সেতুমন্ত্রীর স্ত্রী আমাকে হত্যার জন্য ১ কোটি টাকা দিয়েছে: কাদের মির্জা
- আপডেট সময় : ০১:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক: আমাকে হত্যার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী অ্যাডভোকেট ইসরাতুন্নেছা কাদের সন্ত্রাসীদের কাছে ১ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন- কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি আজ দুপুর ১২টায় ফেসবুক লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন।
সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী অপরাজনীতির হোতাদের নিয়ে সমস্ত ঘটনা তার নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। আজ মন্ত্রী তার স্ত্রীর চাপে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। সেতুমন্ত্রীর স্ত্রী এক কোটি টাকা পাঠিয়েছেন সন্ত্রাসীদের জন্য। আমাকে হত্যা ও আমার রাজনীতি ধ্বংস করার জন্য নোয়াখালী, ফেনী ও এখানকার অপরাজনীতির সহযোগিদের জন্য এসব টাকা খরচ করা হচ্ছে।’
তিন বলেন, ‘সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় আমাদের মন্ত্রী (ওবায়দুল কাদের) নিয়ন্ত্রণ করছে না। তার স্ত্রী মন্ত্রণালয়, প্রশাসন ও অপরাজনীতির হোতাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি (ওবায়দুল কাদের) কেন নীরব রয়েছেন, তা আমি জানি না। তার স্ত্রী এখন মহাক্ষমতাধর নারী। খবর নেন, মন্ত্রীর মন্ত্রণালয় কে চালায় এখন? তিনিই আজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আমি এবং আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন। আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন এবং কোম্পানীগঞ্জে তাণ্ডব চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথা বলার সুযোগ হয়তো আর থাকবে না। আমাকে হয়তো কারাগারে নিক্ষেপ করবে, আমার জীবন অবসান ঘটাবে, কিন্তু আমার সাথে আল্লাহ আছেন। এখানকার ৯০ ভাগ মানুষ আমার পক্ষে। আমি কোনো কিছুকে ভয় করি না।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ভালো মানুষ। আমি তাকে জানিয়েছি, এখানে এসপির নির্দেশে, ওসি, ওসি (তদন্ত), ডিবি’র ওসির নির্দেশে সন্ত্রাসীদের একটা চক্র আমার কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি করছে। আমার মামলাগুলোয় এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। অথচ আমার ২০ জন নেতাকর্মীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে নারীদেরও হয়রানি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এখানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা করে যাচ্ছে তারা।’ এসব ঘটনার সঙ্গে নোয়াখালীর এসপি, ডিবির ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এবং ওসি (তদন্ত) কর্মকর্তা জড়িত। এ চারজনকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।