ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের আমলে জনবল নিয়োগে বৃহত্তর সিলেটবাসীর আধিক্য

প্রতিনিধি, শাবিপ্রবি
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে সিলেটের তথা বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের লোকজন। গত সাড়ে ৬ বছরে ২২৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এদের মধ্যে ১৫১ জনই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের। সম্প্রতী, সিলেট প্রতিদিনের এক অনুসন্ধানে উঠে আসে এ তথ্য।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ জনবলকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।২০১৭ সালের ২১ আগস্টে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এরপর ফের ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য দায়িত্ব পান তিনি। দায়িত্বকাল থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছেন ৩৭৬ জন।

তারমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন ১৫৩ জন। যাদের ১০৩ জনই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী। আর বাকি ৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে ঢাবি(২০), বুয়েট(১৩), চবি(৮), জাবি (৫), রাবি(২) ও চুয়েট(১) থেকে নিয়োগ পান।

অন্যদিকে, এ উপাচার্যের দায়িত্বকালে কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছে ৩৫ জন; এর মধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ) অঞ্চল থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৮ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার (কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ২ জন ও অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ জন ।

একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫৪ জন। যারমধ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে ৩৬ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার ৭ জন ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ১১জন রয়েছেন।

এছাড়া তার দায়িত্বের সাড়ে ৬ বছরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি হিসেবে ১৩৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য। এর মধ্যে বৃহত্তর সিলেটের রয়েছে ৯৭ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার নিয়োগ পেয়েছেন ৬ জন ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৩১ জন।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাবিপ্রবি এখন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে। যার ফলাফলস্বরুপ ১৫৩ জন শিক্ষকদের মধ্যে ১০৩ জনই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাছাড়া আমরা বিজ্ঞাপন ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেয়ার পর যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ার কারণে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছে সেটা আমরা বিবেচনা করিনি। আমরা সবসময় সেরাদের সেরা ফলাফলধারী ও যোগ্যতা সম্পন্নদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের আমলে জনবল নিয়োগে বৃহত্তর সিলেটবাসীর আধিক্য

আপডেট সময় : ০৬:০৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে সিলেটের তথা বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের লোকজন। গত সাড়ে ৬ বছরে ২২৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এদের মধ্যে ১৫১ জনই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের। সম্প্রতী, সিলেট প্রতিদিনের এক অনুসন্ধানে উঠে আসে এ তথ্য।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ জনবলকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।২০১৭ সালের ২১ আগস্টে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এরপর ফের ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য দায়িত্ব পান তিনি। দায়িত্বকাল থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছেন ৩৭৬ জন।

তারমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন ১৫৩ জন। যাদের ১০৩ জনই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী। আর বাকি ৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে ঢাবি(২০), বুয়েট(১৩), চবি(৮), জাবি (৫), রাবি(২) ও চুয়েট(১) থেকে নিয়োগ পান।

অন্যদিকে, এ উপাচার্যের দায়িত্বকালে কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছে ৩৫ জন; এর মধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ) অঞ্চল থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৮ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার (কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ২ জন ও অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ জন ।

একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫৪ জন। যারমধ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে ৩৬ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার ৭ জন ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ১১জন রয়েছেন।

এছাড়া তার দায়িত্বের সাড়ে ৬ বছরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি হিসেবে ১৩৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য। এর মধ্যে বৃহত্তর সিলেটের রয়েছে ৯৭ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার নিয়োগ পেয়েছেন ৬ জন ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৩১ জন।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাবিপ্রবি এখন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে। যার ফলাফলস্বরুপ ১৫৩ জন শিক্ষকদের মধ্যে ১০৩ জনই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাছাড়া আমরা বিজ্ঞাপন ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেয়ার পর যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ার কারণে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছে সেটা আমরা বিবেচনা করিনি। আমরা সবসময় সেরাদের সেরা ফলাফলধারী ও যোগ্যতা সম্পন্নদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি।