গতবছরের তুলনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি,আতঙ্কিত নগরবাসী
- আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মে ২০২০ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
সকালের সংবাদ ডেস্ক; করোণা ঝুকিঁর মধ্যে থেকেই বেড়ে চলেছে মশাবাহিত আরেক আতঙ্ক ডেঙ্গুর বিস্তার। ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়েছে গেলো মাস থেকেই। এ সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমনও গতবারের তুলনায় বেশি।আতঙ্কিত নগরবাসী।
করোণার ডামাডোলে হাসপাতালগুলোতে জ্বর নিয়ে কতোটুকু স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে সেইটাই এখন দেখার বিষয়। অন্যদিকে, গত বছরের অভিজ্ঞতায় সিটি কর্পোরেশন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তুতি নিয়েও রয়েছে নানান প্রশ্ন।
ঋতু বদলের পালায় দেশে এখন গ্রীষ্মকাল। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি। আর গত বছর বৃষ্টিপাতের কারণে এই সময়ে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছিলো মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ।
রোগটি গেলো বছর কেড়ে নিয়েছিলো একশ ৭৯টি প্রাণ। দেশ্যব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলো এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন।পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি, গতবছরের এডিস মশার হটস্পটগুলো আবারো ধ্বংস এবং মনিটর করার পরামর্শ দিয়েছেনরা। সেই সঙ্গে, লকডাউনের কারণে কোথাও যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় এমন পরামর্শ তাদের।
ডেঙ্গু মশে দমনের উপায় হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণী বিজ্ঞান সমিতির কীটতত্ত্ববিদ ও সাবেক সভাপতি ড. মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, ‘ফগিং করে ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহি মশাকে মেরে ফেলতে হবে। এদের প্রজনন স্থান চিন্থিত করে মশার সেগুলো ধ্বংস করতে হবে।’
এবছর জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত ২৯৮ জন আক্রান্ত হলেও চিকিৎসাধীন আছেন একজন। দাবি করা হচ্ছে, এবছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালকআয়েশা আক্তার বলেন, ‘করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলায় বাড়ি-ঘর যদি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন। বাড়ির আশপাশ যদি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন তবে আগামীতে ডেঙ্গু মশা বেড়ে যাবার প্রবণতা অনেকটাই কম থাকবে। সিটি কর্পোরেশন কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মতো মশা নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এদিকে, আগামী ১৬ই মে থেকে বছরব্যাপী ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা প্রতিরোধে চিরুনী অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু ডেঙ্গুর মৌসুমে কাজ করলে হবে না। সারা বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করে যেতে হবে। এই প্রেক্ষিতে আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। পাঁচ বছরের জন্য কিভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ১৬ তারিখ থেকে আমরা আবার সেই চিরুনী অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা আবার বিনয়ের সাথে অনুরোধ করবো আমাদেরকে আপনারা সহযোগীতা করবেন।
তবে, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দাবি করছেন, আগামী রবিবার থেকে এডিসের বংশ বিস্তার ধ্বংস করা হচ্ছে কিনা তা তদারকিতে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমান আদালত।