ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




এত কিছু করার পরেও একটা শ্রেণি সন্তুষ্ট হয় নি- প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

লবাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এত কিছু করার পরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতেও দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনবো না, আমরা সব করবো। আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

 

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে এসব পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেই। কারণ শিক্ষাই দারিদ্র্য মুক্তির প্রধান হাতিয়ার।

 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মুখস্থের পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য তাদের উপযুক্ত চিন্তার সুযোগ দিতে হবে। সে কী বিষয়ে নতুন কিছু করতে পারে, সেটা আমরা দেখতে চাই। সবার জন্য নতুন নতুন জ্ঞান ও গবেষণার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে বহুমুখী শিক্ষা পায়, সে ব্যবস্থা করেছি।

 

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও করে দিয়েছি। আমরা জাহাজ বানাবো, যুদ্ধ জাহাজ এবং প্লেনও বানাবো। এগুলো তো আমাদের ছেলে-মেয়েদেরই করতে হবে। এজন্য তাদের জন্য সব ধরনের শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

 

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট হবে আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী। পারবে না আমাদের ছেলে-মেয়েরা? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলে, পারবো।

 

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা যতবেশি এই ছেলে-মেয়েদের গাইড করবো, তারা ততবেশি দক্ষ হয়ে ওঠবে। তারপরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই হয়নি, কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতে দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনবো না। আমরা সব করবো।

 

তিনি আরও বলেন, শীত পড়ছে, গরম কাপড় পরতে হবে। শীতে ডেঙ্গু হয়, এটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্কুল-কলেজ-বাড়িঘর নিজের প্রতিষ্ঠান-ঘর নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে।

 

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, উভয় মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এত কিছু করার পরেও একটা শ্রেণি সন্তুষ্ট হয় নি- প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৫২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

লবাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এত কিছু করার পরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতেও দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনবো না, আমরা সব করবো। আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

 

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে এসব পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেই। কারণ শিক্ষাই দারিদ্র্য মুক্তির প্রধান হাতিয়ার।

 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মুখস্থের পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য তাদের উপযুক্ত চিন্তার সুযোগ দিতে হবে। সে কী বিষয়ে নতুন কিছু করতে পারে, সেটা আমরা দেখতে চাই। সবার জন্য নতুন নতুন জ্ঞান ও গবেষণার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে বহুমুখী শিক্ষা পায়, সে ব্যবস্থা করেছি।

 

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও করে দিয়েছি। আমরা জাহাজ বানাবো, যুদ্ধ জাহাজ এবং প্লেনও বানাবো। এগুলো তো আমাদের ছেলে-মেয়েদেরই করতে হবে। এজন্য তাদের জন্য সব ধরনের শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

 

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট হবে আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী। পারবে না আমাদের ছেলে-মেয়েরা? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলে, পারবো।

 

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা যতবেশি এই ছেলে-মেয়েদের গাইড করবো, তারা ততবেশি দক্ষ হয়ে ওঠবে। তারপরও একটা শ্রেণি বলবে কিছুই হয়নি, কিছুই করি নাই। ওই ‘কিছুই করি নাই শ্রেণি’ চোখ থাকতে দেখে না। তারা দেখবেও না। তাদের মাথায় ওই নাই নাই শব্দ ঢুকে আছে। নাই নাই শুনবো না। আমরা সব করবো।

 

তিনি আরও বলেন, শীত পড়ছে, গরম কাপড় পরতে হবে। শীতে ডেঙ্গু হয়, এটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্কুল-কলেজ-বাড়িঘর নিজের প্রতিষ্ঠান-ঘর নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে।

 

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, উভয় মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।