ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




নিজ নিজ সুরক্ষা নিশ্চিত করে অফিস করছেন তারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০ ৬২ বার পড়া হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট |

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বাড়ার কারণে সাধারণ ছুটি বাড়ালেও জরুরি সেবা দিতে অনেক অফিস খুলেছে গত ২৬ এপ্রিল (রোববার)। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে জরুরি কাজ চলছে। জরুরি কাজে নিয়োজিতরা নিজ নিজ সুরক্ষা নিয়ে অফিস করছেন।

সাধারণ ছুটির মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত মন্ত্রণালয়গুলোতে কাজকর্ম চলছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ভাতা প্রদান সংক্রান্ত কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অফিস করছেন।

প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা মাস্ক ও গ্লাভস নিয়ে নিজ সুরক্ষা বজায় রেখেই অফিস করছেন বলে জানিয়েছেন আলমগীর।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যেও কৃষি সংক্রান্ত জরুরি সেবার কাজ বেশি। এজন্য কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সীমিত পরিসরে অফিস করছেন। তবে অফিস করার সময় নিজ নিজ ডেস্কের কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। কৃষি ভর্তুকি, সার, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি বিষয়ে তারা কাজ করছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো আগে থেকেই খোলা ছিল। এখন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিস করছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, কাজ থাকলে সংশ্লিষ্টদের অফিসে যেতে হয়। এ বিভাগ থেকে প্রথম দিকে কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিলেও পরে তারা নিজেরাই সুরক্ষা সামগ্রী কিনে ব্যবহার করছেন।

করোনার কারণে সাধারণ ছুটি সর্বশেষ ১০ দিন বৃদ্ধি করে (২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে) গত ২৩ এপ্রিল আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এই ছুটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন দপ্তরসহ ১৮টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের দপ্তরসমূহ সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, জরুরি সেবায় সব অফিসই সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে। কারণ অনেক মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ সীমিত পরিসরে অফিস করছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরসমূহ সীমিত পরিসরে কাজ চলছে।

গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল এবং পরে ৫-৯ এপ্রিল, পরে ১৪ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছিলো। এরপর ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নিজ নিজ সুরক্ষা নিশ্চিত করে অফিস করছেন তারা

আপডেট সময় : ০১:১৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট |

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বাড়ার কারণে সাধারণ ছুটি বাড়ালেও জরুরি সেবা দিতে অনেক অফিস খুলেছে গত ২৬ এপ্রিল (রোববার)। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে জরুরি কাজ চলছে। জরুরি কাজে নিয়োজিতরা নিজ নিজ সুরক্ষা নিয়ে অফিস করছেন।

সাধারণ ছুটির মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত মন্ত্রণালয়গুলোতে কাজকর্ম চলছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ভাতা প্রদান সংক্রান্ত কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অফিস করছেন।

প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা মাস্ক ও গ্লাভস নিয়ে নিজ সুরক্ষা বজায় রেখেই অফিস করছেন বলে জানিয়েছেন আলমগীর।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যেও কৃষি সংক্রান্ত জরুরি সেবার কাজ বেশি। এজন্য কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সীমিত পরিসরে অফিস করছেন। তবে অফিস করার সময় নিজ নিজ ডেস্কের কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। কৃষি ভর্তুকি, সার, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি বিষয়ে তারা কাজ করছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো আগে থেকেই খোলা ছিল। এখন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিস করছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, কাজ থাকলে সংশ্লিষ্টদের অফিসে যেতে হয়। এ বিভাগ থেকে প্রথম দিকে কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিলেও পরে তারা নিজেরাই সুরক্ষা সামগ্রী কিনে ব্যবহার করছেন।

করোনার কারণে সাধারণ ছুটি সর্বশেষ ১০ দিন বৃদ্ধি করে (২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে) গত ২৩ এপ্রিল আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এই ছুটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন দপ্তরসহ ১৮টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের দপ্তরসমূহ সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, জরুরি সেবায় সব অফিসই সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে। কারণ অনেক মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ সীমিত পরিসরে অফিস করছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরসমূহ সীমিত পরিসরে কাজ চলছে।

গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল এবং পরে ৫-৯ এপ্রিল, পরে ১৪ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছিলো। এরপর ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।