ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




আবারো বাংলাদেশ সীমান্তে ধেয়ে আসছে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ: নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমারের রাখাইনে। এর ফলে আশ্রয়ের আশায় আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটে আসছে রোহিঙ্গারা।

জীবন রক্ষার্থে ইতিমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা গোপনে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয় শিবির এসেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক রোহিঙ্গা আবার সীমান্তের কাছে অপেক্ষা করছেন।

নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় কয়েকদিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন হাজেরা বিবি। আশ্রয় নিয়েছেন বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা আত্মীয়ের কাছে।

হাজেরা বিবি জানান, বার্মায় নির্যাতনের কারণে আামার বাবা-মা আগে থেকেই এখানে এসেছে। আমিও বাবা-মার কাছে চলে এসেছি। বার্মার মধ্যে বেশী সংঘর্ষ হচ্ছে তাই এখানে পালিয়ে এসেছি। জেলেদের নৌকায় করে আরো ২ জন নারীর সাথে আমি এ পাড়ে এসেছি।

রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা অনেকের স্বজন এখনও মিয়ানমারে রয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের খবরে উদ্বিগ্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। নতুন করে আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চান না তারা।

এদিকে, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহতের পর তুমব্রু সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ৫টি মর্টারশেল এসে পরে বাংলাদেশের তুমব্রু সীমান্তে। জিরো পয়েণ্টের কাছে পড়া গোলা দেখতে উৎসুক রোহিঙ্গারা ভিড় করলে ২টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এক কিশোর নিহত হয়, আহত হয় আরো ৬ জন। আহতদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

এর আগে ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় ৪টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভেতরে ঘুমধুমে পড়ে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। যদিও তার কোনো সুফল এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আবারো বাংলাদেশ সীমান্তে ধেয়ে আসছে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা

আপডেট সময় : ০২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সকালের সংবাদ: নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমারের রাখাইনে। এর ফলে আশ্রয়ের আশায় আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে ছুটে আসছে রোহিঙ্গারা।

জীবন রক্ষার্থে ইতিমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা গোপনে উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয় শিবির এসেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক রোহিঙ্গা আবার সীমান্তের কাছে অপেক্ষা করছেন।

নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় কয়েকদিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন হাজেরা বিবি। আশ্রয় নিয়েছেন বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা আত্মীয়ের কাছে।

হাজেরা বিবি জানান, বার্মায় নির্যাতনের কারণে আামার বাবা-মা আগে থেকেই এখানে এসেছে। আমিও বাবা-মার কাছে চলে এসেছি। বার্মার মধ্যে বেশী সংঘর্ষ হচ্ছে তাই এখানে পালিয়ে এসেছি। জেলেদের নৌকায় করে আরো ২ জন নারীর সাথে আমি এ পাড়ে এসেছি।

রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা অনেকের স্বজন এখনও মিয়ানমারে রয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের খবরে উদ্বিগ্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। নতুন করে আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চান না তারা।

এদিকে, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহতের পর তুমব্রু সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ৫টি মর্টারশেল এসে পরে বাংলাদেশের তুমব্রু সীমান্তে। জিরো পয়েণ্টের কাছে পড়া গোলা দেখতে উৎসুক রোহিঙ্গারা ভিড় করলে ২টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এক কিশোর নিহত হয়, আহত হয় আরো ৬ জন। আহতদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

এর আগে ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় ৪টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভেতরে ঘুমধুমে পড়ে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। যদিও তার কোনো সুফল এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।