ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




প্রতারক শিবলীর প্রতারণায় রিজেন্টের সর্বনাশ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০ ১২২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া থেকে করনা মহামারী আতঙ্ক, সবসময়ই রিজেন্ট গ্রুপের কর্ণধার মোঃ সাহেদ তথা রিজেন্ট হসপিটাল কে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে লক্ষ করা গেছে। বর্তমান বিশ্বের ভয়ঙ্কর মৃত্যু আতঙ্ক করোনা মহামারী সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে যখন সকল বেসরকারী হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করে এমনকি সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকরাও সেবার অনীহার দেখিয়েছেন। ঠিক সেই সময় সর্বপ্রথম রিজেন্ট হাসপাতাল করোনা সেবায় এগিয়ে আসেন। এবং সাহসের সাথে করোনা চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বপ্রথম সাথে এমইও সাইন করেন রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সারাদেশের সকল গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ সম্প্রতি সময়ে রিজেন্ট হসপিটাল কে বাহবা দিয়েছেন এসব সাহসী পদক্ষেপ ও সেবার কারণে।
কিন্তু এবার রিজেন্ট হাসপাতাল এর সর্বোচ্চ সর্বনাশ ডেকে আনলো উক্ত প্রতিষ্ঠানের ই অসাধু কর্মকর্তা তরিক শিবলী ও তার সহযোগী চক্র।
বেশ কিছুদিন ধরে রিজেন্ট হসপিটাল এর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল তাদের হাসপাতালের নাম ভাঙ্গিয়ে একটি প্ররতারক চক্র করোনা স্যাম্পল সংগ্রহ ও অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায় করে আসছে। এসব বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট আসলে তারা বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থও হয়েছেন। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ বারবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে সারা দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সারাবাংলা ডট নেট অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদ বরাতে জানা গেছে, অভিযোগের প্রতিটি ঘটনায় তরিক শিবির নামক হাসপাতালে একজন কর্মকর্তা উপস্থিতির আলামত পাওয়াা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি বেশ কয়েকজন কর্মীকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে তারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। আর তাদের দোসর হিসেবে হাসপাতালের অভ্যন্তরে দুই-একজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকতে পারে বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ। যে কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতসারে এসব অবৈধ কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছিল।

বেশ কিছু গণমাধ্যমে তরিক শিবলী নামক রিজেন্ট হাসপাতালের এক কর্মকর্তার এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট। প্রতিটি জায়গায় তিনি তার নিজস্ব নাম্বার দিয়ে এসেছেন কর্তৃপক্ষ বা হাসপাতালে কোন প্রকার মানি রিসিট প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সামগ্রিক আলামত বিবেচনায় স্পষ্ট যে তরিক শিবলী তার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য রিজেন্ট হাসপাতালের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন এই দুষ্টচক্রের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছিল। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান শেষে রিজেন্ট হাসপাতালের প্রধান কার্যাল তরিক শিবলির অফিস কক্ষে এসব অপরাধের সকল আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে তারিক শিবলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে নিজেই অর্থলোভে একটি চক্র পরিচালনা করতেন।
এই তরিক শিবলীর ব্যক্তিগত বিষয়ে অনুসন্ধান করে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য।
কথিত আছে বিগত দিনে বিএনপির ত্রাস মামুনের ক্যাডার হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। রাজধানীর ফকিরাপুল পল্টন এলাকায় গত বিএনপি আমলে পরিবহন চাঁদাবাজ হিসাবে পরিচিত ছিল শিবলীর।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকুরী বিদেশে পাঠানোর নাম করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে শিবিরের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিজেন্ট গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানান, তরিক শিবলীর এসব কর্মকান্ড সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতাম না এখন স্পষ্ট তিনি একজন বড় মাপের প্রতারক।
