ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে মানহীন বক্স (বাটি) খাবারের রমরমা ব্যবসা: নেপথ্যে কারা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

 

 

ক্রাইম ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি স্পর্শকাতর ও সংরক্ষিত এলাকা। যেখানে দেশী-বিদেশী যাত্রী ও পর্যটকেরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। বাংলাদেশ সরকারের শক্তিশালী প্রশাসনিক সহযোগিতায় সেখানে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এমন একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশকে উপেক্ষা করে অবৈধ দোকানপাট ও ভাতের বাটির রমরমা ব্যবসা বিমানবন্দরের পরিবেশকে করছে অপরিচ্ছন্ন আর ঝুঁকিপূর্ণ। যা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম করছে বিনষ্ট।

বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)। সকল যাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিয়মিত সার্চ করে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে ভেতরে। এপিবিএন এর সার্চের আওতায় বিমানের সকল স্টাফ ও সাধারন মানুষ। কিন্তু কি এক অদৃশ্য শক্তি!! সবার অলক্ষ্যে ভেতরে প্রবেশ করছে ভাতের বাটি বা বক্সসহ পায়ে চালিত ভ্যান, কভার্ড ভ্যান কিংবা মোটরসাইকেল। এই দূর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে এসব মানহীন খাবার কিভাবে এয়ারপোর্টের ভেতরে ঢুকছে- তা শুধু জাগ্রত বিবেক কে ভাবায় না বরং সারা বাংলাদেশকেই ভাবিয়ে তোলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন খাবার ব্যবসায়ী জানান- আমি ভ্যানে করে খাবার বাটি মেইনরোড পর্যন্ত নিয়ে আসি। পরে ভেতর থেকে মাইক্রোবাস এসে খাবার নিয়ে যায়। আমি প্রতিদিন ১৫০/২০০ খাবার বক্স ভেতরে দেই।

বিদেশের মাটিতে যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্হান সমৃদ্ধশালী করছে তাদের পাঠানো বিভিন্ন সামগ্রী এয়ারপোর্ট হতে বের করতে কাজ করছে সি এন্ড এফ। সি এন্ড এফ এর কাজের গতি বাড়ানো ও আরো ডিজিটাল করতে সরকার নির্মাণ করেছে নতুন বহুতল ভবন। কিন্তু সেখানে ও তার আশেপাশে দেখা যায়, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ। বাটিতে বিক্রিত খাবার খেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের খাবার বক্স বা বাটি। এ বিষয়ে বলার কেউ নেই। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে আমরা এতটাই উদাসীন- এটা তারই নামান্তর।

কাস্টমস্ হাউজের মূল গেটে রয়েছে আনসার বাহিনীর চেকপোস্ট। আনসারের লোকজন এখানে কার্ড প্রদর্শন পূর্বক কাস্টমস্ হাউজে ঢুকতে দিচ্ছে সবাইকে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়- এই কাস্টমস্ হাউজের ভেতরেই চলছে ভাতের বাটি ও দোকানের রমরমা ব্যবসা। যেখানে কাস্টমস্ সংশ্লিষ্ট লোক ছাড়া অন্যকেউ ঢোকার অনুমতি নেই। সেখানে শতশত ভাতের বাটিসহ ব্যবসায়ীরা কিভাবে ঢুকছে? তাহলে কি এই অবৈধ ব্যবসার সাথে আনসার বাহিনী জড়িত?

কাস্টমস্ হাউজের ভেতরে ছোট ছোট প্লাস্টিকের টুল কিংবা ইটের দেয়ালের উপর বসে খোলা আকাশের নীচে খোলা খাবার খাচ্ছে মানুষজন। বিষয়টি বিচিত্র বটে!! প্লাস্টিকের বড় বোতলে

ডাল, ভাতের বাটিতে তরকারি ও প্লাস্টিকের ড্রামে সরবরাহ করা হচ্ছে পানি। লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা ইটের দেয়ালের উপর বসে খোলা খাবার খাচ্ছে মানুষজন। এটা কতটুকু স্বাস্থ্যকর আর এসব খাবার ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে কে? এই অবৈধ খাবারের ব্যবসায় লাভবান হচ্ছে কে? সেটাই বিবেচ্য বিষয়!!

