আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যোগসাজোস থাকার অভিযোগ
গুলশান বনানীর স্পা সেন্টার ও সেলুনের অন্তরালে চলে দেহ ব্যবসা

- আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩ ৫৬০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: হলুদ সাংবাদিকরা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে দেহ ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে স্পার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিথ্যা চাঁদাবাজের নাটক সাজানোর নিমিত্তে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসনের কিছু অসাধু চক্রের সাথে মিলিত হয়ে মিথ্যা মামলার প্ল্যানে গোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবন্ধন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছেন অনেক সাংবাদিক সংগঠন।
গুলশান বনানীর স্পা সেন্টার হেয়ার কাটিং সেলুনের অন্তরালে চলে দেহ ব্যবসা। এ বিষয়টি খোদ প্রশাসন সহ এমন কোন সরকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, ডিজিএফআই, এনএসআই, সবার কম বেশি জানা। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এসব অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নিয়েছে। এদের দৌরাত্ম্য তারপরও থেমে নেই। তাদের অর্থের কাছে মাথা নত করছে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক নামধারী এসব প্রতিষ্ঠানের পা চাটা কিছু চামচারা। মাসে মাসে এসব নামধারী সাংবাদিকরা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নেয় মাসোয়ারা।
কোন পত্রিকায় এদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে এসব সাংবাদিকরা স্পা সেন্টারের মালিকদের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে আবার যারা স্পার বিরুদ্ধে সংবাদ করেছে তাদেরকে ভুয়া সাংবাদিক, চাঁদাবাজ ইত্যাদি উপাধি দিতেও চিন্তা করেনা। বিগত কয়েকদিন ধরে গুলশান-বনানীতে অবৈধ স্পা ও ম্যসাজ পার্লারে ভূইফোঁর সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে মূলধারার সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ সাজিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে একটি কু-চক্রী মহল।
এমনকি নিবন্ধিত সরকারী মিডিয়াভুক্ত পত্রিকার মান ক্ষুন্ন করে আসছে। জানা গেছে, ঐ সকল পত্রিকার প্রতিবেদক বা কোন কোন সম্পাদক একটি সিন্ডিকেট দ্বারা অর্থের বিনিময়ে এসব প্রতিবেদন করে আসছে। এমনকি যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে তাদের সাক্ষাৎকারও নেওয়া লাগে না। যেসকল পত্রিকায় ইতিমধ্যে স্পার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে উল্লেখ যোগ্য সেগুলো হল- দৈনিক রুপবানী, দৈনিক প্রানের বাংলাদেশ, দৈনিক তরুন কন্ঠ, দৈনিক যুগযুগান্তর, দৈনিক প্রতিদিন খবর,দৈনিক অগ্নিশিখা এবং সাপ্তাহিক কর্মক্ষত্র সহ বেশ কয়েকটি নাম উল্লেখ করেছে প্রতিবেদনে। শুধু তাই না অনেক সাংবাদিক বন্ধুদেরও জড়িয়েছেন।
তাদের সংবাদে স্পা ব্যবসায়ীরা ক্ষদ্র বলে উল্লেখ করেছে, কিন্তু বাস্তবে প্রতিদিন বিভিন্ন সেক্টরে লক্ষ লক্ষ টাকা তারা লেনদেন করে সকলকে ম্যানেজ করার জন্য। তারা আরোও উল্লেখ করেছে তাদের সরকারী ভাবে সকল অনুমতি আছে। তাহলে লোক চক্ষুর আড়ালে তাদের লুকোচুরি কেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেলুনের নামে সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তারা সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশের মানুষকে নষ্টের দিকে ঠেলে দিয়ে চালাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ পতিতা বৃত্তির ব্যবসা। চোরের মায়ের বড় গলা।