সকালের সংবাদের অনুসন্ধানে জানা যায় করোনা টেস্ট প্রতারণা কর্মকান্ড করে সম্প্রতি তিনি একটি গাড়িও কিনেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের অভ্যন্তরে দু-একজন অসাধু কর্মকর্তা শিবলির সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল তারা গোপনে এসব কাগজপত্র তৈরি করত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া তরিক শিবলীই মহামারী করোনাকালীন অপকর্মের মূল হোতা। কারণ সে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হবার কয়েক মাস পূর্বে দৈনিক নতুন কাগজ (রিজেন্ট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) থেকে প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড জালিয়াতি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বিতাড়িত হয়। এরপর সরাসরি ও কৌশলে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: সাহেদের জনসংযোগ কর্মকর্তার পদ ভাগিয়ে নেয়। করোনাকালীন মাত্র তিন মাসের মধ্যেই সে ২২ লাখ টাকা মূল্যের নিজের যাতায়াতের জন্য গাড়ি কিনেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই এমন অভিযোগ আসে নড়েচড়ে বসেন রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ, থানায় মামলা সহ গণমাধ্যম এর নিকট প্রদান করেন তারা।
করোনা কালে স্বাস্থ্য খাতে ও বিভিন্ন হাসপাতালে অসংখ্য দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মুগদা হাসপাতালে সাংবাদিকদের ব্যাপক মারধর করার ঘটনা ঘটনা সহ নানা অসঙ্গতির খবর থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না সরকারের পক্ষ থেকে।
তবে র্যাবের এমন অভিযান কে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই, রাজধানীর কয়েকজন বাসিন্দা বলেন এরকম অভিযান যেন লোক দেখানো না হয় সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য খাতের সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন অভিযান খুবই জরুরী।
এসব ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ জানান, রিজেন্ট হাসপাতাল কখনোই স্বাস্থ্য সেবায় আপোষ করে না। আপনারা দেখেছেন দেশের সকল ক্রান্তিকালে সেবার বিষয় আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র আমারই অসাধু কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
আমি চক্রান্তের শিকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রতারক শিবলীর প্রতারণায় রিজেন্টের সর্বনাশ!

আপডেট সময় : ০৩:১৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া থেকে করনা মহামারী আতঙ্ক, সবসময়ই রিজেন্ট গ্রুপের কর্ণধার মোঃ সাহেদ তথা রিজেন্ট হসপিটাল কে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে লক্ষ করা গেছে। বর্তমান বিশ্বের ভয়ঙ্কর মৃত্যু আতঙ্ক করোনা মহামারী সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে যখন সকল বেসরকারী হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করে এমনকি সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকরাও সেবার অনীহার দেখিয়েছেন। ঠিক সেই সময় সর্বপ্রথম রিজেন্ট হাসপাতাল করোনা সেবায় এগিয়ে আসেন। এবং সাহসের সাথে করোনা চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বপ্রথম সাথে এমইও সাইন করেন রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সারাদেশের সকল গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ সম্প্রতি সময়ে রিজেন্ট হসপিটাল কে বাহবা দিয়েছেন এসব সাহসী পদক্ষেপ ও সেবার কারণে।
কিন্তু এবার রিজেন্ট হাসপাতাল এর সর্বোচ্চ সর্বনাশ ডেকে আনলো উক্ত প্রতিষ্ঠানের ই অসাধু কর্মকর্তা তরিক শিবলী ও তার সহযোগী চক্র।
বেশ কিছুদিন ধরে রিজেন্ট হসপিটাল এর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল তাদের হাসপাতালের নাম ভাঙ্গিয়ে একটি প্ররতারক চক্র করোনা স্যাম্পল সংগ্রহ ও অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায় করে আসছে। এসব বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট আসলে তারা বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থও হয়েছেন। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ বারবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে সারা দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সারাবাংলা ডট নেট অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদ বরাতে জানা গেছে, অভিযোগের প্রতিটি ঘটনায় তরিক শিবির নামক হাসপাতালে একজন কর্মকর্তা উপস্থিতির আলামত পাওয়াা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি বেশ কয়েকজন কর্মীকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে তারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। আর তাদের দোসর হিসেবে হাসপাতালের অভ্যন্তরে দুই-একজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকতে পারে বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ। যে কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতসারে এসব অবৈধ কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছিল।