অনুসন্ধানে জানা যায়- একশ্রেণির অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তার যোগসাজশে চলছে এসব অবৈধ দোকান ও খাবারের ব্যবসা। প্রবেশপথ থেকে শুরু করে ভেতরের ব্যবসা করা পর্যন্ত যাদের হাতে দায়িত্ব তারা সহযোগিতা না করলে কখোনোই এটা সম্ভব নয়। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ভেতরে প্রবেশ করতে না দিলে তারা ঢুকতে পারবে না। কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ ভেতরে দোকান বসতে না দিলে ব্যবসা হবে না। তাহলে কার অবহেলা আর সহযোগিতায় এসব অবৈধ খাবারের দোকান চলছে তা সহজেই অনুমান করা যায়! এসব স্পর্শকাতর জায়গায় এতো দোকানের হাট কতটুকু বৈধ- তা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।

এয়ারপোর্টের ভেতরে থাকা সরকার অনুমোদিত “এয়ারপোর্টে হোটেল” এ সরেজমিনে দেখা যায়, এই হোটেলের পরিবেশ, খাবার মান অনেক উন্নত ও দাম সীমিত। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিপাটি অবস্থায় পরিবেশন হচ্ছে খাবার। হোটেলের ম্যানেজার জনাব হেলাল চৌধুরী এই প্রতিবেদককে জানান- “আমার খাবারের মানে বিশ্বাসী। নিয়মিত টাটকা ও সুস্বাদু খাবার পরিবেশনই আমাদের মূল উদ্দেশ্যে”। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন- এয়ারপোর্টের সকল স্টাফ, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ প্যাকেজ। মাত্র ১০০টাকায় আমরা পরিবেশন করছি মাছ, মাংস, ডাল, ভর্তা ও ভাত। যাতে আমাদের লাভ নয় বরং আমরা ভূর্তকি দিচ্ছি।

ভাল খাবার পরিবেশন করার পরও কেন অবৈধ খোলা খাবার বিক্রি হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান- এক শ্রেনির অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তা সামান্য সুবিধা ভোগের লোভে এসব করছে। তিনি বলেন- এত নিরাপত্তা ভেদ করে কিভাবে এসব বাটি খাবার ঢুকছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে আমরা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অবিহিত করলেও বিশেষ কোন ফলাফল লাভ হয়নি। বিমান কর্তৃপক্ষ আমর্ড পুলিশ সহ আনসার বাহিনীকে নোটিশ প্রদান করলেও বন্ধ হয়নি এসব খাবারের দোকান ও বাটি খাবারের ব্যবসা। তিনি আরো বলেন- এরা এয়ারপোর্টের পরিবেশ নষ্ট করছে।

আর এসব খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে এর দায়ভার নিবে কে? ম্যানেজার জনাব হেলাল চৌধুরী বাংলাদেশ বিমান, সিভিল এভিয়েশন ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সু দৃষ্টি কামনা করেন।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশ আমাদের সকলের। দেশ-বিদেশের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুনাম ও মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

সামান্য লোভে না পড়ে বিমানবন্দরের নষ্ট না করে একটি সুন্দর আগামীর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলের কাজ করা উচিত বলে মনে করেন বিজ্ঞ মহল।

 

তারা এয়ারপোর্টের পরিবেশ সুন্দর রাখতে সুষ্ঠু শৃঙ্খলিত ব্যবস্হাপণার জোর দাবী জানান। এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ, বিমান মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি দেয়া ও যাবতীয় সুব্যবস্হা গ্রহণ এখন সময়ের দাবী।।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে মানহীন বক্স (বাটি) খাবারের রমরমা ব্যবসা: নেপথ্যে কারা!

