষ থেকে।
এর আগে ঠিকাদার সমিতি নেতারা অভিযোগ করেন, মো. শহিদুল আলম সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করছে। নানা প্রকল্প থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা শহীদুল আলম গণপূর্ত অধিদফতরের উন্নয়ন সহযোগী ঠিকাদারদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। সবগুলো ডিভিশনে নিজস্ব ঠিকাদার নিয়োগ করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করে থাকেন যার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বা মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনাও নেই। এমনকি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভায় ঠিকাদার সমিতিকে পাশ কাটিয়ে নিজের পছন্দসই ঠিকাদারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
নাছিমের ইশারায় গণপূর্তে এখন বদলি বাণিজ্যের নতুন সিন্ডিকেট;
গণপূর্ত অধিদপ্তরের চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার ব্যক্তিগতভাবে পীর এবং সৎ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত থাকলেও তার এই সততার সুযোগের পুরোটাই কাজে লাগাচ্ছেন গণপূর্ত ঢাকা মেট্রোপলিটান জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নাছিম খান। সংস্থাপনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীও শহীদুল আলমও স্বচ্ছ মানুষ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু নাছিম খান সিন্ডিকেটের সামনে অসহায় এই দুই কর্মকর্তা। গণপূর্তের বদলি বাণিজ্য সিন্ডিকেটের পুরো নেতৃত্ব দিচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।
বিসিএস ১৫ ব্যাচের মধ্যে গ্রেডেশন তালিকায় সবচেয়ে নিচে অবস্থান করা মো. নাছিম খান এখন স্বপ্ন দেখছেন চলতি দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ শামীম আখতারকে সরিয়ে নিজেই ওই চেয়ারে বসতে। নিজের সাঙ্গপাঙ্গদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন, সাত নম্বরের শামীম চিফ ইঞ্জিনিয়ারের চলতি দায়িত্বে থাকতে পারেলে ১২ নম্বরে থাকা আমি কেনো থাকতে পারবো না। উপরের কাউকে ডিঙ্গিয়ে তো শামীম রেগুলার হতে পারবে না। আমিও রেগুলার হবো না। সমস্যা কোথায়। তোমরা টাকা দেও। আমি ব্যবস্থা করছি।
পোস্টিং নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর বদলি ক্ষমতা সিজ করেছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন পরে তা ফিরিয়ে দেয়ার পর গণপূর্তে নিয়মিত পোস্টিং শুরু হয়েছে। কিন্তু শুরুতেই বাণিজ্য পেতে বসেছেন নাছিম খান। বর্তমানে বাংলাদেশ গণপূর্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি বা বাপিডিপ্রকৌস খুব শক্তিশালী সংগঠন ও নেতৃত্ব থাকায় তারা বিভিন্ন পোস্টিংয়ে নিজেদের চয়েজ দিয়ে থাকে। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে একটা ঠান্ডা লড়াই রয়েছে।
খান বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে বিকল্প নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার একটি পরামর্শ দেন। এতে প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর (সংস্থাপ ও সমন্বয়) সায় থাকলেও এর নেপথ্যে ব্যবসা ফেদে বসেন নাসিম খান। বাংলাদেশ গণপূর্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি বা বাপিডিপ্রকৌস এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর সরকারকে নিয়ে বিকল্প সমিতি একটিভ করার অংশ হিসেবে সম্প্রতি যে অর্ডারগুলো হয়েছে তাতে নাছিম খানের লিস্টগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী বদলির ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর ৬৯জন প্রকৌশলীকে বদলি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯০ ভাগ প্রকৌশলী কোন না কোনভাবে টাকা খরচ করতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ প্রধান প্রকৌশলী এসব ঘুষের টাকা ধরেন না। পুরোটাই যায় নাছিম খানের পেটে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী সহকারী প্রকৌশলী পদে বদলির জন্য নাসিম খানঢাকা গণপূর্ত মো. সেলিম হোসেন, মো. আবুল কাশেম চৌধুরী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও মো. সেকান্দার জোবায়েদ আলীর কাছ থেকে। এর মধ্যে মো. সেলিম হোসেনকে ঢাকা গণপূর্ত মেট্রো জোন, মো. আবুল কাশেম চৌধুরীকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে ঢাকা গণপূর্ত মেট্রো জোন ও মো. সেকান্দার জোবায়েদ আলীকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-২ এ বদলি করা হয়েছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ গণপূর্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি বা বাপিডিপ্রকৌস নেতারা প্রধান প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেছেন। তারা হাতে নাতে কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরলেও নির্বিকার প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার। নিজের কনফার্ম না হওয়া এবং ব্যাচমেটদের মধ্যে নাছিম খানকে তার আজ্ঞাবহ মনে হওয়ায় তিনিও এসব পরোক্ষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।
কর্মকর্তারা জানান, নাছিম খানের এসব দুর্নীতির বিষয়ে মোহাম্মদ শামীম আখতার ও শহীদুল আলম অবহিত থাকলেও নিজেদের প্রভাব বলয় ধরে রাখার জন্য নিশ্চুপ রয়েছেন। ১৭ ব্যাচের গ্রেডেশনে শহীদুল আলম সবার উপরে থাকায় তার প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি কোন বিরোধে জড়িয়ে সে সম্ভাবনা নষ্ট করতে চাইছেন না।
একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলীর পদোন্নতির প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর পর পদোন্নতি হওয়ার আগেই তার কর্মস্থলে অন্য একজন কর্মকর্তাকে বদলী করার ঘটনার নায়ক ছিল এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। গত বছরের ৪ জুলাই কুমিল্লা গনপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হোসেনকে ঢাকার গণপূর্ত ই/এম সার্কেল-২ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এর স্থলে বদলী করা হয়। বদলী আদেশে বলা হয়েছে পদোন্নতি হওয়া সাপেক্ষে মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এর পদ শূন্য হওয়ার পর বদলী আদেশটি কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পদোন্নতির প্রস্তাব পাঠানোর পর তা অনুমোদন হওয়ার আগেই ঐ পদে আরেকজনকে বদলী করার পেছনো মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তা না হলে ঢাকার বাইরে থেকে কেন হঠাৎ একজনকে বদলী করা হলো যে পদে এখনো পদোন্নতি হয়নি। সে সময়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন ও সমন্বয়) মো. নাছিম খান এবং গণপূর্তের বদলী বানিজ্যের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট আরও বেশ কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে বদলী করেন।
অভিযোগ রয়েছে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নাসিম খান নিজে মেট্রোপলিটন জোনে বদলী হওয়ার খরচ তোলার জন্য উপ-সহকারি শেখ মোহাম্মদ হোসেনকে এবং অন্য আরও তিন জন নির্বাহী প্রকৌশলীকে সুবিধাজনক কর্মস্থলে বদলীর ব্যবস্থা করেন। প্রধান প্রকৌশলী একই ব্যাচের এবং ঘনিষ্ট বন্ধু হওয়ায় তিনি এই সুযোগ নিয়েছেন। সে সময়ে নাছিম খান এবিষয়ে বলেছিলেন, বদলীর ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সঠিক নয়। পদ শূন্য হওয়ার আগে এধরনের বদলীর রেওয়াজ আগেও রয়েছে।