বেশ কিছু গণমাধ্যমে তরিক শিবলী নামক রিজেন্ট হাসপাতালের এক কর্মকর্তার এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট। প্রতিটি জায়গায় তিনি তার নিজস্ব নাম্বার দিয়ে এসেছেন কর্তৃপক্ষ বা হাসপাতালে কোন প্রকার মানি রিসিট প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সামগ্রিক আলামত বিবেচনায় স্পষ্ট যে তরিক শিবলী তার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য রিজেন্ট হাসপাতালের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন এই দুষ্টচক্রের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছিল। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান শেষে রিজেন্ট হাসপাতালের প্রধান কার্যাল তরিক শিবলির অফিস কক্ষে এসব অপরাধের সকল আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে তারিক শিবলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে নিজেই অর্থলোভে একটি চক্র পরিচালনা করতেন।
এই তরিক শিবলীর ব্যক্তিগত বিষয়ে অনুসন্ধান করে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য।
কথিত আছে বিগত দিনে বিএনপির ত্রাস মামুনের ক্যাডার হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। রাজধানীর ফকিরাপুল পল্টন এলাকায় গত বিএনপি আমলে পরিবহন চাঁদাবাজ হিসাবে পরিচিত ছিল শিবলীর।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকুরী বিদেশে পাঠানোর নাম করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে শিবিরের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিজেন্ট গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানান, তরিক শিবলীর এসব কর্মকান্ড সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতাম না এখন স্পষ্ট তিনি একজন বড় মাপের প্রতারক।
সকালের সংবাদের অনুসন্ধানে জানা যায় করোনা টেস্ট প্রতারণা কর্মকান্ড করে সম্প্রতি তিনি একটি গাড়িও কিনেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের অভ্যন্তরে দু-একজন অসাধু কর্মকর্তা শিবলির সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল তারা গোপনে এসব কাগজপত্র তৈরি করত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া তরিক শিবলীই মহামারী করোনাকালীন অপকর্মের মূল হোতা। কারণ সে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হবার কয়েক মাস পূর্বে দৈনিক নতুন কাগজ (রিজেন্ট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) থেকে প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড জালিয়াতি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বিতাড়িত হয়। এরপর সরাসরি ও কৌশলে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: সাহেদের জনসংযোগ কর্মকর্তার পদ ভাগিয়ে নেয়। করোনাকালীন মাত্র তিন মাসের মধ্যেই সে ২২ লাখ টাকা মূল্যের নিজের যাতায়াতের জন্য গাড়ি কিনেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই এমন অভিযোগ আসে নড়েচড়ে বসেন রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ, থানায় মামলা সহ গণমাধ্যম এর নিকট প্রদান করেন তারা।
করোনা কালে স্বাস্থ্য খাতে ও বিভিন্ন হাসপাতালে অসংখ্য দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মুগদা হাসপাতালে সাংবাদিকদের ব্যাপক মারধর করার ঘটনা ঘটনা সহ নানা অসঙ্গতির খবর থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না সরকারের পক্ষ থেকে।
তবে র্যাবের এমন অভিযান কে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই, রাজধানীর কয়েকজন বাসিন্দা বলেন এরকম অভিযান যেন লোক দেখানো না হয় সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য খাতের সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন অভিযান খুবই জরুরী।
এসব ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ জানান, রিজেন্ট হাসপাতাল কখনোই স্বাস্থ্য সেবায় আপোষ করে না। আপনারা দেখেছেন দেশের সকল ক্রান্তিকালে সেবার বিষয় আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র আমারই অসাধু কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
আমি চক্রান্তের শিকার।