ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের আমলে নিয়োগে প্রভাব পড়েনি স্বজনপ্রীতির

প্রতিনিধি, শাবিপ্রবি
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সেশনজট নিরসন, সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাসহ নানান কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পান সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এর আগে ১১তম উপাচার্য হিসেবে ২০১৭ সালের ২১ আগস্টে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। আদর্শ, সুশিক্ষিত ও মানসম্মত গ্র‍্যাজুয়েট তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের। ফলে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে মোট ৩৭৬ জনকে নিয়োগ দেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শাবিপ্রবিতে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট ১১তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০২১ সালের ২১ আগস্ট প্রথম মেয়ার পূর্ণ করেন তিনি। প্রথম মেয়াদে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন ও বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ৪ মাস পূর্বেই তাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে ২০১৭ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থকে ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ৩৭৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) নিয়োগ দেন তিনি।

সূত্রে আরও জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের আমলে ৩৭৬ জন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫৩ জন। এরমধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে ১০৩ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ২০জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ৮ জন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে ৫ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে ২ জন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে ১ জন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা আনতে দুই মেয়াদের এখন পর্যন্ত ৩৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য। এরমধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার) নিয়োগ পেয়েছেন ১৮ জন, বৃহত্তর কুমিল্লা (কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ২ জন, দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ জন ।

তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পেয়েছেন ৫৪ জন। এরমধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার) থেকে ৩৬ জন, বৃহত্তর কুমিল্লা (কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে ৭জন, দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ১১জন নিয়োগ পেয়েছেন।

অন্যদিকে দাপ্তরিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ১৩৪ জন। এরমধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার) থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৯৭ জন, বৃহত্তর কুমিল্লা (কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৬ জন, দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৩১ জন। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে সেরাদের সেরা শিক্ষক, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়োগ দিতে। শিক্ষক হিসেবে যারা একাডেমিকে অনেক ভালো ফলাফল করছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকৃত শিক্ষকদের মধ্যে অনেকের ভালো ভালো জার্নালে গবেষণাপত্রও রয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছে সেটা আমরা বিবেচনা করিনি। আমরা সবসময় সেরাদের সেরা ফলাফলধারী ও যোগ্যতা সম্পন্নদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষক হিসেবে যাদের নিয়োগ দিয়েছি এরমধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সম্পন্ন করা ১০৩ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দিতে পেরেছি। তাতেই বুঝা যায় আমরা অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন ও দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করছি। পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়া গ্রাজুয়েটরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের ও গৌরবের। আমরা বিজ্ঞাপনের অতিরিক্ত কোন নিয়োগ দেইনি, বিজ্ঞাপন ছাড়া ও কাউকে নেইনি।কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেয়ার পর যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ার কারণে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, অনেকে মনে করে আমার বাড়ি কুমিল্লায় হওয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরে কুমিল্লার মানুষদের নিয়োগ দিচ্ছি। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা যে ধারণা পোষণ করে আছেন, তার কোন ভিত্তি নেই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়োগগুলো দেখলে সে কু-ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ পর্যন্ত আমার পরিবার বা গোষ্ঠীর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, দায়িত্ব পালনের শেষদিন অবদি তা হবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭ বছর দায়িত্ব পালন করছি, সবসময় নিজের সেরাটা দিয়ে শতভাগ সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও তা করে যাবো ইনশআল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের আমলে নিয়োগে প্রভাব পড়েনি স্বজনপ্রীতির

আপডেট সময় : ০৯:০৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সেশনজট নিরসন, সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাসহ নানান কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পান সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এর আগে ১১তম উপাচার্য হিসেবে ২০১৭ সালের ২১ আগস্টে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। আদর্শ, সুশিক্ষিত ও মানসম্মত গ্র‍্যাজুয়েট তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের। ফলে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে মোট ৩৭৬ জনকে নিয়োগ দেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শাবিপ্রবিতে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট ১১তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০২১ সালের ২১ আগস্ট প্রথম মেয়ার পূর্ণ করেন তিনি। প্রথম মেয়াদে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন ও বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ৪ মাস পূর্বেই তাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে ২০১৭ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থকে ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ৩৭৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) নিয়োগ দেন তিনি।

সূত্রে আরও জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের আমলে ৩৭৬ জন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫৩ জন। এরমধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে ১০৩ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ২০জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ৮ জন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে ৫ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে ২ জন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে ১ জন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা আনতে দুই মেয়াদের এখন পর্যন্ত ৩৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য। এরমধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার) নিয়োগ পেয়েছেন ১৮ জন, বৃহত্তর কুমিল্লা (কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ২ জন, দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ জন ।

তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পেয়েছেন ৫৪ জন। এরমধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার) থেকে ৩৬ জন, বৃহত্তর কুমিল্লা (কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে ৭জন, দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ১১জন নিয়োগ পেয়েছেন।

অন্যদিকে দাপ্তরিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ১৩৪ জন। এরমধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট-সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার) থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৯৭ জন, বৃহত্তর কুমিল্লা (কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৬ জন, দেশের অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৩১ জন। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে সেরাদের সেরা শিক্ষক, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়োগ দিতে। শিক্ষক হিসেবে যারা একাডেমিকে অনেক ভালো ফলাফল করছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকৃত শিক্ষকদের মধ্যে অনেকের ভালো ভালো জার্নালে গবেষণাপত্রও রয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছে সেটা আমরা বিবেচনা করিনি। আমরা সবসময় সেরাদের সেরা ফলাফলধারী ও যোগ্যতা সম্পন্নদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষক হিসেবে যাদের নিয়োগ দিয়েছি এরমধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সম্পন্ন করা ১০৩ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দিতে পেরেছি। তাতেই বুঝা যায় আমরা অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন ও দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করছি। পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়া গ্রাজুয়েটরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের ও গৌরবের। আমরা বিজ্ঞাপনের অতিরিক্ত কোন নিয়োগ দেইনি, বিজ্ঞাপন ছাড়া ও কাউকে নেইনি।কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেয়ার পর যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ার কারণে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, অনেকে মনে করে আমার বাড়ি কুমিল্লায় হওয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরে কুমিল্লার মানুষদের নিয়োগ দিচ্ছি। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা যে ধারণা পোষণ করে আছেন, তার কোন ভিত্তি নেই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়োগগুলো দেখলে সে কু-ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ পর্যন্ত আমার পরিবার বা গোষ্ঠীর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, দায়িত্ব পালনের শেষদিন অবদি তা হবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭ বছর দায়িত্ব পালন করছি, সবসময় নিজের সেরাটা দিয়ে শতভাগ সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও তা করে যাবো ইনশআল্লাহ।