আপডেট সময় : ১২:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

 

 

ক্রাইম ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি স্পর্শকাতর ও সংরক্ষিত এলাকা। যেখানে দেশী-বিদেশী যাত্রী ও পর্যটকেরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। বাংলাদেশ সরকারের শক্তিশালী প্রশাসনিক সহযোগিতায় সেখানে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এমন একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশকে উপেক্ষা করে অবৈধ দোকানপাট ও ভাতের বাটির রমরমা ব্যবসা বিমানবন্দরের পরিবেশকে করছে অপরিচ্ছন্ন আর ঝুঁকিপূর্ণ। যা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম করছে বিনষ্ট।

বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)। সকল যাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিয়মিত সার্চ করে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে ভেতরে। এপিবিএন এর সার্চের আওতায় বিমানের সকল স্টাফ ও সাধারন মানুষ। কিন্তু কি এক অদৃশ্য শক্তি!! সবার অলক্ষ্যে ভেতরে প্রবেশ করছে ভাতের বাটি বা বক্সসহ পায়ে চালিত ভ্যান, কভার্ড ভ্যান কিংবা মোটরসাইকেল। এই দূর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে এসব মানহীন খাবার কিভাবে এয়ারপোর্টের ভেতরে ঢুকছে- তা শুধু জাগ্রত বিবেক কে ভাবায় না বরং সারা বাংলাদেশকেই ভাবিয়ে তোলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন খাবার ব্যবসায়ী জানান- আমি ভ্যানে করে খাবার বাটি মেইনরোড পর্যন্ত নিয়ে আসি। পরে ভেতর থেকে মাইক্রোবাস এসে খাবার নিয়ে যায়। আমি প্রতিদিন ১৫০/২০০ খাবার বক্স ভেতরে দেই।

বিদেশের মাটিতে যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্হান সমৃদ্ধশালী করছে তাদের পাঠানো বিভিন্ন সামগ্রী এয়ারপোর্ট হতে বের করতে কাজ করছে সি এন্ড এফ। সি এন্ড এফ এর কাজের গতি বাড়ানো ও আরো ডিজিটাল করতে সরকার নির্মাণ করেছে নতুন বহুতল ভবন। কিন্তু সেখানে ও তার আশেপাশে দেখা যায়, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ। বাটিতে বিক্রিত খাবার খেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের খাবার বক্স বা বাটি। এ বিষয়ে বলার কেউ নেই। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে আমরা এতটাই উদাসীন- এটা তারই নামান্তর।

কাস্টমস্ হাউজের মূল গেটে রয়েছে আনসার বাহিনীর চেকপোস্ট। আনসারের লোকজন এখানে কার্ড প্রদর্শন পূর্বক কাস্টমস্ হাউজে ঢুকতে দিচ্ছে সবাইকে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়- এই কাস্টমস্ হাউজের ভেতরেই চলছে ভাতের বাটি ও দোকানের রমরমা ব্যবসা। যেখানে কাস্টমস্ সংশ্লিষ্ট লোক ছাড়া অন্যকেউ ঢোকার অনুমতি নেই। সেখানে শতশত ভাতের বাটিসহ ব্যবসায়ীরা কিভাবে ঢুকছে? তাহলে কি এই অবৈধ ব্যবসার সাথে আনসার বাহিনী জড়িত?

কাস্টমস্ হাউজের ভেতরে ছোট ছোট প্লাস্টিকের টুল কিংবা ইটের দেয়ালের উপর বসে খোলা আকাশের নীচে খোলা খাবার খাচ্ছে মানুষজন। বিষয়টি বিচিত্র বটে!! প্লাস্টিকের বড় বোতলে

ডাল, ভাতের বাটিতে তরকারি ও প্লাস্টিকের ড্রামে সরবরাহ করা হচ্ছে পানি। লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা ইটের দেয়ালের উপর বসে খোলা খাবার খাচ্ছে মানুষজন। এটা কতটুকু স্বাস্থ্যকর আর এসব খাবার ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে কে? এই অবৈধ খাবারের ব্যবসায় লাভবান হচ্ছে কে? সেটাই বিবেচ্য বিষয়!!