বিগত দিনে বিভিন্ন গনমাধ্যমে স্পা ব্যাসয়ীদের কুকর্মের প্রতিবেদন ও পুলিশের বিভিন্ন অভিযান এবং গ্রেফতার ও মামলা প্রমান করে এই বিষয় গুলোকে। তাদের কুকীর্তির অপকর্মের সংবাদ ভিডিও, অডিও এবং সংবাদ হিসেবে এখনো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় সবসময়। তাই এধরনের ভিত্তিহীন প্রতিবেদন সকল মহলে আজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সাংবাদিক হয়ে খারাপ ও সমাজ বিরোধীদের সাথে একত্মতা ঘোষণা, যারা সাহসের সাথে সংবাদ প্রকাশ করে অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শতভাগ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে মীর জাফরের চরিত্রকে আলিঙ্গন করছে এসব নামধারী হলুদ সাংবাদিকরা।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, এসব অযৌক্তিক প্রতিবেদনে স্পা সিন্ডিকেটের একটি বড় ধরনের হাত রয়েছে। এরা কোন ক্ষদ্র্র ব্যবসায়ী নয়। কারন যদি তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা বৈধ লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করে থাকেন তাহলে অনেক পুলিশ প্রসাশনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল মহলকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করতেন না। শুধু তাই নয় এসব স্পা সেন্টারের বিরুদ্ধে গুলশান ও বনানী থানায় একাধিক মানব পাচার দমন আইনে মামলা রয়েছে। সেগুলো মনে হয় ক্ষতিয়ে দেখা উচিত।
তবে এসব কারবারীরা তাদের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কথিত সাংবাদিক জাফরের সাথে গোপন বৈঠকে প্রতিবেদন করার নামে কয়েক লক্ষ টাকা লেনদেন করেছে বলে জানা যায়। আর সেই টাকার ভাগ পেয়েছে যেসকল পত্রিকা তার মধ্যে অন্যতম বাংলা নিউজ, আমার সময় ইনকিলাব সহ একাধিক পত্রিকার প্রতিবেদকরা। মূল ঘটনা এসব পত্রিকার সম্পাদক মহোদয়রা জানে কিনা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
যদিও কথিত সাংবাদিক জাফর আমাদের সাংবাদিক কোন সংগঠনের সাথে জড়িত নন। তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি একজন স্পা ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন এবং বলতে গেলে তার বডিগার্ড ছিলেন। কিন্তু সেই স্পা ব্যবসায়ী গুলশান-বনানীতে একের পর এক নারী বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের নামে ব্ল্যাক-মেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং সেগুলো নিয়ে একাধিক গনমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সূত্রতার জের ধরে তিনি এসব কাজ করাচ্ছেন। আরো জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের পরিচয় দিলেও তার কোনটারই হদিস পাওয়া যায়না। বর্তমানে তিনি নাকি আবার বিজনেস বাংলাদেশ নামক একটি পত্রিকার কার্ড ঝুলিয়েছেন।
এছাড়া উক্ত পত্রিকাগুলো একাধিক ভূয়া সাংবাদিক বানিয়ে গনমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে প্রতিবেদন করায় আজ ক্ষুদ্ধ সকল মহলের গনমাধ্যম কর্মীরা। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এরা কারা সেটি মনে হয় এসব পত্রিকার প্রতিবেদকদের বিষয়টি বোধগম্য নয়। তারা যে প্রকৃত অপরাধী সেটি মনে হয় প্রতিবেদকের খোঁজ খবর নিয়ে প্রতিবেদন করা উচিত ছিল। উল্টো যে কয়েকজন সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে অনেকেই মূলধারার সাংবাদিক যাহা প্রমানিত রয়েছে।
এছাড়া এধরনের উসকানিমূলক প্রতিবেদনে আমাদের সাংবাদিক সমাজ আজ লজ্জিত। সমাজে সাংবাদিকদের ক্ষতি করার জন্য কাজটি করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তার মধ্যেও যদি মূলধারার গনমাধ্যমকর্মীরা একজন আরেকজনের প্রতি মানহানিকর স্বার্থান্বেষী মিথ্যা লেখার শিকার হয় ত