ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




কিট নিয়ে মুখোমুখি গণস্বাস্থ্য-ঔষধ প্রশাসন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ ১১০ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক; 
গণস্বাস্থ্যের উৎপাদিত করোনা শনাক্তকরণ কিট হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। কিট নিয়ে যাওয়া হলেও তা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছিল গণস্বাস্থ্যের কিট তৈরির খবর। তবে একে ঘিরে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বিতর্কও।

রোববার ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্ট্রি জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, সকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে নমুনা নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ করেন, বেসরকারি স্বার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট অনুমোদনকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।

গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা নিতে ওষুধ প্রশাসন কেনো বিলম্ব করছে জানি না। একটার পর একটা অজুহাত তাদের।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সিআরিও’র অনুরোধ জানানো হয়।

তবে গণস্বাস্থ্যের অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, কিট অনুমোদনের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাউকে কীট নিতে অফার করেনি। অনেকক্ষণ বসেছিলেন কিন্তু কখনও বলেননি কীট নিয়ে এসেছেন। কীটটা আমাদের প্রয়োজন নেই। তাদের প্রয়োজন হলে তাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা কিট নেইনি, এটা আরেকটা মিথ্যা কথা।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কিট নিয়ে মুখোমুখি গণস্বাস্থ্য-ঔষধ প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

সকালের সংবাদ ডেস্ক; 
গণস্বাস্থ্যের উৎপাদিত করোনা শনাক্তকরণ কিট হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। কিট নিয়ে যাওয়া হলেও তা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছিল গণস্বাস্থ্যের কিট তৈরির খবর। তবে একে ঘিরে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বিতর্কও।

রোববার ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্ট্রি জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, সকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে নমুনা নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ করেন, বেসরকারি স্বার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট অনুমোদনকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।

গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা নিতে ওষুধ প্রশাসন কেনো বিলম্ব করছে জানি না। একটার পর একটা অজুহাত তাদের।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সিআরিও’র অনুরোধ জানানো হয়।

তবে গণস্বাস্থ্যের অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, কিট অনুমোদনের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাউকে কীট নিতে অফার করেনি। অনেকক্ষণ বসেছিলেন কিন্তু কখনও বলেননি কীট নিয়ে এসেছেন। কীটটা আমাদের প্রয়োজন নেই। তাদের প্রয়োজন হলে তাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা কিট নেইনি, এটা আরেকটা মিথ্যা কথা।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।