ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




ভ্যাট গোয়েন্দার নজরদারিতে ১৬ অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

ভ্যাট গোয়েন্দার দল রাজধানীর গুলশানের আবাসিক ফ্ল্যাটে অবস্থিত বিদেশি পণ্যের অনলাইন ব্যবসা ‘আরাজ’ এ অভিযান চালিয়েছে। এতে ভ্যাট আইন পরিপালন না করে ব্যবসা পরিচালনা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ জাতীয় আরো অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ব্যবসা করছে যারা ভ্যাটের আওতায় নেই। এখন পর্যন্ত এ রকম ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দারা। সোমবার নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গোপন অনুসন্ধানে দেখা গেছে আরাজ’র মতো অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ব্যবসা করছে যারা ভ্যাটের আওতায় নেই। এখন পর্যন্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। ভ্যাট আইন অনুসারে এসব প্রতিষ্ঠানর বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দা কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

আরাজর ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা দেখতে পান যে, ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত আরাজ অনলাইনে বিদেশি পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। স্থানীয় গুলশান ভ্যাট সার্কেলে এই অনলাইন ব্যবসার ভ্যাট জমার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার দল ২৭ ডিসেম্বর অভিযানটি করে। সংস্থার উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার এতে নেতৃত্ব দেন।

অভিযোগকারী ব্যক্তিরা, ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে কতিপয় ব্যবসায়ী অনলাইনে পণ্য বিক্রি করায় শোরুমের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ব্যবসার প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

অভিযানে ওই আবাসিক ঠিকানায় গোয়েন্দারা তাদের ভ্যাট নিবন্ধন দেখতে পায়নি। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট সার্কেলে যাচাই করে দেখা যায়, ওই সার্কেলে বিগত মাসগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক কোনো রিটার্ন জমা হয়নি।

প্রতিষ্ঠানটি বিগত ৩ বছর ধরে অনলাইনে অলংকার, মহিলাদের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই অনলাইন ব্যবসার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। অভিজাত এলাকার বাসায় তারা দীর্ঘদিন ধরে দামি ও এক্সক্লুসিভ বিদেশি পণ্য বিক্রি করছে।

অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, আরাজর অধিকাংশ পণ্যই পাকিস্তানের তৈরি। ব্যাগেজ ও পার্সেলে এসব পণ্য এনে বাসায় বসে তারা অনলাইনে বিক্রি করছে।

তবে ভ্যাট আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন না নিয়ে এবং কোনো মাসিক রিটার্ন জমা না দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিদেশ থেকে আনীত এসব পণ্যের তারা যথাযথ শুল্ককর দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে ভ্যাট গোয়েন্দার দল।

অভিযানকালে গোয়েন্দারা আরাজর প্রাঙ্গণ থেকে স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রির দলিলাদি জব্দ করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির লেনদেন সম্পন্ন করছে।

ইতোমধ্যে ভ্যাট গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট ওই ২টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এই হিসাব আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভ্যাট গোয়েন্দার নজরদারিতে ১৬ অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় : ১১:৫৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক;

ভ্যাট গোয়েন্দার দল রাজধানীর গুলশানের আবাসিক ফ্ল্যাটে অবস্থিত বিদেশি পণ্যের অনলাইন ব্যবসা ‘আরাজ’ এ অভিযান চালিয়েছে। এতে ভ্যাট আইন পরিপালন না করে ব্যবসা পরিচালনা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ জাতীয় আরো অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ব্যবসা করছে যারা ভ্যাটের আওতায় নেই। এখন পর্যন্ত এ রকম ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দারা। সোমবার নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গোপন অনুসন্ধানে দেখা গেছে আরাজ’র মতো অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ব্যবসা করছে যারা ভ্যাটের আওতায় নেই। এখন পর্যন্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। ভ্যাট আইন অনুসারে এসব প্রতিষ্ঠানর বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দা কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

আরাজর ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা দেখতে পান যে, ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত আরাজ অনলাইনে বিদেশি পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। স্থানীয় গুলশান ভ্যাট সার্কেলে এই অনলাইন ব্যবসার ভ্যাট জমার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার দল ২৭ ডিসেম্বর অভিযানটি করে। সংস্থার উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার এতে নেতৃত্ব দেন।

অভিযোগকারী ব্যক্তিরা, ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে কতিপয় ব্যবসায়ী অনলাইনে পণ্য বিক্রি করায় শোরুমের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ব্যবসার প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

অভিযানে ওই আবাসিক ঠিকানায় গোয়েন্দারা তাদের ভ্যাট নিবন্ধন দেখতে পায়নি। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট সার্কেলে যাচাই করে দেখা যায়, ওই সার্কেলে বিগত মাসগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক কোনো রিটার্ন জমা হয়নি।

প্রতিষ্ঠানটি বিগত ৩ বছর ধরে অনলাইনে অলংকার, মহিলাদের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই অনলাইন ব্যবসার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। অভিজাত এলাকার বাসায় তারা দীর্ঘদিন ধরে দামি ও এক্সক্লুসিভ বিদেশি পণ্য বিক্রি করছে।

অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, আরাজর অধিকাংশ পণ্যই পাকিস্তানের তৈরি। ব্যাগেজ ও পার্সেলে এসব পণ্য এনে বাসায় বসে তারা অনলাইনে বিক্রি করছে।

তবে ভ্যাট আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন না নিয়ে এবং কোনো মাসিক রিটার্ন জমা না দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিদেশ থেকে আনীত এসব পণ্যের তারা যথাযথ শুল্ককর দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে ভ্যাট গোয়েন্দার দল।

অভিযানকালে গোয়েন্দারা আরাজর প্রাঙ্গণ থেকে স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রির দলিলাদি জব্দ করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির লেনদেন সম্পন্ন করছে।

ইতোমধ্যে ভ্যাট গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট ওই ২টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এই হিসাব আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।