ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




মুখোশের আড়ালে শত কোটি টাকার মালিক মাই টিভির এস কে লিটন!

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২ ৪০১ বার পড়া হয়েছে

বাবা আব্দুর রহমান ছিলেন দিন মজুর এবং ভ্যান চালক। পরিবারে সহায় সম্বল বলতে মাত্র ৫ কাঠা বাড়ীর ভিটার উপর পাঠকাঠির বেড়ার একটি ঘর ছিলো তাদের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই। এছাড়া আর কিছুই ছিলনা তার বাবার। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে লিটনের বাবা আব্দুর রহমান অভাবের তাড়নায় তুলা চাষীর তুলা চুরি করতে গিয়ে একবার ধরা খেয়েছিলেন এই নিয়ে এলাকায় সালিশ দরবার এর মাধ্যমে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছিল। মাইটিভিতে চাকরির বদৌলতে মাত্র দশ বছরেই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মাই টিভির এস কে লিটন।

লিটনের সম্পদশালী হওয়ার গল্প যেনো আলাদীনের চেরাগের গল্পকেও হার মানায়। বর্তমানে উপজেলার সবচেয়ে প্রভাবশালী ও রাজকীয় জীবনযাপন করেন তার পরিবার। লিটনের পারিবারিক অভাবের গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে তার এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে গোপনে খোঁজ খবর নিলেই সত্যিটা জানতে পারা যাবে। মাইটিভি মালিক সাথী সাহেব একজন দানশীল ও ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত। তার ভালো মানসিকতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে লিটনের মত একজন অশিক্ষিত ও ধান্ধাবাজ লিটন মাই টিভির অনুসন্ধানী অনুষ্ঠানকে হাতিয়ার বানিয়ে চাঁদাবাজীর মাধ্যমে রাতারাতি শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়াতে তার উপজেলায় সাংবাদিকের নিয়েও চরম বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে। সাথে মাইটিভির মত একটি সুনামধন্য চ্যানেলকে নিয়েও পাঠক মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।

বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড অপরাধের জন্য মাই টিভি থেকে সদ্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এস কে লিটনকে এর আগেও এসব কারণে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল কিন্তু ছলে বলে কৌশলে মাইটিভি মালিকপক্ষের সরলতার সুযোগে আবারো যোগদান করেছিলেন তিনি।

অপরাধী অপরাধী মুখোশ উম্মোচন করে থাকেন মাই টিভির অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান মুখোশ। অথচ সেই মুখোশের আড়ালেই চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে তার বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জানতে অনীহা প্রকাশ করেন। মাই টিভির মুখোশের আড়ালে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়া এই এস কে লিটনের পাহাড় সমান সম্পদের তিল তিল বর্ণনা নিয়ে থাকছে আগামী প্রতিবেদন…….. চলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মুখোশের আড়ালে শত কোটি টাকার মালিক মাই টিভির এস কে লিটন!

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

বাবা আব্দুর রহমান ছিলেন দিন মজুর এবং ভ্যান চালক। পরিবারে সহায় সম্বল বলতে মাত্র ৫ কাঠা বাড়ীর ভিটার উপর পাঠকাঠির বেড়ার একটি ঘর ছিলো তাদের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই। এছাড়া আর কিছুই ছিলনা তার বাবার। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে লিটনের বাবা আব্দুর রহমান অভাবের তাড়নায় তুলা চাষীর তুলা চুরি করতে গিয়ে একবার ধরা খেয়েছিলেন এই নিয়ে এলাকায় সালিশ দরবার এর মাধ্যমে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছিল। মাইটিভিতে চাকরির বদৌলতে মাত্র দশ বছরেই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মাই টিভির এস কে লিটন।

লিটনের সম্পদশালী হওয়ার গল্প যেনো আলাদীনের চেরাগের গল্পকেও হার মানায়। বর্তমানে উপজেলার সবচেয়ে প্রভাবশালী ও রাজকীয় জীবনযাপন করেন তার পরিবার। লিটনের পারিবারিক অভাবের গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে তার এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে গোপনে খোঁজ খবর নিলেই সত্যিটা জানতে পারা যাবে। মাইটিভি মালিক সাথী সাহেব একজন দানশীল ও ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত। তার ভালো মানসিকতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে লিটনের মত একজন অশিক্ষিত ও ধান্ধাবাজ লিটন মাই টিভির অনুসন্ধানী অনুষ্ঠানকে হাতিয়ার বানিয়ে চাঁদাবাজীর মাধ্যমে রাতারাতি শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়াতে তার উপজেলায় সাংবাদিকের নিয়েও চরম বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে। সাথে মাইটিভির মত একটি সুনামধন্য চ্যানেলকে নিয়েও পাঠক মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।

বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড অপরাধের জন্য মাই টিভি থেকে সদ্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এস কে লিটনকে এর আগেও এসব কারণে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল কিন্তু ছলে বলে কৌশলে মাইটিভি মালিকপক্ষের সরলতার সুযোগে আবারো যোগদান করেছিলেন তিনি।

অপরাধী অপরাধী মুখোশ উম্মোচন করে থাকেন মাই টিভির অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান মুখোশ। অথচ সেই মুখোশের আড়ালেই চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে তার বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জানতে অনীহা প্রকাশ করেন। মাই টিভির মুখোশের আড়ালে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়া এই এস কে লিটনের পাহাড় সমান সম্পদের তিল তিল বর্ণনা নিয়ে থাকছে আগামী প্রতিবেদন…….. চলবে।