এবারের নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে: শেখ হাসিনা

- আপডেট সময় : ০৯:৪১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩ ২৪১ বার পড়া হয়েছে

এবারের নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে: শেখ হাসিনা
পিআইবি
“বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখনই একটু উন্নত হয়, তখনই বাংলাদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার আছে- যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়, মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়।
নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন ‘চ্যালেঞ্জিং’ হবে জানিয়ে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “আগামী নির্বাচন, নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ, কারণ নানা ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়।
“বাংলাদেশের মানুষের জীবন যখনই একটু উন্নত হয়, তখনই বাংলাদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার আছে- যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়, মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর কিছু আছে বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়।”
সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা বলেন, “যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করে নাই, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন করেছে- তারা আছে, তাদের আওলাদ আছে, তারা সারাক্ষণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে।
“যারা স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন করে নাই, তাদের কাছেই তাদের সব আত্মীয়তা। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্য।”
নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির ‘অভ্যাস’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “ভোট চুরি করা, এটাই তাদের রেকর্ড। গণতন্ত্র হরণ করা, এটাই তাদের রেকর্ড। তো ওদের মুখে এখন আবার আমরা গণতন্ত্রের কথা শুনি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “যারা মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি দল, তাদের কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। তাদের কাছে ভোটের কথা শুনতে হয়। তো চুরি করা যাদের অভ্যাস, তো চোরদের কাছে বাংলাদেশের জনগণ কী শুনবে, কী দেখবে?
“২০০১ সালের নির্বাচনেও তো কম কারচুপি হয়নি। ১৯৯৬ সালে এই খালেদা জিয়াকেই বাংলাদেশের মানুষ ভোট চুরির অপরাধে বিতাড়িত করেছে। আবার ২০০৬ সালে নির্বাচনে ১ কোটি ২৩ কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট চুরি করতে গেছে, তখনও জনগণের আন্দোলনেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।”
আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে দলটির প্রধান বলেন, “আমাদের সংগঠনটা যথেষ্ট শক্তিশালী। সংগঠনটা যেন আরও মজবুত থাকে। সেদিকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”