অনুসন্ধানে জানা যায়- একশ্রেণির অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তার যোগসাজশে চলছে এসব অবৈধ দোকান ও খাবারের ব্যবসা। প্রবেশপথ থেকে শুরু করে ভেতরের ব্যবসা করা পর্যন্ত যাদের হাতে দায়িত্ব তারা সহযোগিতা না করলে কখোনোই এটা সম্ভব নয়। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ভেতরে প্রবেশ করতে না দিলে তারা ঢুকতে পারবে না। কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ ভেতরে দোকান বসতে না দিলে ব্যবসা হবে না। তাহলে কার অবহেলা আর সহযোগিতায় এসব অবৈধ খাবারের দোকান চলছে তা সহজেই অনুমান করা যায়! এসব স্পর্শকাতর জায়গায় এতো দোকানের হাট কতটুকু বৈধ- তা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।

এয়ারপোর্টের ভেতরে থাকা সরকার অনুমোদিত “এয়ারপোর্টে হোটেল” এ সরেজমিনে দেখা যায়, এই হোটেলের পরিবেশ, খাবার মান অনেক উন্নত ও দাম সীমিত। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিপাটি অবস্থায় পরিবেশন হচ্ছে খাবার। হোটেলের ম্যানেজার জনাব হেলাল চৌধুরী এই প্রতিবেদককে জানান- “আমার খাবারের মানে বিশ্বাসী। নিয়মিত টাটকা ও সুস্বাদু খাবার পরিবেশনই আমাদের মূল উদ্দেশ্যে”। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন- এয়ারপোর্টের সকল স্টাফ, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ প্যাকেজ। মাত্র ১০০টাকায় আমরা পরিবেশন করছি মাছ, মাংস, ডাল, ভর্তা ও ভাত। যাতে আমাদের লাভ নয় বরং আমরা ভূর্তকি দিচ্ছি।

ভাল খাবার পরিবেশন করার পরও কেন অবৈধ খোলা খাবার বিক্রি হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান- এক শ্রেনির অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তা সামান্য সুবিধা ভোগের লোভে এসব করছে। তিনি বলেন- এত নিরাপত্তা ভেদ করে কিভাবে এসব বাটি খাবার ঢুকছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে আমরা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অবিহিত করলেও বিশেষ কোন ফলাফল লাভ হয়নি। বিমান কর্তৃপক্ষ আমর্ড পুলিশ সহ আনসার বাহিনীকে নোটিশ প্রদান করলেও বন্ধ হয়নি এসব খাবারের দোকান ও বাটি খাবারের ব্যবসা। তিনি আরো বলেন- এরা এয়ারপোর্টের পরিবেশ নষ্ট করছে।

আর এসব খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে এর দায়ভার নিবে কে? ম্যানেজার জনাব হেলাল চৌধুরী বাংলাদেশ বিমান, সিভিল এভিয়েশন ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সু দৃষ্টি কামনা করেন।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশ আমাদের সকলের। দেশ-বিদেশের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুনাম ও মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

সামান্য লোভে না পড়ে বিমানবন্দরের নষ্ট না করে একটি সুন্দর আগামীর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলের কাজ করা উচিত বলে মনে করেন বিজ্ঞ মহল।

 

তারা এয়ারপোর্টের পরিবেশ সুন্দর রাখতে সুষ্ঠু শৃঙ্খলিত ব্যবস্হাপণার জোর দাবী জানান। এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ, বিমান মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি দেয়া ও যাবতীয় সুব্যবস্হা গ্রহণ এখন সময়ের দাবী।।