ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা! 

বন্ধের পথে ঢাকার বাইরে ৬০% ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার : বিপিসিডিও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০ ২৩১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রোগীর অভাবে বেকায়দায় পড়েছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন- বিপিসিডিও বলছে, আয় না থাকায় ঢাকার বাইরে ৬০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। ঢাকায়ও বেশকিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রয়েছে। এছাড়া, ছোট ছোট কয়েকটি হাসপাতাল সেবা দেয়া বন্ধ রেখেছে।

গরীবের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত মিরপুর এক নম্বরের জেনারেল হাসপাতালটি। মাত্র ৫ টাকায় টিকিট কেটে চিকিৎসা পায় সাধারণ মানুষ। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গেল ২৬শে মার্চ থেকে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

৫ টাকায় চিকিৎসা-ওষুধ মেলায় প্রতিদিনই এই হাসপাতালটিতে ভিড় করতো মানুষ। কিন্তু দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষেরা।

দেশে প্রায় চৌদ্দ হাজার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রায় এক লাখ মানুষ। বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিপিসিডিও বলছে, রোগীর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে অন্তত পনেরোটি ক্লিনিক।

বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, অনেক রোগীদের কাছ থেকে বেসরকারি হাসপাতালের অনেক ডাক্তার, নার্সরা করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাই অনেক বেসরকারি হাসপাতালই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাসপাতাল লকডাউন অবস্থায় আছে।

বিপিসিডিও বলছে, রোগীশূন্য হয়ে পড়ায় ঢাকার বাইরে ৬০ শতাংশ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারই বন্ধের পথে। ঢাকাতেও বন্ধ হয়ে গেছে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান।

ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, জুলাই মাসের আগে হাসপাতালগুলোতে মনে হয়না রোগী আসবে বা আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমাদের জন্য যদি প্রণোদনা দেয়া হয় তাহলে তা আমাদের জন্য ভালো হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনার বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সচল রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব রোগের চিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতালকে তিনভাগে সাজানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, সামনের দিনে আমরা হাসপাতালগুলোকে তিনভাগে ভাগ করে সেবা দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। যারা করোনা পজিটিভ থাকবে তারা একভাগে, যারা সন্দেহজনক তারা একভাগে আর সাধারণ রোগীরা একভাগে।

এরমধ্য দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে অধিদপ্তর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বন্ধের পথে ঢাকার বাইরে ৬০% ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার : বিপিসিডিও

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রোগীর অভাবে বেকায়দায় পড়েছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন- বিপিসিডিও বলছে, আয় না থাকায় ঢাকার বাইরে ৬০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। ঢাকায়ও বেশকিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রয়েছে। এছাড়া, ছোট ছোট কয়েকটি হাসপাতাল সেবা দেয়া বন্ধ রেখেছে।

গরীবের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত মিরপুর এক নম্বরের জেনারেল হাসপাতালটি। মাত্র ৫ টাকায় টিকিট কেটে চিকিৎসা পায় সাধারণ মানুষ। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গেল ২৬শে মার্চ থেকে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

৫ টাকায় চিকিৎসা-ওষুধ মেলায় প্রতিদিনই এই হাসপাতালটিতে ভিড় করতো মানুষ। কিন্তু দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষেরা।

দেশে প্রায় চৌদ্দ হাজার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রায় এক লাখ মানুষ। বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিপিসিডিও বলছে, রোগীর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে অন্তত পনেরোটি ক্লিনিক।

বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, অনেক রোগীদের কাছ থেকে বেসরকারি হাসপাতালের অনেক ডাক্তার, নার্সরা করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাই অনেক বেসরকারি হাসপাতালই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাসপাতাল লকডাউন অবস্থায় আছে।

বিপিসিডিও বলছে, রোগীশূন্য হয়ে পড়ায় ঢাকার বাইরে ৬০ শতাংশ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারই বন্ধের পথে। ঢাকাতেও বন্ধ হয়ে গেছে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান।

ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, জুলাই মাসের আগে হাসপাতালগুলোতে মনে হয়না রোগী আসবে বা আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমাদের জন্য যদি প্রণোদনা দেয়া হয় তাহলে তা আমাদের জন্য ভালো হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনার বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সচল রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব রোগের চিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতালকে তিনভাগে সাজানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, সামনের দিনে আমরা হাসপাতালগুলোকে তিনভাগে ভাগ করে সেবা দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। যারা করোনা পজিটিভ থাকবে তারা একভাগে, যারা সন্দেহজনক তারা একভাগে আর সাধারণ রোগীরা একভাগে।

এরমধ্য দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে অধিদপ্তর।