মহিলা কাউন্সিলের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী নাশকতা ও ইন্ধনের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০১:০২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত-৫ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলেও সরকার বিরোধী নাশকতায় ইন্ধনের অভিযোগ
উঠেছে।
ক্যাসিনো কাণ্ডে মূল হোতা মোহাম্মদ আলী ও জিএম আতিকের সঙ্গে মিলে গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, বঙ্গ বাজার এলাকায় মার্কেটের দোকান দখল, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়,চাঁদাবাজি, দখলবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কাউন্সিলর চামেলীর স্বামী মোঃ আবুল হোসেন টাবু ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, ভাই রফিকুল ইসলাম স্বপন ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দেবর মোঃ ইউসুফ আনন্দ বাজার ইউনিট বিএনপির আলোচিত নেতা এবং তার বোন ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপির নেত্রী। পরিবারের সদস্যদের রক্ষায় তিনি কয়েকবার সরাসরি প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করেছেন।
সম্প্রতি রাজধানীতে আলোচিত বিষয় শান্ত রাজনীতিতে অশান্তির বার্তা দিয়ে একই সময় রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বাসে অগ্নি সংযোগ করেন। প্রেসক্লাবের সামনে সেই দিন রোকসানা ইসলাম চামেলীর স্বামী ও ভাইয়ের পরিকল্পনায় বাসে অগ্নি সংযোগ করা হয়। এরপরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর হয় তাদের খোঁজে। র্যাব-৩ এর একটি টিম গত ১৩ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে আনন্দ বাজার ও সেগুনবাগিচার দুটি বাসাতেই অভিযান চালানো হয়। তবে সেই সময় তাদের কাউকেই বাসায় পায়নি র্যাব।
এদিকে তথ্য রয়েছে,২০০১ সালের নির্বাচনে চামেলী ছিলেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট। চামেলীর মা শাহবাগ থানা বিএনপির নেত্রী ও ভাই রফিকুল ইসলাম স্বপন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০নং ওয়ার্ডের বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু গণমাধ্যমে এসেছে, চামেলীর জীবন বিলাসের রহস্যময় অজানা তথ্য। তার জীবন যাপনে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। এদিকে, হকারদের পুঁজি করে চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে কিশোর গ্যাং তৈরি করেছিলেন তিনি। মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তার ব্যাপক ভূমিকা।
২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতীয় দৈনিক অন্যদিগন্ত পত্রিকায় এক আতিকের সর্বনাশ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম আতিকের নানা
কুকীর্তিসহ,চাঁদাবাজি,দখলবাজি,ছায়াসঙ্গী
ক্যাসিনো কাণ্ডে মূল হোতাদের ঘনিষ্ঠতা এবং টাকা নিয়ে পেশাদার অপরাধীর কাছে পদ-পদবী বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
চামেলি ও জিএম আতিক, মোহাম্মদ আলীর বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেই গত (২২ অক্টোবর ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার সময় দৈনিক অন্যদিগন্ত পত্রিকার সম্পাদকের মুঠোফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ হামলা, মামলা হুমকি দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ৫নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর সৈয়দ রোকসানা ইসলাম চামেলি।
হুমকির বিষয়ে জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও সাংবাদিক সমাজের আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে রাজধানীর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন
অন্যদিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ।
এ বিষয়ে ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন জানান,চামেলী আনন্দবাজার মার্কেট,বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট, রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার জন্য এবং তার পরিবারের বিএনপি-জামাতের সদস্যদের রক্ষা করার জন্য তার আওয়ামী লীগ কারা।
তার এসব কার্যকলাপে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় তিনি নৈতিকতার আদর্শের জন্য রাজনীতি করেন না।
স্বামী, ভাই, দেবর প্রায় সবাই বিএনপি রাজনীতির সাথে যুক্ত। প্রেসক্লাবের সামনে সম্প্রতি বাসে অগ্নি সংযোগ করা হয়,এ ঘটনার সাথে তার ভাই ও স্বামীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আমি মনে করি।
কাউন্সিলর রতন আরও বলেন,সংরক্ষিত কাউন্সিলর হয়ে তিনি নাগরিকদের সেবায় দায়িত্ব পালন না করে,পরিবার মানে বিএনপির নেতাদের রক্ষায় ব্যস্ত হকারদের থেকে নিয়মিত চাঁদা পাওয়ার কারনে সিটি করপোরেশনের সভায় হকারদের ফুটপাত থেকে সড়ানোর বিষয়টি আলোচনার জন্য আসলে চামেলী এটার বিরোধিতাও করেন।