ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




কিট নিয়ে মুখোমুখি গণস্বাস্থ্য-ঔষধ প্রশাসন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ ৭২ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক; 
গণস্বাস্থ্যের উৎপাদিত করোনা শনাক্তকরণ কিট হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। কিট নিয়ে যাওয়া হলেও তা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছিল গণস্বাস্থ্যের কিট তৈরির খবর। তবে একে ঘিরে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বিতর্কও।

রোববার ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্ট্রি জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, সকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে নমুনা নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ করেন, বেসরকারি স্বার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট অনুমোদনকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।

গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা নিতে ওষুধ প্রশাসন কেনো বিলম্ব করছে জানি না। একটার পর একটা অজুহাত তাদের।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সিআরিও’র অনুরোধ জানানো হয়।

তবে গণস্বাস্থ্যের অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, কিট অনুমোদনের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাউকে কীট নিতে অফার করেনি। অনেকক্ষণ বসেছিলেন কিন্তু কখনও বলেননি কীট নিয়ে এসেছেন। কীটটা আমাদের প্রয়োজন নেই। তাদের প্রয়োজন হলে তাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা কিট নেইনি, এটা আরেকটা মিথ্যা কথা।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কিট নিয়ে মুখোমুখি গণস্বাস্থ্য-ঔষধ প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

সকালের সংবাদ ডেস্ক; 
গণস্বাস্থ্যের উৎপাদিত করোনা শনাক্তকরণ কিট হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। কিট নিয়ে যাওয়া হলেও তা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছিল গণস্বাস্থ্যের কিট তৈরির খবর। তবে একে ঘিরে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বিতর্কও।

রোববার ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্ট্রি জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, সকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে নমুনা নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ করেন, বেসরকারি স্বার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট অনুমোদনকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।

গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা নিতে ওষুধ প্রশাসন কেনো বিলম্ব করছে জানি না। একটার পর একটা অজুহাত তাদের।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সিআরিও’র অনুরোধ জানানো হয়।

তবে গণস্বাস্থ্যের অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, কিট অনুমোদনের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাউকে কীট নিতে অফার করেনি। অনেকক্ষণ বসেছিলেন কিন্তু কখনও বলেননি কীট নিয়ে এসেছেন। কীটটা আমাদের প্রয়োজন নেই। তাদের প্রয়োজন হলে তাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা কিট নেইনি, এটা আরেকটা মিথ্যা কথা।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।