ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




সাস্থ্য ঝুঁকিতে রাজধানীর ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

হাফিজুর রাহমান শফিকঃ

রোদ বৃষ্টি ঝড় কিছুতেই যেন বিরাম নেই তাদের, নেই কোন বিশেষ দিনের ছুটি, মারাক্তক শব্দ দূষণ, উচ্চ শব্দের হর্ণ, কালো ধোঁয়া, যানবাহনের রেডিয়েশন সব কিছু শরীরের সাথে সয়ে নিয়েই তাদের নিত্য দিনের জীবন চলা। আর এসব বৈরী পরিবেশে দিনরাত দাড়িয়ে রাজধানীর যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষা করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। তারাই আমাদের নিত্যদিনের পথচলা সহজ করে তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। আর রাজধানীর এসব বৈরী আবহাওয়ার কারনে প্রায় সকল ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাই ভুগছেন কোন না কোন শারীরিক সমস্যায়।

রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেন প্রায় ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। তাদের অধিকাংশ সদস্যরাই নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর এসব সমস্যা নিয়েই প্রতিনিয়ত পালন করে যাচ্ছেন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব।

গাড়ির কালো ধোঁয়া, উচ্চ স্বরে হর্ন, ধুলাবালি, যানবাহনের অতি মাত্রার রেডিয়েশন এসব কারনে ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, মাইগ্রেইন, দিন ভর মাথা ব্যাথা, কানে কম শুনতে পাওয়া, এছাড়াও দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকার কারনে হাড়ের ক্ষয় সহ বিভিন্ন জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন রাজধানীর অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।

মানদাতা আমলের সিগন্যাল ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকার কারনে দীর্ঘদিন হাতে বাশের লাঠি ও দড়ি নিয়ে রাস্তার মোড়ে যানবাহনের নিয়ন্ত্রন করার মানসিক চাপও তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার বিশেষ কারন বলে মনে করেন সাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাফিক পুলিশের শারীরিক সমস্যার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে কথা হয় বেশকিছু ট্রাফিক সদস্যদের সাথে। তারা সকলেই জানান- প্রায়শই মাথা ব্যাথা থাকে ও উচ্চ শব্দের অতিরিক্ত হর্নের কারনে কানেও কম শুনতে পান তারা।

রাজধানীর মহাখালী সিগন্যালে দাঁড়ানো ট্রাফিক সদস্য শাহআলম বলেন, কিছুদিন ধরে বেশ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ডাক্তার দেখিয়েছি ডাক্তার বলেছেন ধুলাবালুর সমস্যায় এমনটা হয় তাই মুখে মাক্স বেধে নিয়ে কাজ করছি।

বেশ কিছুদিনের অনুসন্ধানে অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশের কানে কম শোনার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সমস্যা হিসেবে পাওয়া গেছে। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, দিনে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০ জন কানের রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে।
ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল জহুরুল ইসলাম (৩৬)। তিনি দায়িত্ব পালন করেন রাজধানীর নাবিস্কো এলাকার তিব্বত মোড়ে। ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তায় দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় গিয়ে টিভি দেখতে বসলে রিমোটে ভলিউম ৩০-৩৫ দিতে হয়। স্ত্রী চিৎকার দিয়ে বলেন, এত ভলিউম কেন? সাউন্ড কমাও। প্রথম প্রথম বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেও এখন বুঝি, আসলে আমি কানে কম শুনি। এজন্য স্ত্রীকে বিষয়টি না জানিয়ে টিভির দিকে শুধু চেয়ে থাকি।’

