ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ 

দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল ভারত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

পরপর কয়েকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভারতে দানা বাঁধছে বিক্ষোভ। সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিজেপি সরকার। প্রশ্ন উঠেছে ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

গত মাসের মাঝামঝিতে উত্তর প্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের এক দলিত নারীকে দলবেধে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশি উচ্চ বর্ণের চার ব্যক্তি এতে জড়িত। অথচ ময়নাতদন্তের বরাতে পুলিশ জানায়, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হননি। শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে তার।

সম্প্রতি একই প্রদেশের বলরামপুর ও বুলন্দশহরে আরো দুই নিম্নবর্ণের নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পরই ফুঁসে ওঠে গোটা ভারত। বিক্ষোভ দেখা দেয় দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে। অভিযোগ আছে, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে তাড়াহুড়ো করে ধর্ষিতার দেহ সৎকার করা হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভকারী জানান, ‘ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাতারাতি সৎকার করে ফেলা হলো। পুলিশ বললো সে নাকি ধর্ষিতই হয়নি। অপরাধীদের বাঁচাতেই এরকম করা হলো। আর এতে সরাসরি সহায়তা করেছে প্রশাসন।

বিক্ষোভকারীরা আরো বলছেন সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। এক নারী বিক্ষোভকারী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন, মা বোনদের রক্ষা করতে হবে। এই হলো মা বোনদের নিরাপত্তার নমুনা। এই সরকার নারীর নিরাপত্তার পুরোপুরি ব্যর্থ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।’

সম্প্রতি দেশটির দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো এক সমীক্ষা প্রকাশ করে, যাতে বলা হয়, ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে অন্তত একজন মেয়ে ধর্ষিতা হয়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে সরকারি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালেই উত্তর প্রদেশে প্রায় ৬০ হাজার যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে সাড়ে তিন হাজারই ধর্ষণের শিকার। যদিও এসব সংখ্যাকে প্রকৃত অর্থে কয়েক গুণ বলছে বেসরকারি হিসেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল ভারত

আপডেট সময় : ১০:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০

পরপর কয়েকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভারতে দানা বাঁধছে বিক্ষোভ। সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিজেপি সরকার। প্রশ্ন উঠেছে ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

গত মাসের মাঝামঝিতে উত্তর প্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের এক দলিত নারীকে দলবেধে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশি উচ্চ বর্ণের চার ব্যক্তি এতে জড়িত। অথচ ময়নাতদন্তের বরাতে পুলিশ জানায়, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হননি। শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে তার।

সম্প্রতি একই প্রদেশের বলরামপুর ও বুলন্দশহরে আরো দুই নিম্নবর্ণের নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পরই ফুঁসে ওঠে গোটা ভারত। বিক্ষোভ দেখা দেয় দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে। অভিযোগ আছে, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে তাড়াহুড়ো করে ধর্ষিতার দেহ সৎকার করা হয়েছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভকারী জানান, ‘ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাতারাতি সৎকার করে ফেলা হলো। পুলিশ বললো সে নাকি ধর্ষিতই হয়নি। অপরাধীদের বাঁচাতেই এরকম করা হলো। আর এতে সরাসরি সহায়তা করেছে প্রশাসন।

বিক্ষোভকারীরা আরো বলছেন সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। এক নারী বিক্ষোভকারী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন, মা বোনদের রক্ষা করতে হবে। এই হলো মা বোনদের নিরাপত্তার নমুনা। এই সরকার নারীর নিরাপত্তার পুরোপুরি ব্যর্থ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।’

সম্প্রতি দেশটির দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো এক সমীক্ষা প্রকাশ করে, যাতে বলা হয়, ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে অন্তত একজন মেয়ে ধর্ষিতা হয়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে সরকারি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালেই উত্তর প্রদেশে প্রায় ৬০ হাজার যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে সাড়ে তিন হাজারই ধর্ষণের শিকার। যদিও এসব সংখ্যাকে প্রকৃত অর্থে কয়েক গুণ বলছে বেসরকারি হিসেব।