ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




দেশের সকল জনপ্রতিনিধিদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক করাব দাবি জানালো “বারকস”

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হলেও সব থেকে স্বাস্থ্য খাত অবহেলিত। বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় আসলেও স্বাস্থ্য খাতকে যথাযথ গুরুত্ব না দিয়ে ভঙ্গুর একটি ব্যবস্থাপনা দাঁড় করিয়েছে। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে তা প্রতীয়মান হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় সাধারণ রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজ ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে “করোনায় স্বাস্থ্য খাত : রোগীর সেবা প্রাপ্তি”শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার মোঃ মাহতাব হোসাইন মাজেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ধর্ম মন্ত্রী ও বিএলডিপির চেয়ারম্যান মোঃ নাজিমউদ্দিন আল আজাদ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান, বাপ্পি সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ যুব শক্তির প্রতিষ্ঠাতা হানিফ বাংলাদেশী, বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাংলা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার শাহরিয়ার রাজ।

 

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কোন চিকিৎসায় মানুষকে সুফল বয়ে আনে না যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের প্রতি মানুষের সিমপ্যাথি কাজ না করে। একজন ডাক্তার যখন রোগীর সাথে ভালো আচরণ করেন তখন ৫০ ভাগ রোগ চলে যায়। আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

 

প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে ডাক্তার ও রোগী উভয়ই উপকৃত হবে। টেকসই উন্নয়নে চিকিৎসা খাতে গবেষণার জোরদার, চিকিৎসার জন্য পরিবহন ব্যবস্থা, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ সহ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফার্মেসি স্থাপনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যথাযথ অনুমোদন প্রয়োজন। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আরো তৎপরতা বাড়াতে হবে।

 

বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য চিকিৎসা পেশার সাথে সম্পৃক্ত সর্বস্তরের ডাক্তারকে গঠনের সাথে সম্পৃক্ত করা। যাতে করে রোগী ও ডাক্তার উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। আগামীতে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির নিজস্ব ভবন নির্মাণ করে চিকিৎসা খাতে উৎকর্ষতা সাধন করা হবে।

 

বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটি চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন:

 

১/ স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো এবং সেবার মান বাড়াতে হবে।

২/ দেশের সকল জনপ্রতিনিধিকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৩/ সব ধরনের ওষুধের গায়ে দাম নির্ধারণ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৪/ রোগীর হয়রানি বন্ধে কঠোর আইন বাস্তবায়ন, রোগীর সেবা প্রাপ্তির অধিকার সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচারণা বৃদ্ধি এবং সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৫/ কোন রোগী ভুল চিকিৎসায় মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অথবা দায়িত্বরত ডাক্তারকে তার দায়ভার বহন করার বিধান চালু করতে হবে।

৬/ এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কর্তব্যরত ডাক্তারকে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং পেশার উৎকর্ষতা সাধনে স্বাস্থ্য খাতে আলাদা মনিটরিং সেল গঠনের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দেশের সকল জনপ্রতিনিধিদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক করাব দাবি জানালো “বারকস”

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হলেও সব থেকে স্বাস্থ্য খাত অবহেলিত। বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় আসলেও স্বাস্থ্য খাতকে যথাযথ গুরুত্ব না দিয়ে ভঙ্গুর একটি ব্যবস্থাপনা দাঁড় করিয়েছে। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে তা প্রতীয়মান হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় সাধারণ রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজ ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে “করোনায় স্বাস্থ্য খাত : রোগীর সেবা প্রাপ্তি”শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার মোঃ মাহতাব হোসাইন মাজেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ধর্ম মন্ত্রী ও বিএলডিপির চেয়ারম্যান মোঃ নাজিমউদ্দিন আল আজাদ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান, বাপ্পি সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ যুব শক্তির প্রতিষ্ঠাতা হানিফ বাংলাদেশী, বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাংলা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার শাহরিয়ার রাজ।

 

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কোন চিকিৎসায় মানুষকে সুফল বয়ে আনে না যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের প্রতি মানুষের সিমপ্যাথি কাজ না করে। একজন ডাক্তার যখন রোগীর সাথে ভালো আচরণ করেন তখন ৫০ ভাগ রোগ চলে যায়। আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

 

প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে ডাক্তার ও রোগী উভয়ই উপকৃত হবে। টেকসই উন্নয়নে চিকিৎসা খাতে গবেষণার জোরদার, চিকিৎসার জন্য পরিবহন ব্যবস্থা, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ সহ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফার্মেসি স্থাপনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যথাযথ অনুমোদন প্রয়োজন। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আরো তৎপরতা বাড়াতে হবে।

 

বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য চিকিৎসা পেশার সাথে সম্পৃক্ত সর্বস্তরের ডাক্তারকে গঠনের সাথে সম্পৃক্ত করা। যাতে করে রোগী ও ডাক্তার উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। আগামীতে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির নিজস্ব ভবন নির্মাণ করে চিকিৎসা খাতে উৎকর্ষতা সাধন করা হবে।

 

বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটি চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন:

 

১/ স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো এবং সেবার মান বাড়াতে হবে।

২/ দেশের সকল জনপ্রতিনিধিকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৩/ সব ধরনের ওষুধের গায়ে দাম নির্ধারণ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৪/ রোগীর হয়রানি বন্ধে কঠোর আইন বাস্তবায়ন, রোগীর সেবা প্রাপ্তির অধিকার সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচারণা বৃদ্ধি এবং সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৫/ কোন রোগী ভুল চিকিৎসায় মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অথবা দায়িত্বরত ডাক্তারকে তার দায়ভার বহন করার বিধান চালু করতে হবে।

৬/ এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কর্তব্যরত ডাক্তারকে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং পেশার উৎকর্ষতা সাধনে স্বাস্থ্য খাতে আলাদা মনিটরিং সেল গঠনের মাধ্যমে রোগীর সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।