এছাড়াও গুলশান ২ এর গোল চত্বতের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মনির বলেন- আমি যখন বাসায় টিভি দেখতে বসি সবাই রাগ করে জোরে ভলিউম দেওয়ার করনে, সারাদিন এত শব্দের মাঝে ডিউটি করে এখন কানে কম শুনতে পাই কিন্তু পরিবারের সবাই তো তা বুঝেনা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার মহাখালীতে সালফার ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ৩৪৯ মাইক্রোগ্রাম, ফার্মগেটে ৪৩৫ মাইক্রোগ্রাম, মগবাজারে ৪৮৯ মাইক্রোগ্রাম, সোনারগাঁওয়ে (কারওয়ান বাজার) ৩৫৭ মাইক্রোগ্রাম এবং সায়েন্সল্যাবে ৪৩৮ মাইক্রোগ্রাম। অথচ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বাতাসে সালফার-ডাই-অক্সাইডের বার্ষিক গড় সহনীয় মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৮০ মাইক্রোগ্রাম। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসাপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ আবুল হুসনাইন বলেছেন, ঢাকার বাতাসে অতিরিক্ত মাত্রায় সালফার ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা রোগ সৃষ্টি এবং হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বাতাসে নাইট্রোজেন অক্সাইডের সহনীয় মাত্রা ১০০ মাইক্রোমিটার। অথচ ঢাকার বাতাসে এর পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার মহাখালীতে নাইট্রোজেন অক্সাইডের পরিমাণ ৩৭৬ মাইক্রোগ্রাম, ফার্মগেটে ৭৫২ মাইক্রোগ্রাম, মগবাজারে ৩৩৯ মাইক্রোগ্রাম, সোনারগাঁওয়ে ৭৫ মাইক্রোগ্রাম এবং সায়েন্সল্যাবে ১১৩ মাইক্রোগ্রাম। ডা. আবুল হুসনাইনের মতে, এই গ্যাসের আধিক্যের কারণে ট্রাফিক পুলিশের মাথা ব্যাথা, চোখে প্রদাহ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রাজধানীর এমন পরিবেশে দিনের পর দিন দাড়িয়ে থেকে পরিবহন সামলানোর মানসিক চাপে ট্রাফিক পুলিশের শারীরিক ভবে কি প্রভাব পরতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্কয়ার হাসপাতালের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফারহানা মোবিন সকালের সংবাদকে বলেন বলেন, তাদের দিনের পর দিন দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকার কারনে হাড়ের ক্ষয় হয়ে যায় এছাড়া চারদিক থেকে যানবাহন সামলানোর জন্য যে মানসিক চাপ তৈরি হয় তা থেকে স্নায়ু দুর্বলতা হওয়া উচ্চ রক্তচাপ এমনকি স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। এবং ধুলাবালু, কালো ধোঁয়া, কারনে ফুসফুসের সমস্যা শ্বাসকষ্ট সহ চোখের দৃষ্টি শক্তিরও সমস্যা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সাস্থ্য ঝুঁকিতে রাজধানীর ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ

আপডেট সময় : ১২:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হাফিজুর রাহমান শফিকঃ

রোদ বৃষ্টি ঝড় কিছুতেই যেন বিরাম নেই তাদের, নেই কোন বিশেষ দিনের ছুটি, মারাক্তক শব্দ দূষণ, উচ্চ শব্দের হর্ণ, কালো ধোঁয়া, যানবাহনের রেডিয়েশন সব কিছু শরীরের সাথে সয়ে নিয়েই তাদের নিত্য দিনের জীবন চলা। আর এসব বৈরী পরিবেশে দিনরাত দাড়িয়ে রাজধানীর যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষা করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। তারাই আমাদের নিত্যদিনের পথচলা সহজ করে তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। আর রাজধানীর এসব বৈরী আবহাওয়ার কারনে প্রায় সকল ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাই ভুগছেন কোন না কোন শারীরিক সমস্যায়।

রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেন প্রায় ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। তাদের অধিকাংশ সদস্যরাই নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর এসব সমস্যা নিয়েই প্রতিনিয়ত পালন করে যাচ্ছেন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব।

গাড়ির কালো ধোঁয়া, উচ্চ স্বরে হর্ন, ধুলাবালি, যানবাহনের অতি মাত্রার রেডিয়েশন এসব কারনে ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, মাইগ্রেইন, দিন ভর মাথা ব্যাথা, কানে কম শুনতে পাওয়া, এছাড়াও দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকার কারনে হাড়ের ক্ষয় সহ বিভিন্ন জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন রাজধানীর অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।

মানদাতা আমলের সিগন্যাল ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকার কারনে দীর্ঘদিন হাতে বাশের লাঠি ও দড়ি নিয়ে রাস্তার মোড়ে যানবাহনের নিয়ন্ত্রন করার মানসিক চাপও তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার বিশেষ কারন বলে মনে করেন সাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাফিক পুলিশের শারীরিক সমস্যার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে কথা হয় বেশকিছু ট্রাফিক সদস্যদের সাথে। তারা সকলেই জানান- প্রায়শই মাথা ব্যাথা থাকে ও উচ্চ শব্দের অতিরিক্ত হর্নের কারনে কানেও কম শুনতে পান তারা।

