প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারি টাকায় ডিজির ব্যাংক কমিশন বাণিজ্য!
- আপডেট সময় : ১০:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২ ৩১১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের রাষ্ট্রীয় অর্থ নিয়ে হোলি খেলায় মেতেছেন ডিজি হামিদুর রহমান। এছাড়াও গতকয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মেলা বসেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের ডিজির কার্যালয়ে।
প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করা ওয়েস অনার্স কল্যাণ বোর্ডের সরকারি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে মৌখিক চুক্তির মাধ্যমে ডিপোজিট রেখে কয়েক বছর ধরে মিডিয়া কমিশন বাণিজ্য করে আসছেন প্রতিষ্ঠানের ডিজি হামিদুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের সরকারি টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এন আর বি গ্লোবাল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে কমিশনের চুক্তিতে ডিপোজিট রাখেন তিনি। সরকারি এই কল্যাণ বোর্ডের কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে রেখে কমিশনের একটি অংশ চুক্তির মাধ্যমে ডিজির পকেটে চলে যায় বলে জানা গেছে।
তার এসব কাজে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বেশ কয়েকজনের একটি অসাধু সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের মাহাবুব, কাওসার, মোকাররম, গোপালগঞ্জের আশিক ও শালা ফারুক সহ বেশ কয়েকজন।
চট্টগ্রামের মাহাবুব, কাওসার, মোকাররম সহ আরো অনেকেই ডিজি হামিদুর রহমানের কার্যালয়ের নিজস্ব পোষা দালাল হিসেবে চিহ্নিত। এরা তার বিভিন্ন কাজের ঘুষ ও কমিশনের টাকা ডিজির ক্যান্টনমেন্ট বাসার গলীতে গিয়েও পৌছে দেয়। ডিজি সরাসরি নিজের হাতে সেসব অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেন। দালাল মাহাবুব তার পছন্দ মতো যেকোন একাউন্টে টাকা আরটিডিএস করে থাকেন বলে জানা গেছে।
এসব ন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিজি হামিদুর রহমান তার দুর্নীতির সকল মিশন কার্যকর করে থাকেন বলে জানা যায়।
ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের কমিশনবাজ ডিজি হামিদুর রহমানের সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গী হিসেবে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ মামুন শিকদার সকলের কাছে ওপেন সিক্রেট। মূলত মামুনের হাত ধরেই তিনি সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের কমিশন গ্রহণ করেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।
প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারি টাকায় ব্যাংকের কমিশন সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও নিয়মের বিষয়ে ডিজি হামিদুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে মেসেজের মাধ্যমে বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয় কিন্তু তিনি কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া জানাননি।