রাজধানীর মহাখালী সিগন্যালে দাঁড়ানো ট্রাফিক সদস্য শাহআলম বলেন, কিছুদিন ধরে বেশ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ডাক্তার দেখিয়েছি ডাক্তার বলেছেন ধুলাবালুর সমস্যায় এমনটা হয় তাই মুখে মাক্স বেধে নিয়ে কাজ করছি।

বেশ কিছুদিনের অনুসন্ধানে অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশের কানে কম শোনার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সমস্যা হিসেবে পাওয়া গেছে। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, দিনে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০ জন কানের রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে।
ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল জহুরুল ইসলাম (৩৬)। তিনি দায়িত্ব পালন করেন রাজধানীর নাবিস্কো এলাকার তিব্বত মোড়ে। ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তায় দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় গিয়ে টিভি দেখতে বসলে রিমোটে ভলিউম ৩০-৩৫ দিতে হয়। স্ত্রী চিৎকার দিয়ে বলেন, এত ভলিউম কেন? সাউন্ড কমাও। প্রথম প্রথম বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেও এখন বুঝি, আসলে আমি কানে কম শুনি। এজন্য স্ত্রীকে বিষয়টি না জানিয়ে টিভির দিকে শুধু চেয়ে থাকি।’

এছাড়াও গুলশান ২ এর গোল চত্বতের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মনির বলেন- আমি যখন বাসায় টিভি দেখতে বসি সবাই রাগ করে জোরে ভলিউম দেওয়ার করনে, সারাদিন এত শব্দের মাঝে ডিউটি করে এখন কানে কম শুনতে পাই কিন্তু পরিবারের সবাই তো তা বুঝেনা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার মহাখালীতে সালফার ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ৩৪৯ মাইক্রোগ্রাম, ফার্মগেটে ৪৩৫ মাইক্রোগ্রাম, মগবাজারে ৪৮৯ মাইক্রোগ্রাম, সোনারগাঁওয়ে (কারওয়ান বাজার) ৩৫৭ মাইক্রোগ্রাম এবং সায়েন্সল্যাবে ৪৩৮ মাইক্রোগ্রাম। অথচ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বাতাসে সালফার-ডাই-অক্সাইডের বার্ষিক গড় সহনীয় মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৮০ মাইক্রোগ্রাম। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসাপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ আবুল হুসনাইন বলেছেন, ঢাকার বাতাসে অতিরিক্ত মাত্রায় সালফার ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা রোগ সৃষ্টি এবং হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বাতাসে নাইট্রোজেন অক্সাইডের সহনীয় মাত্রা ১০০ মাইক্রোমিটার। অথচ ঢাকার বাতাসে এর পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার মহাখালীতে নাইট্রোজেন অক্সাইডের পরিমাণ ৩৭৬ মাইক্রোগ্রাম, ফার্মগেটে ৭৫২ মাইক্রোগ্রাম, মগবাজারে ৩৩৯ মাইক্রোগ্রাম, সোনারগাঁওয়ে ৭৫ মাইক্রোগ্রাম এবং সায়েন্সল্যাবে ১১৩ মাইক্রোগ্রাম। ডা. আবুল হুসনাইনের মতে, এই গ্যাসের আধিক্যের কারণে ট্রাফিক পুলিশের মাথা ব্যাথা, চোখে প্রদাহ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রাজধানীর এমন পরিবেশে দিনের পর দিন দাড়িয়ে থেকে পরিবহন সামলানোর মানসিক চাপে ট্রাফিক পুলিশের শারীরিক ভবে কি প্রভাব পরতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্কয়ার হাসপাতালের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফারহানা মোবিন সকালের সংবাদকে বলেন বলেন, তাদের দিনের পর দিন দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকার কারনে হাড়ের ক্ষয় হয়ে যায় এছাড়া চারদিক থেকে যানবাহন সামলানোর জন্য যে মানসিক চাপ তৈরি হয় তা থেকে স্নায়ু দুর্বলতা হওয়া উচ্চ রক্তচাপ এমনকি স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। এবং ধুলাবালু, কালো ধোঁয়া, কারনে ফুসফুসের সমস্যা শ্বাসকষ্ট সহ চোখের দৃষ্টি শক্তিরও সমস্যা হয়।